নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী মরে যাচ্ছে। প্রমত্তা সব নদী পরিনত হচ্ছে রবি ঠাকুরের ছোট নদীতে। অবশ্য রবি ঠাকুরের ছোট নদীতে বৈশাখ মাসে হাঁটুজল থাকতো; এখন বৈশাখ মাসে নদীর বুকে বোরো ধান ফলে।
দেশের অধিকাংশ নদী মৌসুমী প্রকৃতির হয়ে যাচ্ছে। জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি এখন খাল, মধুসূদনের কপোতাক্ষ মরণের দিন গুনছে আর মানিকের পদ্মায় কুবেররা এখন ইলিশ পায় না।
পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ নদীর সৃষ্টি। শত শত বছরের পলি জমে গড়ে উঠেছে এই দেশ। তার প্রতিদান দিতেই কী আমরা প্রতিনিয়ত মেরে ফেলছি নদী।
বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি ব্যবস্থাপনায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপথের দায়িত্বে নৌ মন্ত্রণালয়, সেতুর দায়িত্বে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, মাৎস্যসম্পদের দায়িত্বে মাৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভাঙন রোধ ও বন্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর এলাকা ব্যবস্থাপনায় বিআইডব্লিউটিএ রয়েছে।
এছাড়াও রয়ছে যৌথ নদী কমিশন, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইডব্লিউএম, হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড এমন নানা প্রতিষ্ঠান।
রাষ্ট্রের এতসব প্রতিষ্ঠান থাকতে কেন নদী মারা যাচ্ছে? কেনইবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভাঙন রোধ প্রকল্পগুলি কোটি টাকার দুর্নীতি না করে শেষ হয় না। অপরিকল্পিত ও অপ্রতুল ড্রেজিং এর ফলে চরে আটকে যাচ্ছে ফেরি।
পূর্বকালে নদী প্রায় বারোমাসই নাব্য থাকত। কিছু নদী এখন সম্পূর্ণ মৃত, কিছু নদী মৃতপ্রায়। কেবল দেশে দারুণ প্লাবন হলে এর কোনও কোনও নদীতে পানি নামে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৫৪ নদীর মধ্যে ৫৩ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ককালে পানি প্রত্যাহার করায় ভাটি অঞ্চলের নদী গুলো প্রাকৃতিকভাবে যে পরিমাণ পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে তা পাচ্ছে না। যার ফলে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে সেচের সংকট সৃষ্টি করছে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি হঠাৎ ছেড়ে দেয়ায় পানি ও মাত্রারিক্ত পলি এসে একই সাথে ভাঙ্গন এবং পলি পতনে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছে নদীগুলি। নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাচ্ছে, গভীরতা কমে প্রশস্ত হচ্ছে দুপাড়।
হাজার বছর ধরে সেচের জন্য কৃষক নদী-খাল-বিলের উপর নির্ভর করেছে। গত ৫০ বছরে ইরিধান আবাদের জন্য অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে আর্সেনিকের বিষে নীল হয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।
প্রতিবছর দেশে ধান প্রয়োজন ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। কৃষি জমির পড়ে প্রথমেই চাপ পড়ে নদীর ওপরে। নদী ভরাট করে শিল্পকারখানা হচ্ছে। নগরায়নের বলি হচ্ছে নদীগুলো।
দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল হতে ক্রমশ দেশের অভ্যন্তরে নোনাজল প্রবেশ করছে। বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) নোনাজল সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন করতে বাধ্য হচ্ছে।
নদী কেবল পানিই বহন করে সেচ কিংবা বন্যার জন্য তা না;অপচনশীল দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে নদীর মতো আর সস্তা মাধ্যম নেই। অথচ বিগত চার দশকে ২০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ হারিয়েছে এদেশের মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নদীকে তার প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রবাহিত হতে দেয়া। জলাভূমিকে জলাভূমির মতো রক্ষা করা উচিৎ।
নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদী মরে যাচ্ছে। প্রমত্তা সব নদী পরিনত হচ্ছে রবি ঠাকুরের ছোট নদীতে। অবশ্য রবি ঠাকুরের ছোট নদীতে বৈশাখ মাসে হাঁটুজল থাকতো; এখন বৈশাখ মাসে নদীর বুকে বোরো ধান ফলে।
দেশের অধিকাংশ নদী মৌসুমী প্রকৃতির হয়ে যাচ্ছে। জীবনানন্দের ধানসিঁড়ি এখন খাল, মধুসূদনের কপোতাক্ষ মরণের দিন গুনছে আর মানিকের পদ্মায় কুবেররা এখন ইলিশ পায় না।
পৃথিবীর বৃহত্তম বদ্বীপ বাংলাদেশ নদীর সৃষ্টি। শত শত বছরের পলি জমে গড়ে উঠেছে এই দেশ। তার প্রতিদান দিতেই কী আমরা প্রতিনিয়ত মেরে ফেলছি নদী।
বাংলাদেশের নদী ব্যবস্থাপনায় ভূমি মন্ত্রণালয়, পানি ব্যবস্থাপনায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নৌপথের দায়িত্বে নৌ মন্ত্রণালয়, সেতুর দায়িত্বে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, মাৎস্যসম্পদের দায়িত্বে মাৎস্যসম্পদ মন্ত্রণালয়, ভাঙন রোধ ও বন্য নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে পানি উন্নয়ন বোর্ড, বন্দর এলাকা ব্যবস্থাপনায় বিআইডব্লিউটিএ রয়েছে।
এছাড়াও রয়ছে যৌথ নদী কমিশন, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউট, আইডব্লিউএম, হাওড় ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড এমন নানা প্রতিষ্ঠান।
রাষ্ট্রের এতসব প্রতিষ্ঠান থাকতে কেন নদী মারা যাচ্ছে? কেনইবা বন্যা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ভাঙন রোধ প্রকল্পগুলি কোটি টাকার দুর্নীতি না করে শেষ হয় না। অপরিকল্পিত ও অপ্রতুল ড্রেজিং এর ফলে চরে আটকে যাচ্ছে ফেরি।
পূর্বকালে নদী প্রায় বারোমাসই নাব্য থাকত। কিছু নদী এখন সম্পূর্ণ মৃত, কিছু নদী মৃতপ্রায়। কেবল দেশে দারুণ প্লাবন হলে এর কোনও কোনও নদীতে পানি নামে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করা ৫৪ নদীর মধ্যে ৫৩ নদীতে বাঁধ নির্মাণ করেছে ভারত। উজানে বাঁধ দিয়ে শুষ্ককালে পানি প্রত্যাহার করায় ভাটি অঞ্চলের নদী গুলো প্রাকৃতিকভাবে যে পরিমাণ পানি প্রাপ্তির অধিকার রাখে তা পাচ্ছে না। যার ফলে আমাদের কৃষিপ্রধান দেশে সেচের সংকট সৃষ্টি করছে।
বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি হঠাৎ ছেড়ে দেয়ায় পানি ও মাত্রারিক্ত পলি এসে একই সাথে ভাঙ্গন এবং পলি পতনে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ক্রমেই প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলছে নদীগুলি। নদীর তলদেশ উঁচু হয়ে যাচ্ছে, গভীরতা কমে প্রশস্ত হচ্ছে দুপাড়।
হাজার বছর ধরে সেচের জন্য কৃষক নদী-খাল-বিলের উপর নির্ভর করেছে। গত ৫০ বছরে ইরিধান আবাদের জন্য অতিমাত্রায় ভূ-গর্ভস্থ পানি তুলে আর্সেনিকের বিষে নীল হয়ে যাচ্ছে গোটা দেশ।
প্রতিবছর দেশে ধান প্রয়োজন ৩০ মিলিয়ন মেট্রিক টন। কৃষি জমির পড়ে প্রথমেই চাপ পড়ে নদীর ওপরে। নদী ভরাট করে শিল্পকারখানা হচ্ছে। নগরায়নের বলি হচ্ছে নদীগুলো।
দক্ষিণাঞ্চলে উপকূল হতে ক্রমশ দেশের অভ্যন্তরে নোনাজল প্রবেশ করছে। বিনা (বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট) নোনাজল সহিষ্ণু জাতের ধান উদ্ভাবন করতে বাধ্য হচ্ছে।
নদী কেবল পানিই বহন করে সেচ কিংবা বন্যার জন্য তা না;অপচনশীল দ্রব্য বহনের ক্ষেত্রে নদীর মতো আর সস্তা মাধ্যম নেই। অথচ বিগত চার দশকে ২০ হাজার কিলোমিটার নদীপথ হারিয়েছে এদেশের মানুষ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, নদীকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নদীকে তার প্রাকৃতিক নিয়মেই প্রবাহিত হতে দেয়া। জলাভূমিকে জলাভূমির মতো রক্ষা করা উচিৎ।