আপনি কি মুসলিম তবে আপনারই দায়িত্ব সবার মাঝে শান্তি বজায় রাখা তা হতে পরে আপনার পরিবার হতে পারে দেশ।
আপনি কি জানেন আল্লাহ কত সুন্দর ভাবে বলেছেন সুরা বাকারা তে
সুরা বাকারা সম্পকে না জানলে একটু দেখুন :: আল কোরআন সুরা নং: ২ আয়াত:১৪৩ যাকে বলা হয় মধ্যবর্তী আয়াত সেখানে আল্লাহ বলেন :
TheMiddle (wasat) Ayah of al-Baqarah.
وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا
এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য। And thus We have made you a Wasata (Middle way – Just/Balanced) Ummah/Nation..- al Baqarah 2:143
এটার সৌন্দর্য দেখুন: সুরা বাকারাতে মোট আয়াত সংখা ২৮৬ এবং আল্লাহ সুরা বাকারার আয়াতে মধ্যবর্তী বুঝাতে আল্লাহ ঠিক সূরা বাকারার মাঝখানটাকে ব্যবহার করলেন সেটা সকলের বিস্বয় আর কোরআনেই ভাষাগত সৌন্দর্য এবং এটা যে আল্লাহর বানী তাই প্রমান করে।
নোট: মনে রাখবেন সুরা বাকারা কিন্তূ কয়েক বছর সময় ধরে নাযিল হয়েছিল এবং এটা প্রথমে মুখস্ত করা হয় (মুহাম্মদ সঃ সময় পুরো কোরআন লিখা হয়নি সাহাবিরা মুখস্ত রাখতেন হজরত উসমান (রঃ) প্রথম কোরআন সংকলন করেন মুহাম্মদ (সঃ)ইন্তিকালের অনেক পরে)
যখন কোরআন সংকলন করাহয় তখনো আয়াত নং ছিল না যেমন এখন আমরা দেখি তাই এটা ইম্পসিবল যে আয়াতটি ইচ্ছাক্রত ভাবে মাঝখানে বসানো কারন সুরাটা সবাই আগেই মুখস্ত করে রেখেছিল তাই মানুষের পক্ষে পরবর্তীতে তা পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই
এবার অংকটা নিজেই করুন: [ সুরা বাকারার মোট আয়াত ২৮৬/২=১৪৩]
১৪৩ নং আয়াতকে সুরা বাকারার মধ্যবর্তী আয়াত হিসেবে ধরা যায় আর সেই মধ্যবর্তী আয়াতেই আল্লাহ আমাদের বলেন তিনি আমাদের মধ্যবর্তী সম্প্রদায় হিসেবে মনোনীত করেছেন। সুবহানাল্লাহ
এখন এই আয়াত থেকে আমরা শিক্ষা পাইযে যদি আমরা ঈমান আনি ও নিজেদের কে মুসলিম হিসেবে মানি তবে আমাদের দায়িত্ব হল সমাজে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখা আপনি নিজেও শান্তি বজায় রাখবেন আপনার পরিবার , সমাজ ও দেশের শান্তি বজায় রাখতে সর্বদা সচেস্ট থাকবেন।
তবেই সম্ভব আমাদের দেশের সুন্দর দিন ফিরে পাওয়া, দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়া যদি সবাই মিলে দেশে ও সমাজে শান্তি বজায় রেখে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় হিসেবে সবার সাথে(অন্য সম্প্রদায় হিন্দু খ্রিস্টান) এবং নিজেদের সাথে একে অপরে ভাল ব্যবহার করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। এই ভাবে থাকার সুফল দুদিকেই এক দুনিয়াতে আপনি শান্তি বজায় রাখবেন আর দ্বিতীয় যখন আপনাকে কেউ সাহাজ্য করতে পারবেনা তখান আপনি পাবেন আপনার রাসুল (সঃ) কে আপনার সাক্ষ্যদাতা হিসেবে। এর চেয়ে ভাল পুরস্কার আর কি হতে পারে একজন মুসলিমের জন্য।
তবে যারা সমাজে শান্তি বিনস্ট করছে মানুষ কে কস্ট দেয়ার মাধ্যমে , ঘুষ দূর্নীতি, মানুষ কে তার হক থেকে বন্চিত করে ও অন্যান্য অপরাধের মাধ্যমে তাদের নাম যত সুন্দর মুসলিম নাম হোক না কেন বা তারা যদি মসজিদের ঈমামও হন তবে তারা যে আসলেই মুসলিম কিনা তা আপনারা বুঝেছেন নিস্চই।
একজন মুসলিম সেই যার আচার ব্যবহারে থাকবে কোমলতা একে অপরের জন্য সহায়তা সবোপরি সৎ চরিত্রের অধিকারি যেমন ছিলেন আমাদের মহানবী (সঃ) যার ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে মানুষ ইসলাম কবুল করত।
আল্লাহ আমাদের মধ্যপন্থী সম্প্রদায় হিসেবে সবাইকে কবুল করুন। আমিন
Quran Gem: Middle Nation | Kinetic Typography
আমার পুর্বের পোস্ট অর্থপূর্ন ও বরকতময় নামাজ পর্ব ১-৫ দেখতে ঘুরে আসতে পারেন আশা করি কাজে লাগবে
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:২০