[প্রখ্যাত মার্কিন লেখক Edgar Allan Poe সারা বিশ্বের সাহিত্যপ্রেমীদের কাছে একটি অতি পরিচিত নাম। তাঁর লিখিত জগদ্বিখ্যাত সম্পূর্ণ্ উপন্যাস The Narrative of Arthur Gordon Pym of Nantucket (1838) এর বাংলা রূপ এটি। বাংলা রূপান্তর © হামিদ]
আমি আর্থার গর্ডন পিম। আমার পিতা ছিলেন নানটুকেটের একজন স্বনামধন্য সামুদ্রিক পণ্যের ব্যবসায়ী। নানটুকেটেই আমার জন্ম। আমার নানা ছিলেন একজন জাঁদরেল আইনজীবী। তিনি সবকিছুতেই সৌভাগ্যবান ছিলেন। আইন পেশা ছাড়াও এডগারটন নিউ ব্যাংক এর শেয়ার কিনে তিনি বেশ পয়সা কামিয়েছিলেন। এভাবে তিনি বিপুল অর্থের মালিক বনে যান। আমার বিশ্বাস তিনি আমাকে পৃথিবীর সবকিছু থেকে বেশি ভালবাসতেন। স্বাভাবিকভাবেই আমার প্রত্যাশা ছিল তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির বড় একটা অংশ আমি পাব।
আমার নানা ছয় বছর বয়সে আমাকে রিকেট সাহেবের স্কুলে পাঠালেন। রিকেট সাহেবের ছিল একটিমাত্র হাত। আর আচার আচরণে ছিলেন অদ্ভুৎ ধরনের। যারা নিউ বেডফোর্ড শহরে গিয়েছেন তাদের প্রায় সবাই তাকে চিনেন।
ষোল বছর বয়স পর্যন্ত আমি তার সকুলেই ছিলাম। তারপর পাহড়েরর উপরে অবস্থিত ই রোনাল্ড সাহেবের একাডেমিতে। এখানে বার্নার্ড সাহেবের ছেলের সাথে আমার ঘনিষ্ঠতা হল। সে ছিল সামুদ্রিক জাহাজের কাপ্তান। কাজ উপলক্ষে জাহাজ নিয়ে সে সাধারণত লয়েড এবং ব্রিডেনবার্গ এর দিকে যেত। বার্নার্ড সাহেবও বেডফোর্ড শহরে সুপরিচিত লোক ছিলেন। আমি নিশ্চিত যে এডগারটনের অনেক লোকের সাথেই তার সুসম্পর্ক ছিল। তার ছেলের নাম ছিল অগাস্টাস। সে বয়সে আমার থেকে প্রায় দুই বছরের বড় ছিল।
অগাস্টাস তার বাবার সাথে জন ডোনাল্ডসন এলাকায় তিমি শিকারের এক সমুদ্রযাত্রায় সঙ্গি হয়েছিল। সে সবসময়ই দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের সেই রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতার গল্প করত। আমি প্রায়ই তার সাথে তাদের বাড়ি যেতাম এবং সারাদিন থাকতাম। কোনো কোনো সময় রাতেও থাকতাম। আমরা একই খাটে ঘুমাতাম আর অগাস্টাস প্রায়ই সারা রাত গল্প করত। তিনিয়ান দ্বীপসহ অন্যান্য যেসব এলাকা সে ভ্রমণ করেছে সেসব নিয়েই সে সাধারণত গল্প করত। তার সেসব গল্প শুনেই আমার মনে সমুদ্রযাত্রার তীব্র আকাঙ্ক্ষা তৈরী হল।