জঙ্গী তৈরী হয়না, তৈরী করা হয়,,
তবে কারা তৈরী করে! এদের গড ফাদার
কে?
ইটিজ আউট অব নলেজ___
আজকে যদি সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলি
তাহলে হয়তো কাল আমার অবস্থান হবে
জেল।
আর যদি বিরোধী দলের বিরুদ্ধে কথা বলি
তাহলে আগামী কাল যে, দুইজন হুজুর এসে
আমাকে কুপিয়ে যাবেনা এ বিষয়ে
গ্যারান্টি দিতে পারছিনা।
সুতরাং বাঙ্গালী হিসাবে আমার দায়িত্ব
চুপ থাকেন।
সত্যি ভাই, বোবার কোন সত্রু নাই।
একজনের বিরুদ্ধে কথা বল্লে পুলিশের
মাইর, আরেকজনের বিরুদ্ধে কথা বল্লে
চাপাতির কোপে রক্ত বিসর্জন!
তাইতো বাঙ্গালী আজ চুপ,
দেশের স্বাধীন চেতারা আজ ঘুমিয় আছেন।
দেশের অবস্থা আর কি হওয়া উচিৎ??
ছাত্রলীগের নেতারা মেইনরোডে বাইক
দিয়ে শো- ডউন করে,
পুরো রাস্তা ব্লক করে যাইগায় যাইগায়
দাড়িয়ে পোজ দিয়ে ছবি তুলছে,
আর দুর্ভোগে আছেন পেছনের গাড়ি
গুলোতে থাকা সাধারন জনগন।
সবচাইতে বেশি অবাক হয়েছিলাম,
এলাকার গরু চরানো এক ছেলে, বয়স
হয়তো ১৫, ১৬ বছর হবে।
সারাদিন গরু চরিয়ে বেড়ায়,
সেই ছেলেও এখন রাজনীতি করে,
শুধু তাই নয়, এলাকার ওলি-গলিতে
বেনার গুলোতে নেতাজির পাশে তার
ছবি।
হোয়াট এ পোজ! বলে বুঝাতে পারবোনা।
আজকে ছাত্রলীগের যে শো-ডাউনটা
দেখলাম তাতে বেশিরভাগ নেতা আমাদের
চাইতে অনেক কম বয়সের।
সরি ওরা নেতা না, ওরা নেতার বাহীনি।
নেতাদের এই অব্ভ্যাসটায় আমার খুব ভালো
লাগে, খুব এন্টারটেইনমেন্ট আছে।
এনারা দল ভারি করার জন্য দুধের বাচ্ছা
গুলোকে খুবই খাতির করে কাজে
লাগাচ্ছেন।
জাস্ট ওয়াও,, এটা নেতাদের একটা ওয়াও
বৈশিষ্ট।
শুনলাম ফেসবুকে নাকি রাজনৈতিক আলাপ
আলোচনা করা নিষিদ্ধ??
বিশেষ করে যারা নাকি আলোচনা করেছে
তারা নাকি গুম হয়ে গেছেন!!
বাট রিয়েলি আইএম ভেরি নীরিহো, এনি
দল করিনা।
তবে দেশের একজন নাগরীক হিসাবে কিছু
বলার অধিকারতো থেকেই যায়।
কোন সরকার ক্ষমতায় এলো এটা আমাদের
জেনারেল পাবলিক এর যানার বিষয় না।
আমরা শুধু চাই রাস্তা ঘাটে একটু
নীরাপত্তা।
ব্যাস, এটায় আমাদের কাম্য।
আমরা রাস্তায় রাজনৈতিক নেতাদের
বাইক শো-ডাউন দেখতে চাইনা।
এটা হয়তো ওনাদের জন্য খুব আনন্দের তবে
পাবলিকের জন্য খুব বিরক্তিকর।
রাজনীতির নামে সাধারন জনগনকে
বিভ্রান্তে না ফেলাটায় বোধায় একজন
আদর্শ নেতার দায়িত্ব।।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৪:০৮