সুন্দরীদের সান্নিধ্য কেন পুরুষের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতায় বাধা সৃষ্টি করে এর ব্যাখ্যায় বিজ্ঞানীরা বলেছেন, পুরুষ জাতি জন্মগতভাবেই বাহ্যিক সৌন্দর্যের দিকে বেশি মাত্রায় নিবিষ্ট। হ্যান্ডসাম পুরুষের সান্নিধ্যে নারীর মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব কেন পড়ে না এর ব্যাখ্যায় তারা বলেছেন, নারীরা জন্মগতভাবেই ‘প্র্যাকটিক্যাল’ হয়। পুরুষের বাহ্যিক সৌন্দর্যকে তারা একমাত্র ‘গুণ’ বলে মনে করেন না। তাদের কাছে পুরুষের চারিত্রিক দৃঢ়তা বা স্বভাব, শারীরিক, মানসিক ও সামাজিক শক্তি, ক্যারিয়ার ইত্যাদিও গুরুত্ব পায়।
নেদারল্যান্ডের র্যাডবাউন্ড ইউনিভার্সিটির মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখতে পান, একজন পুরুষ একজন সুন্দরী নারীর সান্নিধ্যে কিছুক্ষণ কাটানোর পর আই কিউ টেস্ট কিংবা যে কোন ধরনের পরীক্ষায় আগের চেয়ে ফল খারাপ করছেন! মেয়েটি যত বেশি সুন্দরী, মেধার পরীক্ষায় ফলাফল তত বেশি খারাপ দেখা গেছে! বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণার ফল প্রকাশ করার আগে ৪০ দফা পরীক্ষা করেন। গবেষণায় যেসব প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা সুন্দরী নারীদের সাহায্য নেয়া হয়েছে তাদের আগেভাগে গবেষণার বিষয়বস্তু বুঝতে দেয়া হয়নি। প্রায় প্রতিবারই একই ফল লক্ষ্য করা গেছে; পুরুষটির মস্তিষ্ক আগের চেয়ে কম কাজ করছে আর মেয়েটির মেধার কাজের ক্ষেত্রে তেমন কোন পরিবর্তন আসেনি। ব্রিটিশ সাইকোলজিক্যাল সোসাইটির বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী ড. জর্জ ফিল্ডম্যান বলেন, যদি কোন পুরুষ কোন সুন্দরী মেয়ের সান্নিধ্যে গিয়ে কল্পনাতেও তাকে কাছে পেতে কিংবা মন জয় করতে চায় তবে তার নিজের অজান্তেই মস্তিষ্কের কোষগুলো ‘ওভারওয়ার্ক’ শুরু করে দেয়। তার কাছ থেকে সরে যাবার পর কোষগুলো ক্লান্ত থাকে; ফলে মস্তিষ্ক তার স্বাভাবিক ক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারে না। তিনি আরো বলেন, কোন সুন্দরী মেয়ে কোন ছেলেকে তার বাড়ির ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে এক চান্সে মনে করতে পারা ছেলের সংখ্যা খুব কমই আছে!
Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩৬