তরুণ হিসেবে আমার ভাবনা / মিনহাজ উদ্দিন
নির্বাচন নিয়ে কিছু বিষয় খেয়াল করুন। যে বিষয়গুলি তরুণ ভোটার হিসেবে আমাকে প্রভাবিত করে। আমাকে চিনতে সহায়তা করে আসল মানুষটা কে... !
একজন অভিনেতা তৈরীকারক বলে আপনি আপনার ভোটের মাধম্যে জানান দিন কাকে আপনি চান, কেমন সরকার চান, ইহা আপনাকে জানাতে হবেই, ইহা আপনার অধিকার। এই ক্ষমতার আপনাকে প্রয়োগ করতে হবেই। নচেৎ তাহাদের মতন করেই সব সইতে হবে।
একজন প্রবীণ সংবিধান প্রণেতা বলেন, আমি ৮৫ বছর বয়সে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও এই আচরণ দেখতে হচ্ছে। আমাকে ভাবতে হচ্ছে, আমার তরুণ প্রজন্মের ভাবতে হচ্ছে ভোট দিতে পারবো তো প্রশ্নে। সত্যিই নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছে।
একজন রাজনৈতীক দলের মহাসচিব এবং মুক্তিযোদ্ধা আহবান জানান তাহার নিজের পক্ষের ভোটের জন্য নয়, তিনি আহবান জানান নিজের ভোট নিজে প্রয়োগের জন্য। তিনি তরুণদের এই ক্ষমতা ও প্রয়োগকেই স্বাগত ও সাধুবাদ জানান। তবুও নিজের মন্তব্যের জানান দিতে বলছেন।
অথচ একধাদা অভিনেতা জানান দেন বড় বড় গলায় “আমার অভিনয় ভালো লাগলে ইহাতে ভোট দিন” তাহারা আসলে কি বুঝাতে চাইলেন। তাহারা কেন সকলের হতে একদলের হয়ে গেলেন ! সরকারী কর্মকর্তা থেকে পুলিশ সহ সকলেই এই ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। তাহলে তরুণরা সঠিকটা শিখবে কি করে !? আপনি ভোট চাইবেন আদর্শ ও ব্যবহার দিয়ে। ভোট যে কেউ দিতে বাধ্য।
ক্ষমতাসীন দলের সকলেই আমাদের নেতা, তাহারা আমাদের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রের পরিচালক। তাহারা দলের হয়ে যখন ভোট চাইবেন তা ভিন্নতর কিন্তু তাহারা যখন আমাদের সকলের তখন ভোট এভাবে চাওয়াটা কতটা যৌক্তিক তা স্বল্প জ্ঞানে ভেবে পাইনা। বিশ্বাস করি মানুষ যাচাই বাঁছাই করেই নিজের মন্তব্যটা জানাবে। উন্নয়ন, অবস্থান, স্বাধীনতা, ক্ষমতা, বেকারত্ব, ওয়াদা সহ সকল কিছুই আমলে নিবে।
দেশের উন্নয়নের কিসসা সকলেই জানে, সকলেই দেখে, সকলেই বুঝে। তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইহা দৃশ্যমান। ইহাকে বারবার বললে তিতো তিতো লাগে। যেমন তিতো লাগে সুস্বাদু গোস্তটাও প্রতিদিন খেলে, সুখের একটি বার্তা যদি প্রতিদিন দেয় তবে ইহাও তিতো লাগে। তবে শুদ্ধময় ও প্রকৃত গুণ কাউকে জানান দিতে হয়না, তাহার প্রচার এমনিতেই হয়েযায়, যেমনি হয়েছে প্রচার কুমিল্লার রসমালাই, টাঙ্গাইলের চমচম, বগুড়ার দই, বরিশালের আমড়া, চাঁদপুরের ইলিশ সহ আসল গণতন্ত্রের কথাগুলি কি কি...
তাই একজন তরুণ হিসেবে আমিও চাই, আমার ভোটটি অন্তত আমাকে দিতে দিন। আমার অভিমত জানাতে দিন। আমাদের রায় আপনারা নিয়ে দেশ চালান, আমাদের কথা ভাবুন, আরোও গভীরতায় ভাবুন। আপনি যখন প্রধানমন্ত্রী হবেন তখন দলের না হয়ে দেশের হবেন এই কামনা করি। নচেৎ ইতিহাসের শিক্ষায় ইহাই শিখি যে, সকল অত্যাচারীর অবস্থা হয় লজ্জাজনক। আজ, কাল কিংবা পরশু। পাঁচ-দশ-পনের কিংবা বিশ হলেও ক্ষমা হয়না অন্যায়কারীর। সে দলেরই হোক।
তরুণদের প্রথম ভোট, অন্যায়কারীর বিপক্ষে হোক।
নিজের ভোট নিজে দিবো, সরকার গঠনে মন্তব্য জানাবো।
ছবি- ইন্টারনেট হতে সংগৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৫