শহুরে জীবনে একটু ফুরসত পেলেই বাউণ্ডুলে মন ছুটে যায় প্রকৃতির কোলে। আসলেই কি তাই? কংক্রিটের খাঁচা ছেড়ে হোটেল, মোটেল কিংবা রিসোর্টেই যদি মাথা গুঁজতে হয় তাহলে যে প্রকৃতি থেকে যায় অধরাই ! কৃত্রিমতা থেকে বের না হয়ে নিজের অজান্তেই আটকে যাচ্ছি বিলাসিতায়। করছি টাকার শ্রাদ্ধ ! তাহলে উপায়? একেবারেই প্রকৃতির সন্তান হয়ে কটা দিন কাটানোর জন্য সবচেয়ে ভালো হলো ক্যাম্পিং। সোজা কথায় তাবুবাস। রিজার্ভেশন, চেক ইন-আউটের ঝক্কি-ঝামেলা ফেলে তাবু, স্লিপিং ব্যাগ নিয়ে ছুট সাগর সৈকতে, পাহাড়ে-বনে, নদীর পাড়ে- বিরান চরে অথবা ঘাসে ঢাকা প্রান্তরে! আর মেহমানদারির দায়িত্বটা ছেড়ে দিন প্রকৃতির ওপর। জোনাক জ্বলা নিশুতি রাতে জ্যোৎস্নার হাসি, ঝর্ণা-ঢেউয়ের ঝংকার এসবের সাথে ক্যাম্পফায়ার, বারবিকিউ, আড্ডা-গান-গিটার! কি ভালো না?
‘এডভেঞ্চার’ শব্দ শুনলেই কেমন গা শিউরে উঠে। ইচ্ছে হয় এখনই যোগ দেই সেই এডভেঞ্চারে। কিন্তু চাইলে তো সব সম্ভব নয়। ব্যস্ততার ধূসরতা ধুয়ে মনকে ফুরফুরে সতেজ করতে ক্যাম্পিংয়ের জন্য গত তিন দিন ঢাকা শহরের বিভিন্ন দোকানে ও অনলাইনে তাবু কেনার জন্য ঘুরছি। কিন্তু অদ্যাবধি ভাল মানের তাবু পাইনি। আশা করছি আগামী কাল পাবো।
ক্যাম্পিংয়ের জন্য অপরূপ লীলাভুমি বান্দরবন জেলার থানচি উপজেলার নয়নাভিরাম বাংলার ভুস্বর্গ তিন্দু নির্ধারন করা হয়ছে। এডভেঞ্চার ইন ফরেস্ট… গহীন জঙ্গলে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে তিন্দু যাত্রা। রোমাঞ্চকর এক অনুভূতি আশা করছি!!
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:২৩