وَرَبَّكَ فَكَبِّرْ
ওয়া রাব্বাকা ফাকাব্বির
আপন পালনকর্তার মাহাত্ম্য ঘোষনা করুন,
(৭৪) সূরা আল মুদ্দাসসির ( মক্কায় অবতীর্ণ ), আয়াত :৩
দেখুন কোরআনের ভাষা ও শব্দের সৌন্দর্য
এই আয়াত টা এমন যে উল্টা করে পড়লে অক্ষর বিন্যাস প্রায় একই থাকে।
কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করা যেতে পারে:
১। কোরআনের আয়াত প্রথমে মুখস্ত করা হয়, এবং মুহাম্মদ (সঃ) এর কাছে আয়াত নাযিল হওয়ার পরে তিনি সাহাবিদের বলতেন অতঃপর সাহাবিরা মুখস্ত করে লিখে রাখতেন, আপনি বসে সময় নিয়ে চিন্তা করে এমন বাক্য বানাতে/লিখতে পারেন তবে তা অবশ্যই অনেক কস্টকর ও সময়সাধ্য ব্যপার। কিন্তু হটাৎ করে বলা --> আপনি মাত্র একটি চান্স পাবেন ঠিক ভাবে বলার জন্য কারন মুহাম্মদ (সঃ)যা বলতেন সাথে সাথে সাহাবিরা তা মনে রাখার জন্য চেস্টা করতেন এবং লিখে রাখতেন। তাই মুহাম্মদ (সঃ) কোন চান্স নেই যা বলতেন তা ফিরিয়ে নিয়ে আবার ঠিক করে বলার।
২। দ্বিতীয়ত এই আয়াতটার সাথে এটার আগে পরের আয়াতও একসাথে পড়া হয় (সম্ভবত একসাথেই নাযিল হয়), এ আয়াত টা বাক্যের মাঝের একটা আয়াত আর আসল ব্যপার হল এই আয়াতের অর্থ এত সুন্দর ভাবে বাকো আয়াতের সাথে মিলে যে এটাকে উল্টো ভাবে পড়লে ও এটার অর্থের সঙ্গতি ও মুল ভাব পরিবর্তন হয় না।
৩।এই আয়াতটা এমন যে অক্ষর উলটা করিয়া পড়লেও একই থাকে সেটা তখন কার সময়ে জানা ছিল না এটা অনেক পরে ইসলামি ভাষাবিদ / ভাষাতত্ত্ব পণ্ডিতরা পরে খুজে বের করেন। এটা এমন না যে মুহাম্মদ (সঃ) বলেছেন দেখ এইযে আয়াতটা এটা দু দিক থেকে একই ইত্যাদি, এটা সেখানেই ছিল সর্বদা কারন এটা আল্লাহন বানী মানুষ রচিত নয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই মে, ২০১২ ভোর ৪:৪৭