প্রত্যেকদিন যাদের আমার মতো বাদুরের মতো ঝুলতে হয় পাবলিক বাসে অখবা মাঝে মাঝে হলেও পাবলিক বাসে চড়তে হয় । সবাই নিশ্চয়ই শিরোনামটির সাথে পরিচিত ।
শিশু মানেই বাসে চড়ার ক্ষেত্রে অসহায়, অবোধ সুতরাং তাদের জন্য আমরা বিশেষ ছাড় দিতেই পারি। আর প্রতিবন্ধী শব্দটির সাথে জড়িয়ে আছে অসুস্থতা, অক্ষমতা। এক অর্থে প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতা করা মানে অসুস্থ মানুষদের সহযোগিতা করা তাই স্বভাবিক ভাবেই অসুস্থ মানুষকে বাসে একটু বসার ব্যবস্থা করা আমাদের মানবিক দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।
আর নারী? (মহিলা শব্দটি ব্যবহার করতে আমি অস্বস্তি বোধ করি)
তাuদের জন্য কেন আমরা বাসে বিশেষ সিট (আসন) সংরক্ষনের ব্যবস্ধা করলাম?
এই সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থাটা কি নোংরা হাতের ছোবল থেকে নারীদের রক্ষা করে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে?
নাকি নারী অবলা জাতি (!), তারা অসহায় (!) এই ভেবে এই সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা??
নিচের ঘটনা থেকে আমার এই জিজ্ঞাসা তৈরী হয়েছে কিন্তু কার কাছে এই জিজ্ঞাসা?
আমি জানিনা তাই ব্লগে শেয়ার করা।
আবদুল্লাহপুর থেকে বাসে উঠে দেখলাম বাসের বেশীরভাগ আসনই খালি। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং থেকে এক তরুনী উঠে তাuর পছন্দ মতো একটি আসনে বসলেন। তখনও বাসের বেশীর ভাগ আসনগুলো খালি। কিন্তু ঝামেলা হলো বিমানবন্দর গিয়ে। একসাথে এতলোক উঠলেন যে আসন সব মোটামুটি পূর্ণ শুধু সামনে ডানদিকের একটি আসন ফাকা। এক ভদ্রলোক (!) তরুনীকে ধমকের সুরে বললেন –
: আপনি এখানে বসে আছেন কেন? সামনে মহিলা সিট খালি আছে সেখানে যান।
: আমি এখানেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করছি, তাছাড়া সামনে প্রচুর শব্দ হয় আমি সহ্য করতে পারিনা।
: আমরা আপনাদের ভালো রাখত চাইলে কি হবে আপনারাই চান না সম্মান নিয়ে থাকতে
পুরুষদের সাথে ঘেষাঘেষি না করলে আপনাদের ভালো লাগেনা। তাছাড়া এখানেতো স্বাচ্ছন্দ বোধ করবেনই ............................
- তারপরের কথাগুলো লেখার যোগ্য নই অথবা লেখার যোগ্য করে উপনস্থাপনের ক্ষমতা আমার নেই।
তরুনীর স্বভাবিক জবাবের বিপরীতে এই ধরণের শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে তাই আমি বিশ্বাস করতে পারিনা।