ফেল্টু পোলাপাইনের মধ্যে দার্শনিক-দার্শনিক ভাব'টা অটো আয়া পরে । আর সঙ্গদোষে'তো পুরাই দার্শনিক .. তখন হপায় মেট্টিক দিছি .. ম্যালা অবশর .. ভাবের বন্ধুরা সব ফ্যাশানের নাস্তিক .. ইজ্জত বাচাইতে কি আর করা .. আমি'ও ভাব ধরলাম .. উঠতে বসতে মহম্মদরে .. আল্লারে গাইলাই।
যাউক গা .. এই ছুটিতেই একদিন আস্তিক বন্ধুরা একা পায়া জাইকা ধরলো - "তোর সমস্যা কি ? নবী রসুল মানস্ না ?"
কিছু কইতে পারিনা .. ঝাইরা কাশতে'ও তখন ভয় লাগে .. বন্ধুগো হম্বিতম্বি বাইড়া গ্যালে শেষে নিরুপায় হয়া জিগাইলাম - " আচ্ছা দোস্তরা ... ... আমি যদি বান্দরবনের কোন গুহায় ১৫ বছর ধ্যান শেষে একদিন হঠাৎ বাইড়ায়া তোগোরে কই - .. দোস্ আল্লার ফেরেস্তা আমার কাছে আইছিলো .. আমিতো দেইখা টাস্কি .. কয় নব্যুয়াত লাভ করছি .. আল্লার নবী হয়া গেছি .. এহন্তে তোরা আমার উম্মত ... তাইলে দোস্তরা, তোরা আমারে কি করবি ?" ... ...
খাড়ার উপরে আমার দোস্তরা ভ্যাবলা খায় .. আর কিছু জিগায় নাই সেদিন ...
যদিও প্রশ্নটা আৎকা করছিলাম .. কোন কিছু না বুইঝা .. তারপরের ম্যালা দিন নিজেরে নিজেই প্রশ্নটা করছি .. তখন'ও ভাবের নাস্তিক .. যেকোন সময় প্যাভেলিয়নে ফেরত আমু .. এরম ব্যাপার আর কি !
... ... আগের প্রস্তুতি
খাটি Rock'N'Roll"এর লাইগা একটা রক্তের টান জন্মাইছিলো সেই ক্লাস এইটে থাকতে .. মেটালিকা , গান"সএনরোজেস খায়া শেষ ... রেইনবো, ডিপ'পার্পল দিয়া ঢেকুর । .. রক্তে .. ঘামে .. হাগায় .. মুতায় .. খালি বিদ্রোহ আর বিদ্রোহ ..
আর ভাব .. বয়সটাই ওরম ।
ফাতরা পপ মার্কা গানের বেইল নাই .. মাগার আৎকা Bee Gees"এর I started a joke শুইনা পুরা ভ্যাবলা খাইলাম ..
কি হইলো এইটা ! ..
কি কয় ?
আরেকটা গান নেশার মত খাওয়া শুরু করছিলাম সেইসম ..
AC/DC"র ... টাইটেল'টাই জটিলস্ "Who made who?" ..
মাত্র তিনটা শব্দের প্রশ্নটা পরে অনেক, অনেক প্রশ্নের উত্তর খুইজা নিতে ব্যাপক সাহায্য করছিল ..
আর হিসাব মিলাইতে নিজস্ব একটা পৌরানিক গল্প'ও তৈরী কইরা ফালাই মনে মনে ..
... ... Who made who?
প্রাচীনতম মানুষটি গাছ থেকে নেমে মেরুদন্ড সোজা করে হাটা শুরু করে .. অনেক দিনের স্বপ্নই হোক বা উচ্চাশাই হোক কিংবা সাফল্যই হোক .. একবার সে কি যেনো ভেবে থমকে দাঁড়ায় ... আকাশের দিকে তাকায় .. কিম্বা ... দুরতম কোন প্রাচীন রহস্যের দিকে তাকিয়ে মনে মনে কি যেনো বলে ... আধুনিক আমরা ঠিক যে ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন করি সেরকম ।
এর অনেক অনেক পরে .. তখন'ও ঈশ্বরের ধারনা মানুষের মধ্যে পোক্ত হয়নি ... প্রাচীনতম কৃষকটি তার জমিতে দাঁড়িয়ে হাহাকার করে .. অনাবৃষ্টি, ক্ষরায় তার ফসলের গায়ে গায়ে আসন্ন মৃত্যর আভাষ। দুচোখ হাহাকার নিয়ে আকাশের দিকে তাকায় কৃষক ... হুদাই ... আর কোন দিকে যে তাকানোর নেই ... বাড়ি ফিরে যায় ...
কি আশ্চর্য বিকেলের মধ্যেই আকাশ ঘন করে মেঘ জমতে থাকে ...
সেই প্রাচীন কৃষক বাড়ি থেকে বের হয় ... কিছুক্ষন চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে দেখে আকাশ'টাকে ... কৃতজ্ঞতায় ভরে ওঠে তার চোখ ... ঠোট দুটো বিড়বিড় করে কি যেন বলে ওঠে .. আবার বোধ হয় সেই ধন্যবাদ জ্ঞ্যাপন।
চেনা গন্ডি আর জ্ঞান ঠিক যে প্রান্তে শেষ হয়ে ... "অজানা"র শুরুটা সেখানেই ... অজ্ঞানতা, রহস্য, কৌতুহল আর বিশেষ করে ভয়...
সব মিলিয়ে অস্তিত্ব-প্ররোচিত প্রাচীন মানুষগুলো একটা করে ব্যাখ্যা-গল্প দাড় করায় স্ব"অবস্থান থেকে।
নবী, রাসুল কিম্বা আসমানী কেতাবের দাবীর অনেক-অনেক আগে থেকেই ব্যাক্তিভেদে, গোত্রভেদে, অঞ্চলভেদে মানুষ নিজ্বস প্রতিভা ব্যায়ে
নিজ-নিজ আকারের, ক্ষমতার, পরিব্যাপ্তির ঈশ্বর বানিয়ে নেয়।
.. মানুষ ঈশ্বরকে জন্ম দিয়েছিল .. তার একান্ত মুহুর্তে .. সাফল্যে, ব্যর্থতায়, অসহায়ত্বে এবং ভয়ে।
যাউক গা .. পড়ালেখার অভ্যাস ছুট'বেলাত্থেই কম, নাস্তিকতার উপর পড়ালেখা হয় নাই কইলেই চলে .. ফাপড়'বাজীই আমার ভরসা।
আর ধর্ম, ধর্ম'বাজদের খারাপ দিক গুলা চোখে পড়লেই যে নাস্তিকতার আকর্ষন বাইড়া যাবে তাও না ..
এই দুই পন্থাই আমার কাছে খুব হাল্কা মনে হয় ..
মেইনলি হাল্কার উপর ঝাপসা ঈশ্বর সাধনা থাইকা মার্কেটের প্রচলিত ঈশ্বরগুলা আস্তে আস্তে চিত্ত্"থে উইঠা যাওয়া শুরু করে .. পুরা ব্যাপারটাই উপলব্ধির ..
... ... উপলব্ধি: সামন্তযুগের ঈশ্বর সামন্তবাদী'ই হয়
- তাকে স্বীকৃতি দিতে হয় - তাকে খুশি রাখতে হয় - মাথা নোয়াতে হয়
- তাকে খাজনা দিতে হয় - তার মতামত'ই চুড়ান্ত - তার মেজাজ খারাপ করানো চলবেনা ... আর এসব ঠিকঠাক করতে পারলে আমগো লাইগা গায়েবী পুরস্কারের ব্যাবস্থা রাখছেন ..
বাহ ! .. এই না হলে রাজা ।
তার আবার প্রধান শত্রু'ও আছে .. যে নাকি তার প্রজাদের সর্বদা বিপথে নিতে চায় .. আহা ! পুরাই ষোলকলা পুর্ন রাজ'দরবার ...
মোটের উপর .. সামন্তযুগের কারিগরের সমকালীন ধ্যান'ধারনার বাইরে সেই কারিগরের ঈশ্বর কোন'দিন বাইরাইতে পারেনাই ..
মাঝে মাঝে ভাবি ... এই গণতান্ত্রিক যুগে যদি কোন নবী-রাসুল আহে .. তাইলে তাগো ঈশ্বর, পরকাল, ক্ষমতা, গায়েবী পারদর্শীতা, ওহী-মহী ক্যামন হইবো ?
নিশ্চিতঃ ফেরেশ্তারা U.F.O."তে কইরা আইবো .. শয়তানের চেহারা হইবো স্পীল বার্গের এলিয়েনের মত .. গায়েবী পারদর্শিতা হইবো - ম্যাট্রিক্সের নিও"র মতো .. আকাশে উড়বো, হাল্কের মতো পাহার ধ্বসায়া দিবো ... নানান তেলেছমাতি ... এগোলার আবার সাক্ষী"ও থাকবো কেউ কেউ ...
ওহী নাজিল হইবো ইন্টার নেটে .. সিঙ্গাপুরে ডাটা ব্যাক'আপ থাকবো ..
... ... উপলব্ধি: মানুষের ঈশ্বর মানবিক গুনাগুনেই অতুলনীয়
হাস্যকরই বটে, মানুষের ঈশ্বর যখন মানবিক গুনাবলিতে স্বয়ং মানুষের সাথেই প্রতিযোগিতায় নামে ...
... ... উপলব্ধি: যে ঈশ্বর আমার নয়
যে ঈশ্বর নিজের অস্তিত্ব প্রমানেই এতই ব্যাকুল, ঘ্যানঘ্যান করতে করতে মাথা খারাপ কইরা দেয় যে "সে আছেই" .. সে আমার ঈশ্বর হয় কি করে ?
না থাকতে আপত্তি যার এত বেশি ..
সে যে আসলে নেই তা কিন্তু সেও বোঝে নাই ..
বুঝলে থাকার জন্য এত ব্যাকুল হইতো না হয়তো ।
যাই হোক ... অবিশ্বাসের "দশা" ঠিক কবে"ত্থে শুরু হইলো কইতে পারুম না .. এম্নে এম্নেই আর কি .. জ্ঞান হওয়ার পর থেইকাই সবসময় ট্রাই করছি .. গোড়ায় ফিরা যাইতে ... বিশ্বাসের শুন্য স্থানাংকে ফিরা যায়া সেই অবস্থান থাইকা "ধর্ম .. ধর্মের দাবীকৃত ঈশ্বর" - এগুলার দিকে ফিরা তাকাইতে .. ।
হইতে পারে এই অবস্থান'টারে অনেকে নাস্তিকতা কয় .. অনেকে অনেক নামে ডাকে .. মাগার .. আমার কাছে এইটা শুন্য স্থানাংকের সাধনা ..
আস্তিক না নাস্তিক .. ব্যাপারস্ না ।
আসল ঈশ্বর আছে কি নাই ব্যাপারস্ না ... তয় ... বাজি ধইরা কইতে পারি .. মার্কেটে যত ঈশ্বর আছে এগুলার একটাও নাইক্কা ..
আহেন বাজি লাগি ... পরকালে ফয়সালা হইবো ...
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মার্চ, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭