somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রীর ঘটনাবহুল কিছু বির্তকিত বক্তব্য : যা দেশে সমালোচনার ঝড় উঠে!

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীর দেশপ্রেম ও জনগণের প্রতাশা
প্রধানমন্ত্রীর আলোচিত মন্তব্য : গত বছরের ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারওয়ার ও তার স্ত্রী এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি। দেশের আলোচিত ও নির্মম এ হত্যাকান্ডের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৩ ফেব্রুয়ারি গণভবনে দলীয় এক অনুষ্ঠানে বলেন, আমরা কী মানুষের বেডরুমে পুলিশ বসাতে পারব? সরকারের পক্ষে কারও বেডরুম পাহারা দেয়া সম্ভব নয়।
ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৭ জানুয়ারি গণভবনে এক মতবিনিময় সভায় বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আপনি এত অস্থির কেন? তত্ত্বাবধায়ক এলেই যে বিরোধীদলীয় নেতাকে চ্যাংদোলা করে ক্ষমতায় বসাবে তার গ্যারান্টি কী? ৭ মার্চ অনুরূপ আরেকটি মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
ওইদিন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে দলের শোভাযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে ক্ষমতায় বসাবে না।
বিরোধী দলীয় নেতা আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি সেনা গোয়েন্দা সংস্থা) কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন এমন অভিযোগ তুলে ১৪ মার্চ এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে দেশের কাছ থেকে টাকা নেন আপনি সেদেশেই চলে যান। পাকিস্তানের প্রতি আপনার এতই দরদ থাকে তো সেখানে চলে যান।
এশিয়া কাপ ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের পরাজয় প্রসঙ্গ তুলে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যিনি (বেগম জিয়া) জীবনে কোনো দিন মাঠে যান না, সেদিন কেন গিয়েছিলেন? হঠাত্ করে তিনি ত্রিক্রকেটপ্রেমীই বা হয়ে গেলেন কেন? কাদের উত্সাহ দিতে তিনি মাঠে গিয়েছিলেন? তিনি যদি মাঠে না যেতেন তাহলে...। উল্লেখ্য, এই বক্তব্য দেয়ার দুদিন আগে মিরপুর জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত স্বাগতিক বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে এশিয়া কাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ দুই রানে পরাজিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া দুজনই ওই খেলা দেখতে স্টেডিয়ামে যান।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আইসিটি মন্ত্রী আবুল হোসেনকে দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করেন। গত ২৬ জুলাই লন্ডনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, আবুল হোসেন প্রকৃত বড় দেশপ্রেমিক। দেশপ্রেম আর সত্ সাহস আছে বলেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
১৫ সেপ্টেম্বর দলের কার্যনিবাহী সংসদের বৈঠকে বিশিষ্ট সাংবাদিক এবিএম মূসার সমালোচনা করে তিনি বলেন, উনাকে (এবিএম মূসাকে) মিডিয়া (টিভি চ্যানেল) দিলে টাকা কোথায় পেতেন? চুরি করতেন না ভিক্ষা করতেন?
১১ অক্টোবর টকশোর আলোচকদের কড়া সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগে তো আমরা জানতাম—মধ্যরাতে সিঁধ কাটতে যায়। আর এখন মধ্যরাতে আমাদের গলা কাটতে ও ধ্বংস করতে যায়। ঘুম কামাই দিয়ে রাত জেগে টকশো করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। পত্র-পত্রিকার মালিকদের চাহিদা পূরণ না হলেই তারা বেজার হয়ে যান এবং আমাদের বিরুদ্ধে অনেক কথাই লেখেন।
জুন মাসের ২ তারিখে গণভবনে শেখ হাসিনা বলেন, মিডিয়া সত্য-মিথ্যা যাচাই-বাছাই না করেই সরকারের বিরুদ্ধে লিখছে। এগুলো সম্পূর্ণ ভুয়া খবর। প্রতিদিন সরকারের বিরুদ্ধে না লিখলে, তাদের পেটের ভাতই হজম হয় না। সরকারের বিরুদ্ধে তাদের লিখতেই হবে।
এদিকে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও কুইক রেন্টাল নিয়ে সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণ যাতে লোডশেডিংয়ের কথা ভুলে না যায় তারজন্য প্রতিদিন দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে বিদ্যুত্ বিভাগকে বলেছি।
রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলার জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করে গত ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলায় একটা কথা আছে না—সর্প হয়ে দংশন করে ওঝা হয়ে ঝাড়ে। আমি বিএনপি নেত্রীকে বলব—আপনি সর্প হয়ে দংশন করেন আর ওঝা হয়ে ঝাড়েন। এই খেলাটা বন্ধ করেন।
গত ২০ ডিসেম্বর যশোরে এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে বলেছেন, তিনি তেল মারতেই ভারতে গিয়েছিলেন। উনি (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় থাকলে একেবারে ভারতপ্রীতি আর বিরোধীদলে থাকলে ভারত বিরোধিতা। ভারত সফরে গিয়ে টিপাইমুখে বাঁধ ও সীমান্ত হত্যার কথা ভুলে গিয়ে তেল মারায় ব্যস্ত ছিলেন।
এটাই হচ্ছে একটি দেশের সরকার প্রধানের বক্তব্য যা নতুন প্রজন্মকে আরো সামনে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে ।
আমাদের আশা, ২০১৩ সালটা সরকার দেশের জনগণকে আরো নতুন নতুন আশার বানী শুনাবেন। সেই বানীতে দেশের সাধারণ মানুষ নীল হয়ে যাবেন। সামনে সেই ভয়ংকর দিন হয়তো অপেক্ষা করছে।



৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×