বোকা বোকা চেহারা নিয়ে অসহায়ত্ব দেখিয়ো না, বেকার লাগে
কখনো কখনো সেই সুযোগে কিছু ধূলাবালি তোমার অন্তঃকর্ণে প্রবেশ করতে পারে
ভোর হলে সব জানলা খুলে দিও না, তাতে ঠান্ডায় কেঁপে মরবে
তাই ভালো হয়, না বলতে শেখো
সুগার ড্যাডি, ফুটপাত রোমিও অথবা ধনী বাবার আলালের দুলাল
দেখতে চার্মিং লাগতে পারে, তোমার সব ডেজায়ার পূর্ণও হয়ে যেতে পারে
উস্কোখুস্কো চালচুলোহীন সেই ছেলেটা তোমার জন্য নষ্টও হয়ে যেতে পারে
তাই ভেবে দেখো কাকে হ্যাঁ বলবে! তাই না বলতে শেখো
বাসের কনুই চাচা, অটো বা সি.এন.জি’র মুক্তমনা শব্দের কিছু ড্রাইভার
ট্রেনে মানুষের বৃষ্টিতে বাবার বয়েসী লোকটার কর্মকান্ড দেখে হা হয়েও যেতে পারো
বিচার দিলে তোমার-ই প্রিয় শিক্ষক তোমাকে চেম্বারিং করার জন্য ডাকতেও পারে
কি করবে যখন ভেবে পাচ্ছো না, তখন প্লিজ! না বলতে শেখো
মা ডাক ডেকে যে চাচা তোমার পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে পারে
কোনটা প্রেমিকের স্পর্শ, আর কোনটা ধর্ষকের স্পর্শ মেয়ে তুমি তো জানো
সাবধান! পুরো ঘটনা মা-বাবাকে বলতে যেয়ো না, চড় খেতে পারো
এই মেয়ে? শুনছো? একবার না বলতে শেখো!
এরেঞ্জ ম্যারেজ হবে, না কি লাভ ম্যারেজ হবে সেটা তোমার বয়ফ্রেন্ড ঠিক করে দিতেও পারে
আর তুমি তোতাপাখির মত হ্যাঁ...হ্যাঁ... বলেও যেতে পারো
ফেলে আসা চার বছরে তার শাসন-শোষনে শুধু দেহটা-ই দান করে দিতে পেরেছো
এই সম্পর্ক রাখবে কি রাখবে না সেটা তোমার ব্যাপার, ব্যস! একবার না বলতে শেখো!
মনস্টার রেস্টুরেন্ট অথবা ডেভিল রেস্টুরেন্টে তোমার এরেঞ্জ ম্যারেজের নায়ক এসে হাজিরা দিতে পারে
তুমি কি পছন্দ করো জিজ্ঞেসা না করেই তিনি কোন এক পোকামাকড়ের ফ্রাই অর্ডার করতেই পারে
এপয়েন্টমেন্ট লেটার না পেয়ে তোমার হৃদয়ের টুকরো হতাশায় ফোনটা সুইচ অফ করে রাখতে পারে
এখন তুমি বাবার আবদার মেনে নিবে কিনা জানিনা, কাউকে তো না বলতে শেখো
ভূপেন হাজারিকা এক গানে কি মিষ্টি করে বলতে পারে
“বল কি তোমার ক্ষতি, জীবনের অথৈ নদী
পার হয় তোমাকে ধরে দূর্বল মানুষ যদি...”
তুমি তো বাঙালী মেয়ে, প্রমাণ রাখো বাঙালীত্বের, তাই অন্তত একবার না বলতে শেখো।