ঘেঁটু পুত্র কমলা সর্ম্পকে আপনারা সবাই অবগত আছেন। যারা প্রতিদিন বিভিন্ন পত্র পত্রিকা টেলিভিশন দেখেন । বিশেষ করে আমাদের শ্রদ্বেয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ এর মৃত্যুর পর আরো বেশী করে সবাই জেনেছেন। কারন এটা ছিলো তার সর্বশেষ মুভি;কিনতু এই সর্বশেষ মুভিটাই তিনি এমন একটা কাহিনী নিয়ে তৈরী করলেন যা আমাদের যুব সমাজ তথা গোটা জাতির জন্যে একটি বিপদ সংকেত । এতে কারো কোনো সন্দেহ নেই হুমায়ুন আহমেদ একজন বড়ো মাপের লেখক ছিলেন; কিš‘ তিনি যে মুভিটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যে রেখে গেলেন তা আমাদের যুব সমাজ বর্তমান প্রজন্মের কিশোর কিশোরীদের জন্যে কি ফল বয়ে আনবে তা কি তিনি একবার ভেবে দেখেছেন? এই মুভিটির কাহিনীতে তুলে ধরেছেন সেকেলের জমিদারী প্রথায় সমকামীতার প্রভাব; কিনতু আসলে কতটুকু সত্য ঘটনা যা আমাদের সমাজের সাথে মানান সই। আসলেই কি দেড়শত বছর আগে আমদের দেশে সমকামীতা ছিলো? এই মুভিতে ১২/১৩ বছরের ছেলেকে ঘেটু পুত্র হিসেবে উপ¯’াপন করা হয়েছে। যা আমাদের সংস্কৃতিতে কখনো প্রচলিত বা প্রচলন ছিলো না। মুভিটা দ্বারা বর্তমান যুব সমাজকে আরো সমকামীতায় উৎসাহিত করা হলো। যা হুমায়ুন আহমেদ এর মতো একজন স্বনামধন্য লেখক করতে পারেন না। তার একটি মুভির মাধ্যমে গোটা জাতির ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবন ধ্বংসের দিকে চলে যাক এটা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। পাশ্চ্যাত ও পশ্চিমা দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত হয় বা ঐ সব দেশের সরকারও সমকামীতাকে বৈধ্যতা দিয়েছেন বা দিতেছেন, আমাদের মতো উন্নয়নশীল একটি মুসলমান দেশে যেখানে শতকরা ৯০ ভাগ মুসলমান সেখানে এই ধরনের বিপদজনক মুভি মুক্তি দেয়া বা দেখানো কতটুকু সমোচীন হবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। দেশের সুশীল সমাজ ও সরকারের কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা এই ধরনের ভীন দেশী একটা ঘৃনীত কাজকে যদি আমরা এখনই প্রশ্রয় দেই তাহলে আরো অনেকেই সাহস পাবে এ ধরনের মুভি তৈরী করার জন্যে। এতে করে বিপদগামী হয়ে পরবে দেশ ও জাতি এবং দেশে অপরাধ প্রবনতা আরো বেড়ে যাবে। আমরা যদি আমাদের সংস্কৃতিকে আরো সুন্দর করে বর্হিবিশ্বে ফুটিয়ে তুলি তাহলে আমাদের জন্যে মংগল বয়ে আনবে, আমরা অন্য দেশের সংস্কৃতিকে আমাদের দেশে প্রবেশ না করিয়ে বৈধ্যতা না দিয়ে বরং আমাদের কৃষ্টি ও কালচারকে আরো কিভাবে সুন্দর করা যায় সেদিকে আমাদের নযর দিতে হবে। এমনিতে আকাশ সংস্কৃতির কারনে বর্তমানে দেশে অপরাধ প্রবনতা বেড়েই চলেছে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে যুব সমাজ। যদি মুভিটি দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ও বিভিন্ন স্যাটেলাইট টেলিভিশনে দেখানো হয় তাহলে বর্তমান তরুন তরুনীরা আরো বেশী অপরাধমুলক কাজে জড়িয়ে পড়বে। তাই আমরা সম্পূর্ন শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই যদিও মুভিটি তৈরী করতে বিনিয়োগ করতে হয়েছে, তারপরও দেশের যুব সমাজের দিকে, ভাবী প্রজন্মের কথা বিবেচনা করে যারা এখন মুভিটি মুক্তি দেয়ার কথা ভাবছেন তাদের তা মুক্তি দেয়া থেকে বিরত থাকা । এতে করে আপনাদের সাময়িক কিছু আর্থিক ক্ষতি হলেও ভবিষ্যতের অনেক বড়ো ক্ষতির হাত থেকে আমরা সবাই বাঁচতে পারবো। যদিও আমাদের কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদ ছোটদেরকে এই নেগিটিভ মাইন্ডের মুভিটি না দেখার জন্যে বলেছেন; কিনতু মুভিটি বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহ ও সেটেলাইট চ্যানেল যখন দেখাবে এতে ছোটরাও দেখবে। শুনেছি ৭ সেপ্টেম্বর মুভিটি মুক্তি পাবে বলাকা ও স্টার সিনেতে। তারপর সারাদেশে মুক্তি পাবে। তারপরও আমরা জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের জন্যে দোয়া করি আল্লাহ যেন ওনাকে জান্নাত নছিব করেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:০৮