দুটো পরীক্ষা হয়েছে, চারটা বাকি আছে। ইংলিশ পেপার ওয়ান ও পেপার টু ওপরওয়ালার রহমতে ভালো হয়েছে, তাই মনটা আপাতত খারাপ না। পেপার টু এর আগের দিন রাত থেকে আমার টেনশনে মাথা খারাপ হওয়ার মত অবস্থা, কারন রচনা একটাও ভালো মত মুখস্ত হয় নাই। এতো কষ্ট করে রচনা লিখে লাভ কি যদি আসল পরীক্ষার সময়েই মুখস্ত না হয়? খুব দোয়া করছিলাম যেন মিরাকুলাসলি পরীক্ষাটা ভালো হয়, যদিও সে মুহূর্তে ভালো হওয়ার কোন সম্ভবনাই ছিলো না! পরীক্ষা দিয়ে এসে আবারও বুঝলাম দোয়ার শক্তি কতো বেশি।
পেপার ওয়ান এর আগের দিন অদ্ভুত এক কান্ড ঘটে গেলো। পরের দিন যেহেতু সাড়ে পাঁচটায় উঠতে হবে, এবং আর ঘুমানো যাবেনা, তাই একটু আগে শুয়ে পড়েছিলাম। রাত বারোটায় হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলো। বা কানের ভেতর মাকরশার জালের মত লাগছে! কানের ওপর এক হাত রাখতেই খুব জোড়ে শব্দ হলো। আমি ভিষন ভয় পেয়ে গেলাম! পরীক্ষার আগের দিন একটা পোকা কানের পর্দা খেয়ে ফেললে পরীক্ষা দিবো কিভাবে? তের বছর স্কুলে যাওয়া কি পুরোটাই বৃথা! আমি সেদিনও খুব করে দোয়া করছিলাম যেন সমস্যা দুর হয়ে যায়। তারপর অনেকক্ষন বাড়ি টাড়ি দেওয়ার পর কান থেকে ছোট্ট একটা পোকা বের হলো, যেটাকে দেখেই আমার মনে হলো সে প্রতিষোধ (বানান ভুল?) নিতে এসেছিলো, কারন ওরকম একটা পোকাকে সে রাতেই টেবিল থেকে ফেলে দিয়েছিলাম।
কালকে পেপার টু দিয়া আসার পর দেখি মিশ আবার ওর বয়ফ্রেন্ডের সাথে। ছেলেটা ওকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলো এইচ এস সি শুরু হওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে। এ কয়েক সপ্তাহ ওর মন খুব খারাপ ছিলো কিন্তু ও বুঝতে পেরেছিলো ছেলেটা আর আসবে না। কিন্তু কালকে আবার দেখলাম দুজন মহা খুশিতে হাত ধরাধরি করে হাটছে। আমার মুখের অবস্থা দেখে ওরা হেসে ফেললো। মিশ বললো: ইফ আই ওয়্যার ইউ, আই উড বি সারপ্রাইসড টু!
আর বারো দিন তারপর, মীরা, মুক্তি!
ঘুমাবার ঐ নীল চাদরের বেড
সাদা কালো এই জঞ্জালে ভরা বই খাতার শহরে
আই উইল হ্যাভ আ পড়াশুনালেস হেড!