সকালে শুরু হয় আযান এবং কুরআন তিলাওয়াত দিয়ে। একটু পরেই গীতা পাঠ, এর পরে রবীন্দ্র সঙ্গিত, পর্যায়ক্রমে নজরুল-গীতি, লালন সঙ্গিত, ছায়াছবি, নাচ, ফ্যাশান-শো, খেলাধুলা, সংবাদ, টক-শো, তারকা আলাপ ইত্যাদি । আর প্রত্যেকটা অনুষ্ঠানের মাঝে কিছুটা শালীন বাকিসব অশ্লীল বিজ্ঞাপন।
রমজান হলেই ভোর-রাত আর বিকালে কুরআন, ইসলামী কুইজ গজল প্রতিযোগিতা। আবার ঈদ আসলেই ৭ দিন ধরে ঈদ অনুষ্ঠান। এতে থাকে সকল ইসলাম পরিপন্থী অনুষ্ঠান। সংগীত, ঈদ নৃত্য, ব্যান্ড শো, ঈদ ফ্যাশন শো !!! (নাউজুবিল্লাহ), ঈদ নাটক আরও কত কি?
টিভি চ্যানেলের চরিত্রই এমন।
আর ঠিক টিভি চ্যানেলের মতই আমাদের জীবন যাপন!!!
নামাজ পড়ি, রোজা রাখি, হজ পালন করি আবার সাথে সাথে সবরকম পাপ ও অশ্লীল কাজ করি। মিথ্যা কথা বলি, কথা দিয়ে কথা রাখি না, আমানতের খেয়ানত করি, শিরক-বিদাত করি, খাবারে ভেজাল দেই, ওজনে কম দেই, অপরের সম্পদ দখল করি, অশ্লীল কথা ও কাজ করি, টিভি-তে অশ্লীল নাচ-গান-সিনেমা, ভারতীয় হিন্দুয়ানী সিরিয়াল দেখি, ইন্টারনেট -ফেসবুক অশ্লীল ছবি দেখি, সমাজ ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে কুরআন-হাদিস মানি না। আমরা সেকুলারিজমের ( ধর্ম নিরপেক্ষতার) অনুসরন করি এবং ভুলে যাই যে ইসলাম একটা পরিপূর্ণ জীবন বিধান। কুরআনকে শুধু নামাজ, রোজা, হজ- যাকাতের গাইড লাইন মনে করি। আর জীবনের বাকি সকল কাজ হিন্দু-ইহুদি- খ্রিষ্টান- মার্কস -লেলিন মতবাদ অথবা নিজেদের মনগড়া মতবাদ অনুযায়ী করি।
অথচ মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআন পাক এ বলেন >>
“তোমরা কি কিতাবের কিছু অংশ মানবে, আর কিছু অংশ অস্বীকার করবে? তোমাদের মধ্যে যারা এরূপ করবে (কিছু মানবে, কিছু অস্বীকার করবে), দুনিয়ায় তাদের বদলা বা শাস্তি হচ্ছে - লাঞ্ছনা-গঞ্জনা এবং কিয়ামতের দিন তাদেরকে কঠিন শাস্তির দিকে ধাবিত করা হবে।” -- (সূরা বাক্বারাঃ আয়াত - ৮০)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬