somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসহায়দের প্রতি আমাদের করণীয়- (গুরুত্বপূর্ণ পুষ্ট)

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

টিফিন এর সময় সব ছেলে-
মেয়ে টিফিন করতে বাইরে গেল ।
সবাই ক্লাস থেকে বের হয়ে কেউ
কেউ গেল ক্যান্টিন এ আবার কেউ
কেউ মাঠে খেলতে । কিন্তু এর
থেকে একটি ছেলে এর কোনটিতেই গেল
না ।
মাঠের এক কোনে , গাছের
নিচে বসে আছে । প্রতিদিনই এই রকম
দেখা যায় ।
ক্লাসে এ অনেকেই এই
ছেলেটিকে দেখতে পারে না ।
ছেলেটার জামা নোংরা , চুল
গুলো এলোমেলো । আর বাকিদের ,
সুন্দর জামা -কাপড়। সুন্দর
করে পরিপাটি করে আসে সবাই শুধু ঐ
ছেলেটি ছাড়া ।
সামনে পরীক্ষা ।
স্কুলে টাকা দিতে হবে । সবাই যার
যার বাসায় জানায় ।
সবার বাবা-মা এসে টাকা পরিশোধ
করে গেছে । শুধু ঐ ছেলেটির পরীক্ষার
ফি বাকি ।
ছেলেটি ক্লাসে আসলেই স্যার
ফি এর কথা জিজ্ঞাসা করে । আর
ছেলেটি চুপ করে থাকে । এই
ভাবে ২-৩ দিন গেল ।
স্যাররা বুঝতে পারলো , এই ছেলে তার
টাকা দিতে পারবে না । হেড স্যারের
কাছে নিয়ে ছেলের
নামে নালিষ করলো । হেড সার
ছেলেটিকে তার রুমে ডাকলো ।
অনেক বকা ঝকা করলো ।
বাবা-মা দিয়ে পরের দিন
ক্লাসে আসতে বলল ।
"প্রথম দিন
তোমার বাবা-মা এসে সেই
যে ভর্তি করে দিয়ে গেল আর
তাদের মুখ এ দেখলাম না ১ বছরের ।
কাল যদি তোমার বাবা-মা আমার
সাথে দেখা না করে তুমি আর
ক্লাসে আসবে না ।
এখন যাও ।
ছেলেটির বয়স তত বেশী হবে সা ।
১৪-১৫ .
ছেলেটি কাদতে কাদতে ক্লাসে গিয়ে তার
ছিড়া - ব্যাগ টি নিয়ে বের
হয়ে গেল স্কুল থেকে ।
সেই থেকে ছেলেটি আর স্কুলে আসে না ।
অনেক দিন পর সেই স্কুলের হেড স্যার
একদিন রাস্তায় রিক্সার জন্য
দাড়িয়ে ছিল । কোথা থেকে যেন
একটা রিক্সা এসে বলল , স্যার উঠেন ।
স্কুলে যাবেন ?
স্যার একটু আশ্চর্য হয়ে রিক্সা চালকটির
দিকে তাকিয়ে রইলো ।
একটা ১৪-১৫ বছরের
ছেলে রিক্সা চালাচ্ছে ।
স্যার আরও বেশী অবাক হল , যখন
দেখলো এই ছেলেটা সেই ছেলে .
যাকে সে স্কুল থেকে বের করে দিয়ে ছিল

স্যার আর কথা বলতে পারলো ণা । চুপ
করে রিক্সায় উঠে বসলো।
ছেলেটি কথা বলতে শুরু করলো।
" স্যার , আমাকে চিনছেন ?
= স্যার , না (না চিনার ভান করে বলল
- )
"স্যার ঐ দিন পরীক্ষার
ফি দিতে পারি নাই তাই
আমাকে বের করে দিছিলেন।
আমি সেই ছেলে ।
= হুম . চিনতে পারছি "
স্যার আপনে ঐ দিন আমারে স্কুল
থেকে বের না করে দিয়ে আমি , আজ
না খেয়ে মরতাম ।
= মানে
" স্যার আমি এতিম । রাস্তায় রাস্তায়
ঘুরতাম । আর বিভিন্ন স্কুলের
সামনে দারাইয়া থাকতাম আর
ভাবতাম আমি যদি পরতে পারতাম ।
একদিন একটা , সাহেব তার বউ
আমারে দেইখা , আপনার
স্কুলে ভর্তি করাইয়া দিছিল।
আমি অনেক খুশি ছিলাম । কিন্তু
স্কুলে ভর্তি করানোর পর আর সেই
সাহেব- মেডাম রে দেখি নাই । আর
আমি পাগলের মত ,
খাইয়া না খাইয়া সারা দিন
স্কুলে পইরা থাকতাম । সাবই যখন
টিফিন খেত , আমি দূরে এক
কোনে বসে বসে ,
সবা্র খাওয়া দেখতাম । আর
কান্না করতাম ।
ক্ষিধা অনেক লাগতো । কিন্তু ক্লাস
করতে বেশী ভাল লাগতো । তাই
না খাই য়া ক্লাস করতাম । আর
রাতে গিয়া রাস্তার পাশে ঘুমাইতাম ।
আপনে আমারে স্কুল থেকে বের
করে দেবার পর বুঝতে পারলাম ,
পড়া শুনা আমাদের জন্য না । যাদের
পেটে ১ বেলা বরপেট খাবার
জুটে না , বাবা- মা নাই তাদের জন্য
পড়া লেখা না ।
তাই ঐ দিন থেকে স্যার
আমি রিক্সা চালাই
তাছি । এখন স্যার প্রতিদিন ৩
বেলা হোটেল এ ২ প্লেট ভাত ,
সাথে মাছ , ডাইল . দিয়া পেট
ভইরা ভাত খাই । .....
স্যার মাফ কইরা দিয়েন ,
আমি কি সব বকবক
কইরা আপনেরে ডিস্টার্ব করতাছি ।
স্যার স্কুল আইসা পরছে ।
= এই নেও ভাড়া ।
" স্যার এই ডা কি কন ?
আপনি আমার স্যার , আপনার
থেকে আমি টাকা নিয়া বেয়াদবি করতে পারমু
না । স্যার ।
বলে ছেলেটা চলে গেল ।
আর ততখনে , হেড স্যারের , দুচোখ
দিয়ে অঝর পানি পড়ছে ।
রুমাল দিয়ে মুছতেছিল , কিন্তু
এখন যেন আর মুছে শেষ
করা যাচ্ছে না । যেই
ছেলে টা কে সে , না জেনে অনেক
কথা শুনিয়ে স্কুল থেকে বের
করে দিয়ে ছে ,
আহ সেই ছেলে তাকে এত সম্মান দিল ?
স্যার হাটতে হাটতে আর চোখের
পানি মুছতে মুছতে নিজের
রুমে ডুকলেন ।
" আসুন না , আমরা এই রকম কিছু গরীব
ছেলেদের সাহায্যে এগিয়ে আসি ।
একদিনের জন্য নয় , ছেলেটির পাশে সব
সময় থাকি ।
আপনি এত টা কামাচ্ছেন , এর
থেকে যদি প্রতি মাসে , ২০০ টাকা ,
কোন গরীব ছেলের পড়াশুনার
খরচে ব্যয় করেন ,
দেখবেন নিজেকে অনেক সুখি লাগবে । )
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×