রিয়েলিটি শো-র পক্ষে-বিপক্ষে কথার শেষ নেই৷ সবচেয়ে বড় অভিযোগ, এসব আয়োজন প্রতিযোগীদের প্রতিষ্ঠামুখী করছে বেশি, সাধনামুখী নয়৷ ফাহমিদা নবীর অবস্থান এ ধারণার বিপক্ষে৷
বেশ কয়েক বছর ধরেই টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে চলছে রিয়েলিটি শো আয়োজনের হিড়িক৷ এমন অনুষ্ঠানের জনপ্রিয়তা একটা পর্যায়ের পর থেকে আর বাড়ছে কিনা – এ প্রশ্ন যেমন আছে, প্রশ্ন আছে এর কার্যকারিতা, উপযোগিতা নিয়ে৷ দেশ বরেণ্য শিল্পী ফাহমিদা নবীকে প্রায়ই বিচারকের ভূমিকায় দেখা যায় সঙ্গীত বিষয়ক রিয়েলিটি শোগুলোতে৷ তাই সাক্ষাৎকারে তিনি আলোচনাকে সংগীতেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন৷ তাঁর মতে রিয়েলিটি শো তরুণ শিল্পীদের উপকার করছে৷
প্রতিষ্ঠা তো সবাই পান না, কেউ কেউ পান৷ আর্থিক নিরাপত্তাও হয়তো ভাগ্যে জোটে না সবার৷ তবে হতাশায় ডুবে বেপথ হবার যতরকমের আশঙ্কা আছে সমাজে, সেগুলো থেকে তরুণদের কিছুটা সময়ের জন্য হলেও দূরে রাখছে রিয়েলিটি শো৷
তাতে দেশের সঙ্গীতের কতটা লাভ? গত কয়েক বছরে বলার মতো ক‘জন শিল্পী বেরিয়ে এসেছে এ ধরণের প্রতিযোগিতা থেকে? এর উত্তর হতাশাজনক হলেও ফাহমিদা নবী মনে করেন, প্রতিযোগিতার পর প্রতিযোগীদের উচিত এগিয়ে চলার যে পথ তাঁরা পেলেন সাধনা করে সে পথেই এগিয়ে চলা৷ পরবর্তী জীবনে কেউ সেটা করছেন কিনা তা কখনোই রিয়েলিটি শো-র পক্ষে দেখা সম্ভব নয়৷
ক্লোজ আপ ওয়ান ও একটি রিয়েলিটি শো। আপনারা কি মনে করেন?? আসলেই কি রিয়েলিটি শো আমাদের যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে???