শুরুতেই বলছি সাম্প্রদায়িক দাঙা আমার উদ্দেশ্য না.......
কয়েকদিন যাবৎ মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী একটা খবর....
নারায়ণগন্জ্ঞের বন্দরে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে কানে ধরে উঠা-বসা করিয়ে শাস্তি প্রদান..... আর স্কুলটিতে আমার নানু বাড়ির অনেকেই পড়েছে.....
শিক্ষককে শাস্তি দিয়েছেন একজন জনপ্রতিনিধি.....
অনেক মিডিয়া,মানবাধিকার কর্মী,মুক্তচিন্তার লোক এর প্রতিবাদ করেছেন এবং অনেক হিন্দু ভাইদের নিয়ে প্রতিবাদী বলয় তৈরী করার চেষ্টা করছেন.....
একটু ভাবুন.......
শুধু শুধু এবং কোনো কারন ছাড়া কিন্তু ঐ শিক্ষক কে এত বড় অপমানজনক শাস্তি প্রদান করা হয় নি যে তার শাস্তির নির্দেশ দিয়েছে সে হয়তো এমন কোনো অভিযোগ বা প্রমাণ পেয়েছে বলেই এমন শাস্তির হুকুম দিয়েছে।
চিন্তা করুন তো!!!
যদি কোনো মুসলমান শিক্ষক ভারতে হিন্দু ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করতো তাহলে তার অবস্থা কেমন হতো????
কিছুদিন আগে মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর অবস্থা কি হয়েছিলো মনে আছে???
তখন তো আপনারা এত প্রতিবাদ করেন নি???
আজ ওনি শিক্ষক বলে???
-না আসলে ওনি হিন্দু শিক্ষক বলে এত আওড়াচ্ছেন মানবতাবাদীরা.....
কোনো কিছু হলেই অনেকে বলে সংখ্যালঘু কিন্তু আপনারা কি জানেন সংখ্যালঘু শব্দটি দ্বারা আপনারা আপনাদের ছোট করছেন আর ঐ দিকে আই এস এর মতো সংগঠন আপনাদের সহ দেশের এবং দেশের মুসলমানদের ছোট করার সুযোগ পাচ্ছে।
আপনার ধর্ম আপনি পালন করেন তাতে কারো কিছু যায় আসে না তবে অনের ধর্ম কে সম্মান দিতে শিখেন না হলে যেকোনো সময় আপনাকে কানে ধরে উঠা-বসা করতে হতে পারে........
আসলে কিছু নরপিচাশ মুসলমান নামধারী আর কুৎসিত মনের মানুষদের জন্য কেউ এমন কিছু করার সাহস পায়......
হতে পারে মানুষ মাত্রই ভুল শিক্ষক ভুল করেছেন আর তার শাস্তিও পেয়েছেন কিন্তু যারা মানবাধীকার মানবাধীকার করে ঘেউ ঘেউ করছেন তাদের জানা উচিৎ "বিনা বাতাসে গাছের পাতা ও নড়ে না"......
যার যার ধর্ম সে সে পালন করুক তবে অন্যের ধর্মকে সম্মান প্রদর্শন করে এটাই কাম্য.....
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২২