জানু, জানো এখন আমি কি করছি? -কি করো গো! -দুই পাশে গাছের সারি, নীলাকাশ ছোয়া বৃক্ষরাজি তার মাঝ দিয়ে বয়ে চলে সমান্তরাল রেললাইনে হাটছি। কল্পনায় তোমার হাতটি ধরে ভেসে যাচ্ছি স্বপ্নের দেশে। -ওয়াও অনেক রোমান্টিক জায়গা তাই না জান? -আচ্ছা যদি হারিয়ে যাই আমরা এই পথ ধরে... -উ, তারপর? -তারপর..-হ্যালো, এই, কি হয়েছে.... হ্যালো হ্যালো........হ্যালো...কথা বল না কেন হ্যালো!!! আর হ্যালো হ্যালো করে লাভ নাই আপা, নাইম্যা আসেন এখনি ট্রেন আইবো।
এই হ্যালো কি তা জানেন? হ্যালো একটি মেয়ের নাম, পুরো নাম মার্গারেট হ্যালো (Margaret Hello)। তিনি ছিলেন আলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেলের (Alaxander Graham Bell) গার্লফ্রেন্ড। গ্রাহাম বেল টেলিফোন আবিষ্কার করে তিনি প্রথম যে কথাটি বলেন, তা হলো ‘হ্যালো’। সেই থেকেই হ্যালো শব্দটি বিশ্বজুড়ে টেলিফোন ব্যবহারকারীদের কাছে একটি প্রিয় শব্দ।
হ্যালো বলার সুবিধে-অসুবিধে দুই-ই আছে। যাঁরা ইংরেজি সম্ভাষণের বিরোধী তাঁরা বলেন ‘হ্যাঁ’, ‘বলছি’ ইত্যাদি। হ্যালো একটা ইংরেজি শব্দ। হ্যালো বলাটা এখন বিশ্বজনীন। আর একটা সুবিধে এই যে, এতে সম্বোধনের ‘তুই-তুমি-আপনি’র ঝঞ্ঝাট এড়ানো যায়।
হ্যালোকে নিয়ে শিল্পী অঞ্জন দত্ত এর অমর গানটি "হ্যালো ২৪৪ ১১ ৩৯" এখনো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। যাই হোক পৃথিবীতে যত ভাষাভাষি মানুষ আছে তাদের ভাষার ভিন্নতা থাকলেও "হালো" শব্দটি উচ্চরনগত দিক দিয়ে এখন পর্যন্ত অবিকৃত ও বহুল ব্যবহ্নত শব্দ। মানুষ গ্রাহাম বেলকে ভুলে গেলেও কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষটিকে ভুলেনি।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:২৭