ইসলামে নাকি নারী শিক্ষাকে নিষেধ করে , চার ক্লাস পর্যন্ত পড়বে এবং পুরুষরা হলো নারীদের প্রভু এরকম দাবি করেন কিছু ইসলাম বিরোধী মানুষ, তারা তাদের দাবির স্বপক্ষে বলেন
কোরানের আয়াত : পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ। সূরা নিসা - ৪: ৩৪
উক্ত আয়াতে সরাসরি নারীদের মর্যাদা সম্পর্কে বলেছে এবং বলেছে তাদের সাথে কেমন আচরন করতে হবে। আশা করা যায় কোন তথাকথিত মডারেট মুসলমান দাবী করবে না যে এই আয়াত কোন প্রেক্ষিতে নাজিল হয়েছিল তা উল্লেখ পূর্বক ব্যখ্যা করতে। যদি কেউ সেই উদ্ভট দাবী করে , সে যেন সেই কথিত প্রেক্ষাপট উল্লেখ করেই উক্ত আয়াতটির ব্যখ্যা করে এখানে। যাহোক উক্ত আয়াত থেকে যে বিষয়গুলো পরিস্কার বোঝা যায় তা হলো -
এক ) পুরুষরা নারীদের ওপর কর্তৃত্ব করবে তথা পুরুষরা হলো নারীদের প্রভু।
দুই ) নারীদের ভরণ পোষনের দায়ীত্ব পুরুষদের ওপর ন্যস্ত।
তিন) সর্ব অবস্থা্য়ই নারীরা পুরুষদের প্রতি আনুগত্য করবে ও পর্দা করে থাকবে।
চার) যদি কোন স্ত্রীর মধ্যে অবাধ্যতার চিহ্ন দেখা যায় , প্রথমে সদুপদেশ , তারপর শয্যা ত্যাগ এবং শেষে তাকে মারধর করতে হবে।
উক্ত বিষয়গুলো থেকে বোঝা যাচ্ছে , নারীদের ভরন পোষনের দায়ীত্ব যেহেতু পুরুষদের ওপর তাই তার বাইরে কাজ করে অর্থ উপার্জন নিস্প্রয়োজন। অর্থ উপার্জন করবে তো পরিবারের ভরন পোষনের কারনে কিন্তু সে দায়িত্ব যদি সম্পূর্ন পুরুষের উপর আল্লাহ ন্যাস্ত করে দেয় তাহলে নারীরা আবার অর্থ উপার্জন করবে কি জন্য ? মানুষ সাধারনত: উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে চাকরী বা অন্য নানা পেশার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য। শখ করে কেউ উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে পারে তবে তা খুবই বিরল ঘটনা। অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য চাকরী বা ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন যা মানুষের দরকার সংসার প্রতিপালনের জন্য। এখন যেহেতু নারীদের ওপর অর্থ উপার্জনের দায়ীত্ব ন্যস্ত নয় যা্ আবার আল্লাহ কর্তৃক নির্দেশিত, তাহলে তাদের উচ্চ শিক্ষারও কোন দরকার নেই। সুতরাং তাদের স্কুল কলেজে পড়ারও কোন দরকার নেই। এজন্য সম্প্রতি পাকিস্তানে একটি বালিকা বিদ্যালয় বন্দ করে দেয়ার জন্য তালেবানরা হুমকি দিয়েছে।
চলুন তবে দেখি আসলে কি বলা আছে :পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন। এই আয়াতে কিওয়াড হলো কৃর্তত্বশীল যার জন্য তারা বলছে যে এক ) পুরুষরা নারীদের ওপর কর্তৃত্ব করবে তথা পুরুষরা হলো নারীদের প্রভু।
চলুন তবে কৃর্তত্বশীল শব্দটার মুলে দেখি মুল আরবি আয়াতে আছে قَوَّامُونَ যাকে কৃর্তত্বশীল অনুবাদ করা হয়েছে বাংলায় আসলে সেটা কি?
গুগুল অনুবাদ বলে قَوَّامُونَ মানে Protectors and maintainers মানে অভিভাবক / রক্ষাকর্তা /পালক যেমন বাবার দায়িত্ব মেয়ের প্রতি থাকে সেই রকম দায়িত্ব প্রভু নয় এখানে পাবেন (4:34:2)qawwāmūna (are) protectors N – nominative masculine plural noun Click This Link দেখুন এখানেও প্রভু বলা হয়নি।
আরো আছে ইংরেজি অনুবাদ গুলো দেখুন :
004.034: YUSUFALI: Men are the protectors and maintainers of women,
PICKTHAL: Men are in charge of women,
SHAKIR: Men are the maintainers of women
KHALIFA: The men are made responsible for the women,
http://www.universalunity.net/quran4/004.qmt.html
তারা যেমনভাবে প্রভু /কৃর্তত্বশীল বোঝাচ্ছেন মানে পুরুষের কথা/ আদেশ অবশ্যই মান্য করতে হবে এমন কথা কোথাও পেলামনা বরং যা দেখতে পাচ্ছি পুরুষদের দায়িত্ব নারীর প্রতি দায়িত্বপূর্ণ আচরনের কথা রক্ষাকর্তা হিসেবে তাকে সর্বদা সহায়তা করা।
আরো দেখুন কোরান মহিলাদেরও অন্তর্ভুক্ত করে এভাবে যেমন বিশ্বাসী মানুষ এবং বিশ্বাসী মহিলা - - সম্মানিত পুরুষ এবং সম্মানিত মহিলা।
The Quran declared: O’ Men & Women! You have a common origin. [4:1]হে মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী (৪) সূরা আন নিসা আয়াত নং ১
“… All of you, men and women, belong to the same single stock.” [49:13]হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও। নিশ্চয় আল্লাহর কাছে সে-ই সর্বাধিক সম্ভ্রান্ত যে সর্বাধিক পরহেযগার। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সবকিছুর খবর রাখেন। (৪৯) সূরা আল হুজরাত আয়াত ১৩
The believers, both men and women, are colleagues one of another. [9:71] আর ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারী একে অপরের সহায়ক। তারা ভাল কথার শিক্ষা দেয় এবং মন্দ থেকে বিরত রাখে। নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ অনুযায়ী জীবন যাপন করে। এদেরই উপর আল্লাহ তা’আলা দয়া করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরাক্রমশীল, সুকৌশলী।সূরা আত তাওবাহ আয়াত নং ৭১
"Women have rights unto you as you have rights unto them." [2:187] তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। সূরা আল বাক্বারাহ আয়াত ১৮৭
কৃর্তত্বশীল /শ্রেষ্ঠত্ব কার এ বিষয়ে দেখুন : "Every person will be rewarded according to one's actions, male or female." [4:32] আর তোমরা আকাঙ্ক্ষা করো না এমন সব বিষয়ে যাতে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের একের উপর অপরের শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। পুরুষ যা অর্জন করে সেটা তার অংশ এবং নারী যা অর্জন করে সেটা তার অংশ। আর আল্লাহর কাছে তাঁর অনুগ্রহ প্রার্থনা কর।নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত।(৪) সূরা আন নিসা আয়াত ৩২
তবুও তারা বলে যে যেখানে সূরা নিসা - ৪: ৩৪ আয়াতে পরিস্কার বলা হচ্ছে যে নারী যদি অবাধ্য হয় সেখানে তার স্বামী তাকে বেধড়কভাবে পিটাতে পারবে--
আমার প্রশ্ন বেধড়কর ভাবে কোথায় লিখা আছে আর এর আগে আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও,তাদের শয্যা ত্যাগ কর এগুলো তারা ভুলে যান!!!
তারা আরো বলে দুনিয়ার বড় বড় ইসলামী পন্ডিত যেমন ইমাম গাজ্জালী - এরা এভাবেই বিষয়টার ব্যখ্যা করে গেছে।
তাই যদি হয় তবে দেখান মোহাম্মদ(সঃ) বা কোন নবী বা চার খলিফার মধ্যে কে কে তাদের বউকে বেধড়কভাবে পিটাইসে / মারধর করেছে ? ইমাম গাজ্জালী নিশ্চই তাদের থেকে বেশি জানে না ?
কোরআন হতেই বলি : সুরা নিসা আয়াত ১৯ এ দেখুন "কিন্তু তারা যদি কোন প্রকাশ্য অশ্লীলতা করে! নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। অতঃপর যদি তাদেরকে অপছন্দ কর, তবে হয়ত তোমরা এমন এক জিনিসকে অপছন্দ করছ, যাতে আল্লাহ, অনেক কল্যাণ রেখেছেন।" দেখুন প্রকাশ্যে অশ্লীলতার জন্যও মারতে বলা হয় নি তবে কিভাবে ৪: ৩৪ কথা না শুনলেই মারার কথা বলতে পারে?
সুরা আর রুম আয়াত ২১ এ "আর এক নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে।" কি বলছে শান্তি ও সম্প্রিতি ও দয়া নয় কি? মারার কথা নেই ।
আর সুরা বাকারা তেও সেই কথা সুরা বাকারা আয়াত ২৩১এ দেখুন নারীদের সাথে না মিললে কি করতে বলা হয়েছে "আর তোমরা তাদেরকে জ্বালাতন ও বাড়াবাড়ি করার উদ্দেশ্যে আটকে রেখো না। আর যারা এমন করবে, নিশ্চয়ই তারা নিজেদেরই ক্ষতি করবে। "
সুরা নুর আয়াত ২৬ "দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। " দুশ্চরিত্রা নারীকেও মারতে বলা হয়নি। পারলে ছেরে দিন তবুও মারতে পারবেন না
আর হাদিস দেখুন :Narrated Mu'awiyah al-Qushayri: "I went to the Apostle of Allah (peace_be_upon_him) and asked him: What do you say (command) about our wives? He replied: Give them food what you have for yourself, and clothe them by which you clothe yourself, and do not beat them, and do not revile them. (Sunan Abu-Dawud, Book 11, Marriage (Kitab Al-Nikah), Number 2139)"
Narrated Mu'awiyah ibn Haydah: "I said: Apostle of Allah, how should we approach our wives and how should we leave them? He replied: Approach your tilth when or how you will, give her (your wife) food when you take food, clothe when you clothe yourself, do not revile her face, and do not beat her. (Sunan Abu-Dawud, Book 11, Marriage (Kitab Al-Nikah), Number 2138)"
Abu Huraira (Allah be pleased with him) reported Allah's Apostle (may peace be upon him) as saying: "He who believes in Allah and the Hereafter, if he witnesses any matter he should talk in good terms about it or keep quiet. Act kindly towards woman, for woman is created from a rib, and the most crooked part of the rib is its top. If you attempt to straighten it, you will break it, and if you leave it, its crookedness will remain there. So act kindly towards women. (Translation of Sahih Muslim, The Book of Marriage (Kitab Al-Nikah), Book 008, Number 3468)"
তবুও অনেকে বিভিন্ন হাদিস দেখাবে নারীকে মারা জায়েজ দেখাতে কিন্তু কোরআনে এ টা বলা হয়নি এবং রাসুল (সঃ) এমন টি করেন নি তার সেগুলো সঠিক নয় বলা যায় আর হাদিসের ব্যপারে কোন হাদীস যদি কোরআনের বিপক্ষে যায় তবে সেটা অবশ্যই সত্য নয় বলে গন্য হয়।
শিক্ষা বা জ্ঞান অর্জনের বিষয়ে: মুমিনগণ, যখন তোমাদেরকে বলা হয়ঃ মজলিসে স্থান প্রশস্ত করে দাও, তখন তোমরা স্থান প্রশস্ত করে দিও। আল্লাহর জন্যে তোমাদের জন্য প্রশস্ত করে দিবেন। যখন বলা হয়ঃ উঠে যাও, তখন উঠে যেয়ো। তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন। আল্লাহ খবর রাখেন যা কিছু তোমরা কর। সুরা আল মুজাদালাহ আয়াত ১১ -এখানে দেখুন তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত বলা হয়েছে বলা হযনি যে পুরুষের মধ্যে মানে নারী পুরুষ দুজনেই যারা জ্ঞানী বা জ্ঞান লাভ করেছে তাদের উচ্চ মর্যদা ।
আল্লাহ কুরআনে অসংখ্যবার জ্ঞানার্জনের গুরুত্বের কথা বলেছেন। যেমন, "আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই কেবল তাঁকে ভয় করে। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাময়।" (কুরআন, ৩৫:২৮)
অবিশ্বাসীরা বলে কোরান বা হাদিসের কোথাও যদি জ্ঞানের কথা বলে সে জ্ঞান হলো ইলম তথা দ্বীনের জ্ঞান তথা ইসলামের জ্ঞান। অন্য কোন জ্ঞান না।
--যদি শুধু ইসলামি জ্ঞানের কথা বলা হতো তবে নিচের আয়াত গুলোতে কেন দুনিয়ার বিষয় নিয়ে বর্ননা করা হয়েছে জানার জন্য , সেটা নিয়ে ভাবার জন্য সর্বোপরী সকল বিষয়ে জ্ঞানের জন্য নয় কি?
সুরা রাদ আয়াত ১৭ তে কোন জ্ঞানের কথা বলা আছে দেখন দুনিয়ার জ্ঞান নয় কি? "তিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন। অতঃপর স্রোতধারা প্রবাহিত হতে থাকে নিজ নিজ পরিমাণ অনুযায়ী। অতঃপর স্রোতধারা স্ফীত ফেনারাশি উপরে নিয়ে আসে। এবং অলঙ্কার অথবা তৈজসপত্রের জন্যে যে বস্তুকে আগুনে উত্তপ্ত করে, তাতেও তেমনি ফেনারাশি থাকে। এমনি ভাবে আল্লাহ সত্য ও অসত্যের দৃষ্টান্ত প্রদান করেন। অতএব, ফেনা তো শুকিয়ে খতম হয়ে যায় এবং যা মানুষের উপকারে আসে, তা জমিতে অবশিষ্ট থাকে। আল্লাহ এমনিভাবে দৃষ্টান্তসমূহ বর্ণনা করেন।" এখানে উল্লেখিত আকাশ, স্রোত, আগুনে উত্তপ্ত করে তৈজস পত্র কোন ইসলামী জ্ঞানের কথা বলে বলবেন কি?
এবং এখানে দেখুন কোন ইসলামি জ্ঞানের কথা বলা আছে "পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন , সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে। পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু, যিনি কলমের সাহায্যে শিক্ষা দিয়েছেন, শিক্ষা দিয়েছেন মানুষকে যা সে জানত না।" এখানে বলা হয়নি ইসলামি জ্ঞানের শিক্ষা এখানে মানুষ সৃস্টির শিক্ষার কথা কি বলা হয় নি?
এবং সুরা নাহল আয়াত ৭৮-৮০ পর্যন্ত ইসলামী জ্ঞানের কথা গুলো দেখুন "আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের গর্ভ থেকে বের করেছেন। তোমরা কিছুই জানতে না। তিনি তোমাদেরকে কর্ণ, চক্ষু ও অন্তর দিয়েছেন, যাতে তোমরা অনুগ্রহ স্বীকার কর। তারা কি উড়ন্ত পাখীকে দেখে না? এগুলো আকাশের অন্তরীক্ষে আজ্ঞাধীন রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া কেউ এগুলোকে আগলে রাখে না। নিশ্চয় এতে বিশ্বাসীদের জন্যে নিদর্শনবলী রয়েছে। আল্লাহ করে দিয়েছেন তোমাদের গৃহকে অবস্থানের জায়গা এবং চতুস্পদ জন্তুর চামড়া দ্বারা করেছেন তোমার জন্যে তাঁবুর ব্যবস্থা। তোমরা এগুলোকে সফরকালে ও অবস্থান কালে পাও। ভেড়ার পশম, উটের বাবরি চুল ও ছাগলের লোম দ্বারা কত আসবাবপত্র ও ব্যবহারের সামগ্রী তৈরী করেছেন এক নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। "
সুরা ত্বোয়া হা আয়াত১১৪ "সত্যিকার অধীশ্বর আল্লাহ মহান। আপনার প্রতি আল্লাহর ওহী সম্পুর্ণ হওয়ার পূর্বে আপনি কোরআন গ্রহণের ব্যপারে তাড়াহুড়া করবেন না এবং বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।"
“আমি বিনষ্ট করি না তোমাদের কোন পরিশ্রমকারীর কর্ম, তা সে হোক পুরুষ কিংবা নারী। তোমরা একে অন্যের সমান।” (আল-ইমরান ৩:১৯৫)
“যে ব্যক্তি ভাল কাজ করবে, হোক সে পুরুষ কিংবা নারী, এবং সে ঈমানদার হবে, এরূপ লোক জান্নাতে দাখিল হবে, আর তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র অবিচার করা হবে না।” (আন-নিসা ৪:১২৪)
এই আয়াত গুলো থেকে পরিষ্কার যে কোন কাজের ব্যাপারে নারী-পুরুষকে সমান স্থানে রাখা হয়েছে।
তাই সমাজের জন্য প্রয়োজনীয় কাজগুলোতে নারীদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে কোরআনে কোন আয়াত নেই।
হাদীস---
জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক নারী ও পুরুষের কর্তব্য ( আল তিরমিযী, হাদীস ২১৮)
আনাস বিন মালিক বর্ননা করেন আমরা যখন নবী সা থেকে পৃথক হয়ে গেলাম, আমি দেখলাম হযরত আয়েশা রা: ও হযরত উম্মে সোলাইম রা পর্দায় আবৃত আছেন , তারা তাদের কাধে করে পানি বহন করে আনছেন ও আবার ফিরে যাচ্ছেন , এভাবে তারা তৃষ্নার্ত মুসলিম যোদ্ধাদের পানি পান করাচ্ছিলেন। ( সহি আল বুখারী)
আব্দুল্লাহ বিন মাসুদ হতে বর্নিত-- যদি কোন ব্যাক্তির একজন কন্যা থাকে ও তাকে সে যত্ন সহকারে বড় করে, উপযুক্ত শিক্ষা দেয়, জীবনাচরণ শিখায় তবে উক্ত ব্যাক্তি ও জাহান্নামের মধ্যে আমি বাধা হয়ে দাড়াব। (কানয-আল-উম্মান)
ইতিহাস---
১/ হযরত খাদীযা রা: কুরায়শ বংশের একজন ব্যাবসয়ী ছিলেন। তিনি তার ব্যাবসা পরিচালনার জন্য অর্থের বিনিময়ে লোক নিয়োগ দিতেন। নবী সা: খাদীযা রা: এর ব্যাবসা পরিচালনা করেছেন।
২/ হযরত উম্মে যেয়াদ রা: আরো ৬ জন মহিলা সহ খাইবার যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। তারা আহতদের চিকিৎসা ও অসুস্থদের দেখাশুনা করতেন।
৩/ হুনায়নের যুদ্ধে উম্মে সুলাইম রা: অংশগ্রহন করেন, তিনি তার কাছে একটি ছোরা রাখতেন এবং বলতেন যদি কোন কাফের আমার নিকটে আসে তাহলে আমি এটি তার পেটে ঢুকিয়ে দেব।
৪/ হযরত খানসা রা: একজন প্রসিদ্ধ মহিলা কবি ছিলেন। তার কবিতার খুব সুনাম ছিল। তিনি নিজে ৪ পুত্র সহ কাদেসিয়ার যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন
৫/ হযরত ছাফিয়া রা: নবী সা: এর ফুফু ছিলেন, তিনি ৫৮ বছর বয়সে খন্দকের যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন এবং নিজে একজন ইহুদিকে হত্যা করেন
৬/ হযরত আয়েশা রা: অত্যন্ত প্রসিদ্ধ হাদিস বর্ননাকারী ছিলেন। নবী সা: এর মৃত্যুর পর দুর দুরান্ত থেকে বহু সংখ্যক পুরুষ ও মহিলা তার কাছে হাদিস শিক্ষা করতে আসতেন। তিনি নিজে অন্যান্য সাহাবা একরামের সহায়তায় উটের যুদ্ধ পরিচালনা করেন
তার মানে স্পস্টই বোঝা যাচ্ছে ইসলাম নারীকে কখনো শিক্ষা অর্জনে নিষেধ করেনি বরং নারী পুরুষ সকল কিছুতে সমান ভাবে কাজ করতে উৎসাহিত করেছে।
তবুও অবিশ্বাসীরা বলে: কোরানের প্রতিটি বানী মোহাম্মদ তথা পুরুষের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে। এমন কি নারীকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি কোন আয়াতই কোরানে নাজিল হয় নি। নারীর উদ্দেশ্যে কোন আয়াত থাকলে সেটাও পুরুষকে সম্বোধন করেই বলা হয়েছে যেন তারা নারীর জন্য হেন করে তেন করে। সুতরাং যদি কোন আয়াতে নারীর কথা উল্লেখ না থাকে তাহলে সেই বানী শুধুমাত্র পুরুষের জন্য প্রযোজ্য, নারীর জন্য প্রযোজ্য হবে না।
তার জন্য দেখুন হজরত মুহাম্মদ (সঃ) আল্লাহর বার্তাবাহক বা মেসেন্জার আর আল্লাহর বাতা শুধু পুরুষের জন্য তো নয়ই বরং এটা নারী পুরুষ, বিশ্বাসী, অবিশ্বাসী সর্বোপরি সকল মানুষের সকল সময়ের জন্য তাই কোরআনের বানী সকলকেই উদ্দেশ্য করে প্রমান স্বরুপ দেখুন: সুরা আল আহযাব সুরা নং ৩৩ আয়াত নং ৩৫ নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার।
আরো দেখুন ইসলামের স্বর্ণযুগের নারী স্কলারদের উপর একটি সংক্ষিপ্ত ভূমিকা।
গতবার যখন আমি সূরা তাকভীর শিক্ষা দিয়েছিলাম...তখন কয়েকটি আয়াতের কথা উল্লেখ করেছিলাম - وَإِذَا الْمَوْءُودَةُ سُئِلَتْ - بِأَيِّ ذَنبٍ قُتِلَتْ - "যখন জীবন্ত প্রোথিত কন্যাকে জিজ্ঞেস করা হবে, কি অপরাধে তাকে হত্যা করা হল?"
বিচার দিবসে আল্লাহ ঐ সমস্ত মহিলাদের জিজ্ঞেস করবেন - যাদেরকে তাদের পিতা এবং আত্মীয় স্বজনরা জীবন্ত কবর দিয়েছে - আল্লাহ সেই মেয়েদের জিজ্ঞেস করবেন কী অপরাধ ছিল তাদের?
তো, একটি বিষয় এখানে পরিষ্কার - আল্লাহ যখন কাউকে সৃষ্টি করেন তাকে স্থান এবং সময় দিয়ে থাকেন। যেন তারা তাদের যোগ্যতা, শক্তি সামর্থ্য ব্যয় করে কিছু একটা হতে পারে। এখন কারো এই অধিকার আপনি যদি কেড়ে নেন, এটা একটা বড় ধরণের অন্যায়।
এখন কাউকে আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, আপনি তাকে বেঁচে থাকার সুযোগ দান করেন কিন্তু তাদের যোগ্যতা বিকশিত হওয়ার জন্য কোনো চেষ্টা না চালান, তাদেরকে শিক্ষা করার, অধ্যয়ন করার, চিন্তা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেন এবং তাদের জীবনের মর্যাদা যদি না থাকে, আপনি তাহলে জাহেলী যুগের ঐ মানুষগুলোর মতোই অপরাধ করলেন। সেই দিন আপনি প্রশ্নের সম্মুখীন হবেন।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা নারী পুরুষ সৃষ্টি করেছেন, যেন তারা তাদের যোগ্যতা এবং প্রতিভার আলোকে শিক্ষা অর্জন করে নিজেদের উন্নত করতে পারে, একজন উন্নত মানুষে পরিণত হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি তাদের সুযোগ না দেন, তাহলে যা হবে - তারা কোনো কিছু শিখবে না, তাদের জ্ঞান থাকবে না, তারা অজ্ঞ মূর্খ হিসেবে বড় হবে।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে হজরত খাদিজা সহ অনেক মহিলা এই শিক্ষা অর্জন করার সুযোগ পেয়েছিলেন তাই তারা এমন মহান হতে পেরেছিলেন। আমাদের সময়ের নারীরাও তাদের মত হতে পারতো। কিন্তু আমরা তাদের শিক্ষা অর্জন করার সময় এবং সুযোগ দান করি না। ফলে এভাবে অনেকেই অজ্ঞ থেকে জীবন পার করে গেছেন কিছু করতে পারেন নি।
বহুদিন ধরে আমাদের সমাজে মহিলারা সম্মান পায়নি। অনেকেই আমার এই কথা পছন্দ না করতে পারেন। কিন্তু আপনার বাসার দিকে একটু মনোযোগ দিয়ে তাকিয়ে দেখুন। মানুষ মহিলাদের সম্মান করে না। পিতারা তাদের কন্যাদের মর্যাদা দেয় না, ভাইয়েরা বোনদের সম্মান করে না। সব সময় আপনি এটা দেখতে পাবেন। মানুষ শুধু ছেলেদের সম্মান করে। তারা কোনো কিছু আশা করলে শুধু ছেলেদের থেকে আশা করে।
এমনকি স্বামীরাও স্ত্রীদের থেকে কিছু আশা করে না। তারা মনে করে না যে, তার স্ত্রীও একজন ভালো বন্ধু হতে পারেন, ভালো সাহায্যকারী হতে পারেন। আপনি তার কাছ থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে পারেন।
যখন আমি 'মুহাদ্দিসাত' (নারী হাদিস স্কলারদের উপর চল্লিশ ভলিউমের বিশাল বই) এর উপর রিসার্স শুরু করি, এই কাজ করার পেছনে আমার অন্যতম একটি প্রেরণা ছিল, অন্তত এই কাজটি মানুষের নিকট প্রমান করবে যে, প্রাথমিক যুগের ইসলাম এমন ছিল না। অতীতের মুসলমানরা নারীদের সব ধরণের মর্যাদা দান করেছিল। রাসূল (স) মহিলাদের মসজিদে আসতে দিতেন, তারা মসজিদে রাসূল (স) এর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতেন।
তিনি এমনকি বলেছেন - "নারীদেরকে মসজিদে আসার ক্ষেত্রে বাধা দিও না।"
যখন তিনি নামাজ পড়াতেন তখন কখনো তাঁর দুই নাতি হাসান হুসাইন আবার কখনো তাঁর নাতনি 'উমামাহ বিনতে আবিল আস' কে তার কাঁধের উপর চড়তে দিতেন। তাদের সবার সাথে সঠিকভাবে সমান আচরণ করতেন। তাদের সবাইকে সমান সুযোগ দিতেন। রাসূল (স) এর যুগে আল্লাহ নারীদের এভাবে মর্যাদা দান করেছিলেন। এরপরের কয়েক প্রজন্ম ধরে তাদের এই মর্যাদা অব্যাহত ছিল। কিন্তু আমাদের সময়ে এসে সেটা হারিয়ে গেছে।
তাই আমার চিন্তা ছিল, অন্তত যদি নারী হাদিস বিশারদদের ইতিহাস লেখা হয় তাহলে মানুষ সেই সময়ের কথা মনে করে আবার ফিরে আসার প্রচেষ্টা চালাবে। আর এটা ইসলামের জন্যেও ভালো কাজ হবে।
কারণ পাশ্চাত্যে বহু মানুষ মনে করে, ইসলামে নারীদের অবস্থা খুবই খারাপ। তাই আমি এই ব্যাপারটি পরিষ্কার করতে চেয়েছি যে, এই জন্য ইসলাম দোষী নয়। মুসলমানরা এই জন্য দোষী। আমাদের সমাজ সংস্কৃতি বিষয়টাকে খারাপ রূপ দিয়েছে।
আমার এই ক্ষুদ্র পার্সেন্টিজের কথা ধরুন, আমি উৎসসমূহ মাত্র একবার করে পড়েছি। বহু উৎস আমি মিসও করেছি। তারপরেও শুধুমাত্র হাদিস শাস্রে আমি প্রায় ৮ হাজার...না, এখন প্রায় ৯ হাজারে পৌঁছেছে, কারণ আমি নতুন তথ্য পেলে যুক্ত করি .... ৮ হাজার ৫ শত নারী হাদিস বিশারদ ছিল শুরুতে এখন এটা প্রায় ৯ হাজারের উপরে পৌঁছেছে .... তো, শুধুমাত্র হাদিস শাস্রে ৯ হাজারের উপরে মুহাদ্দিসাত (নারী হাদিস বিশারদ)! শুধু একজন মানুষের রিসার্স। উপরন্তু আমি বহু উৎস মিস করেছি। আর আমি জানি যে, এই বিষয়ে আর বহু তথ্য রয়েছে। কিন্তু আমি বেশি গভীরে যেতে চাইনি। কারণ আমার অন্যান্য কাজ আছে।
একবার চিন্তা করে দেখুন, ইসলামের ইতিহাসে পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্ত থেকে প্রায় ৯ হাজারের বেশি মহিলা হাদিস শাস্রে অবদান রেখেছেন। তারা মানুষকে হাদিস শেখাতেন, ফতোয়া দিতেন। তারা রাসূল (স) এর মসজিদে শিক্ষা দিতেন, হারাম শরীফে শিক্ষা দিতেন, জেরুজালেমে শিক্ষা দিতেন, তারা মিশরের প্রতিটি মসজিদে শিক্ষা দিতেন, সিরিয়া, মরোক্কো এবং মুসলিম বিশ্বের আরো অনেক দেশে তারা এভাবে শিক্ষা দিতেন।
ইসলামের ইতিহাসের বহু বিখ্যাত পুরুষ আলেমরা, বহু বড় বড় ইমামরা যেমন, ইবনে আশকার, ইবনে হাজার আসকালানী, সুয়ূতী, সাখাবী, ইবনে তাইমিয়া, যাহাবী, মিজযী, বিরজালি, এমনকি আবু হানিফ, ইমাম মালেক, শাফেয়ী, ইবনে হাম্বল ....এই সকল আলেমরা বহু নারী স্কলারদের ক্লাসে উপস্থিত হয়েছিলেন, তাদের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন।
এমনটা ছিল না, নারীরা শুধু জ্ঞান গ্রহণ করতেন বরং মহিলারা শিক্ষা দীক্ষায় এতোই পারদর্শী ছিলেন যে, মানুষ তাদের কাছ থেকে জ্ঞান অর্জনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন।
ইমাম আবু আব্দুল্লাহ হাকেম আন নাসাবুরী ঠিকই বলেছিলেন যে, মুসলমানরা তাদের ধর্মের এক চতুর্থাংশের জন্য এককভাবে নারীদের শিক্ষার উপর নির্ভরশীল। চিন্তা করে দেখুন! ধর্মের এক চতুর্থাংশ শুধু নারীদের মাধ্যমেই জানা সম্ভব হয়েছে।
এই জন্যই আমি বার বার বলি, পৃথিবীর ইতিহাসে ইসলাম ছাড়া আর কোনো ধর্মের ক্ষেত্রেই এমনটা দেখা যায় না যেখানে ধর্মের একেবারে গোড়ার দিকে গঠনমূলক সময়ে নারীরা এতো বড় ভূমিকা রেখেছেন।
- ডঃ আকরাম নদভী (র)
এসব থেকে প্রমানীত হয় ইসলামের দৃষ্টিতে নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ বা সামাজিক কর্মকান্ডে নারীর অংশগ্রহন নিষিদ্ধ নয়।
আর সুরা নিসার সেই আয়াত এর অনুবাদটা এভাবে কখনো ভেবে দেখেছেন: Men are the protectors and supporters of women. They shall take full care of women with what they spend of their wealth. God has made men to excel in some areas and women to excel in some areas. Men should ensure that women are able to stand at their feet in the society. So, righteous women are obedient to God’s Ordinances and guard the moral values even in privacy, the values that God has commanded to be guarded. If you experience ill-treatment from them, apprise them of possible consequences. Next, leave them in their resting places, and refer them to the appropriate authority (or arbiters). If they pay heed to you, do not seek a way against them. God is Most High, Great.
[দেখুন নিচে কিছু আরবী = তার অর্থ (কোরআনের অন্যান্য আয়াত যেখানে সেই অর্থ বা সম্পুরক কথা ব্যবহার হয়েছে) Qawwam = Protector = Maintainer = One who helps others to stand at their feet. Nushooz = Ill-treatment = Rebellion = To stand up (2:259, 58:11) = To stand up against virtue = Mental abuse = Domestic violence = To rebel against the permanent moral values. Wa’az = Admonishment = To apprise of consequences (2:231,3:66). Dharb = Example (13:17, 16:74, 36:13) = To stop or prevent (8:11, 43:5)= Referring to arbiters (4:35) = To give examples (4:34, 13:17, 16:74, 36:13, 43:58) = To withdraw (43:5) ]
ইসলামে নারীর সম্মান ও অবদান কখোনোই কম ছিলোনা সেটা কবি নজরুল ঠিকই বুঝেছিলেন তাইতো তার কথায় শুনতে পাই
"কোন কালে হয়নিকো জয়ী পুরুষের তরবারী,
প্রেরনা দিয়েছে শক্তি দিয়েছে বিজয় লক্ষী নারী"
-- কাজী নজরুল ইসলাম