মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারাধীন মামলা নিয়ে জনসম্মুখে মন্তব্য করার বিষয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে অব্যাহতি পেলেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ বিষয়টি নিষ্পত্তি করে এ আদেশ দেন।
আদেশে বলা হয়, বিচারাধীন বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এ ধরনের কাল্পনিক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকা উচিত। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন বলে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা হলো।
গত ২৩ ডিসেম্বর ‘আমার দেশ’ পত্রিকায় ১৪ দলের গণমিছিলে সুরঞ্জিতের বক্তব্যকে উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে তিনি বলেন, আগামী বছর ২০১৩ সাল ১৪ জন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীর রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের যেকোনো সময় রায়ে চিহ্নিত ১৪ যুদ্ধাপরাধীর বিচার শেষ হবে। তাঁদের ফাঁসির রায়ও কার্যকর করা হবে। কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এই বক্তব্য ট্রাইব্যুনালের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাহানিকর এবং তা স্বাধীন বিচার প্রশাসনের জন্য বাধাস্বরূপ উল্লেখ করে ২৪ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁর কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে আদেশ দেন।
ওই আদেশে ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, তিনি কীভাবে এবং কিসের ভিত্তিতে মানুষের সামনে এ ধরনের ‘কাল্পনিক’ ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, তা ট্রাইব্যুনালের জানা প্রয়োজন।
পরে সুরঞ্জিত তাঁর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেন। তাঁর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার।