কিছু কাজ নিজেকে তৃপ্ততা দেয়, মনেহয় যদি এমন সুযোগ আবার পেতাম।
.
=> অফিসে যাচ্ছেন, বাসে করেই যান। হঠাৎ দেখলেন পাশের সীটে একজন গর্ভবতী মহিলা বসে আছেন। ভদ্রতার সহিত তার অবস্থান জানতে গিয়ে দেখলেন তিনি হাসপাতালে যাচ্ছেন কিন্তু তারসাথে কেউ নেই। আপনার অফিস কাওরান বাজার, নেমে যাবেন কিন্তু না নেমে তার কাছে আবার আসলেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তার দেখালেন এবং আবার একটি উর্বারে উঠিয়ে বিদায় জানালেন। তিনি আপনায় তার যোগাযোগ মাধ্যম জানিয়ে নতুন অতিথি দেখার নিমন্ত্রণ জানালেন। ততক্ষনে আপনার অফিসে ২ ঘন্টা লেট।
.
=> রাস্তার ওপারে প্রিয় কেউ দাঁড়িয়ে আছে, আপনিও দ্রুততার সহিত রাস্তা পার হচ্ছেন। রাস্তার মাঝে আপনি গিয়ে পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখলেন একজন বৃদ্ধ কয়েকবার পারাপার হতে গিয়েও পারেন নি। আপনি আবার পীছনে এসে তাকে পারাপার করালেন, এতক্ষনে আপনার গার্লফ্রেন্ড রেগেমেগে আগুন।
.
=> পরীক্ষা সকাল ১০ টায়, আপনিও দ্রুততার সহিত ঘুম থেকে উঠে বাসে চড়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ রাস্তায় দূর্ঘটনা নিজের সামনে। পরীক্ষার প্রবেশপত্র পকেটে রেখেই মানুষের কিছুটা সাহায্যে নিজেকে নিয়োজিত করলেন। নিজের সাধ্যমত প্রয়োজনে রিক্সা ভাড়া দিয়েও আহতদের হাসপাতালে পাঠালেন। কোন আহত ব্যক্তির ফোন নাম্বার নিয়ে দ্রুত পরীক্ষা দিতে চলে গেলেন। এতক্ষনে পরীক্ষার হলে ২০ মিনিট লেট।
.
>> ছোট্ট ছোট্ট ৩ টি ঘটনা লেখলাম। সবগুলোই কিছুটা এক, শুধুমাত্র অবস্থান ভিন্ন। আপনার হয়ত অফিসে লেটের কারনে বেতন কর্তন হবে, আপনার হয়ত গার্লফ্রেন্ড ঠিক করতে কিছু সময় যাবে, আপনার এই পরীক্ষাটা হয়ত খারাফ হবে কিন্তু যে পরিমাণ দোয়া, শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এবং তৃপ্ততা পেয়েছেন তা কোন মুল্যেই মুল্যায়িত করা যাবেনা। বরং আমি দেখেছি ইহা না করতে পারলেই আফসোস করতে হয়। তখন আমাকে ভাবায় আজকের পরীক্ষার চাইতে সে কর্মটাই বেশী উত্তম ছিল, যে কর্ম আপনাকে শান্তিসহ বাঁচতে সাহায্য করবে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। তাই আমি এমন সুযোগ পেলে হাতছাড়া করতে মোটেই রাজি নই বরং ছেড়ে দেই জীবন আয়ের কিছু কর্মকে।
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৩