জাগতীক সমস্ত অসাড় চিন্তাভাবনা গুলা বাদ দিয়ে আসুন সবাই একসাথে সুইসাইড করি। সবাই কিন্তু একটা করে সুইসাইড নোট লিখবেন, ওটাকে বালিশের নিচে চাপা দিয়ে রাখবেন, যদিওবা পড়ার জন্য কেউ থাকবেনা।
সুইসাইড নোটে লিখবেন...
যেহেতু বর্তমানে আমাদের দেশের জাতীয় গ্লানী হচ্ছে আমাদের শিক্ষা, সেহেতু আমাদের জাতীয় প্যশন হওয়া উচিত সিলিং এর সাথে দড়ি বেধে এক নিশ্বাসে ঝুলে পড়া।
আর আমরা আমাদের জাতীয়তা রক্ষার্থে চোখ বন্ধ করে দাত কেলিয়ে হাসতে হাসতে ঝুলে পড়লাম!!
দাড়ান ভাই! একটু দাড়ান... পায়ের নিচে টুলটা সরায়েননা, একটু ওয়েট করেন।
বছর তিনেক আগের একটা ঘটনা বলি। তখন ক্যান্টনমেন্টে ছিলাম।। ২০১৩ সালের এইস, এস, সি পরীক্ষার রেজাল্ট আউট হওয়ার পর একটা মেয়ে এমনই একটা সুইসাইড নোট লিখেছিলো,, নোটাটাতে লিখা ছিলো..
"যেহেতু আমার জীবনের সবচাইতে বড়ো গ্লানী পরীক্ষায় A+ না পাওয়া, সেহেতু আমার জীবনের প্যাশন হওয়া উচিৎ সিলিং এর সাথে দড়ি বেধে এক নিশ্বাসে ঝুলে পড়া। আর আমি আমার মা-বাবার সম্মান রক্ষার্থে হাসি মুখে ঝুলে পড়লাম"
যদিওবা মেয়েটা সুইসাইড নোটে ঝুলে পড়ার কথা বলেছিলো কিন্তু সে তা করেনি। বাথরুমে ঢুকে এক বোতল হারপীক সাবাড় করেছিল।। মেয়েটার মা কিছুক্ষনের মধ্যেই টের পেয়ে যায় এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পেট ওয়াশ করার ফলে মেয়েটা বেচে যায়।তবে যে হাস্যকর ইতিহাস জন্ম দিয়েছিলো ওটাতো আর ওয়াশ করা সম্ভব হয়নি।
তবে মেয়েটার সুইসাইড নোটটার কারনে বোঝা যায় যে তার মা বাবা তার কাছে শুধু জিপিএ ৫ আশা করেছিলো। কিন্তু সে ব্যার্থ হয়। আর এই ব্যর্থতার গ্লানী সে সহ্য করতে পারেনি।
খবরের কাগজ ঘাটাঘাটি করলে এমন অনেক খবরই পাবেন, জিপিএ ৫ না পাওয়ার কারনে ওমক সুইসাইড করছে, কেও ঝুলে পড়ছে, কেউ ৬ তলা থেইকা লাফ দিছে, কেউ বিষ পান করেছে
কেউ হারপিক খেয়েছে, কেউ শ্যাম্পু খেয়েছে আবার কেউ কেউ (বলা যাবেনা)
তবে এসব সুইসাইড গুলোর মুল কারন কি যানেন?
কারন হচ্ছে জিপিএ ৫ এর জন্য পারিবারক চাপ, যা অনেকে সহ্য করে বাচতে পারে আবার অনেকে পারেনা।
আর আজকালতো সবাই কম্পিটিশন দিয়ে পড়াশুনা করছে জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্য, যা আমাদের আউট নলেজগুলোকে এক্সপ্যান্ড করার জন্য মোটেও উপযোগী না। মুখস্ত বিদ্যা দিয়ে হয়তো মানসম্মত জিপিএ পাওয়া যায় তবে মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া যায়না।
তাই সমস্ত মা বাবাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা বলি। আপনারা আপনাদের সন্তানকে শুধুমাত্র জিপিএ ৫ পাওয়ার জন্য স্কুল কলেজে পাঠাবেননা, পাঠাবেন কিছু শেখার উদ্দেশ্যে, কিছু যানার উদ্দেশ্যে।
তাহলে ছেলে মেয়ে গুলোর আর সুইসাইড নোট লিখতে হবেনা।
"ঘটনা শেষ" । এবার সবাই ঝুলে পড়তে পারেন। তবে দয়া কইরা হারপিক খাইয়া আরেকটা ইতিহাস রচনা কইরেননা।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৬