বাঙালি পুরুষেরা কামনা করে পরীমণিকে। পুরুষেরা জানে কামনা করলেই পরীমনিকে পাওয়া যায় না। কিন্তু কেউ তো পাচ্ছে এই চিন্তা পুরুষকে বিচলিত করে। পুরুষ নারীর সৌন্দর্যের যেমন পাগল তেমন নারীর সৌন্দর্য্য পুরুষের জন্যে পীড়াদায়কও। পুরুষের পক্ষে অনেকগুলো নারী পাওয়া সম্ভব নয়, যদিও পাওয়ার জন্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করে। বেশির ভাগ পুরুষের এক জীবন কাটে একজন নারীতে; তার উপর কত জনের স্ত্রীই বা দেখতে সুন্দর। পুরুষ সুন্দর নারী পছন্দ করে কিন্তু তারা চায় সুন্দর নারীরা তাদের সামনে না আসুক। সুন্দর নারী তাদের মনের ভেতর হাহাকারের জন্ম দেয়। তারা সেই নারীর সৌন্দর্যের অভিজ্ঞতা পাচ্ছে না। এই শব্দহীন হাহাকারের সাথে অন্য কেউ সেই নারীকে পাবে সেই হিংসা পুরুষকে দেয় নরক যন্ত্রণা। আবার সেই সুন্দরী নারীকে যে পুরুষ পায়, সেও সুখী হয় না। কারণ সে অন্য সুন্দরী নারীদের দেখে কিন্তু তাদেরকেও তো আর পাচ্ছে না, তাদের পাবে অন্য কেউ। সৌন্দর্য্য আর কামনার নারীকে পাওয়ার এই সীমাবদ্ধতা পুরুষ অতিক্রম করতে পারে না। পুরুষ তাই প্রার্থনা ও প্রচেষ্টা করে নারীর বন্দিদশার। সেই না পাওয়ার ক্ষোভ থেকে আসে দমন করার ইচ্ছা। হত্যার মাধ্যমে পুরুষের উপর চরম প্রতিশোধ নেয়া হয়, কিন্তু সুন্দরী বা চলনসই নারীর প্রতি প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষেত্রে বঞ্চিত পুরুষের প্রথম চিন্তা আসে তাকে ধর্ষণ করার। ধর্ষনে কামনার চেয়ে দমন করার ইচ্ছা বেশি থাকে। পুরুষ নারীকে নানাভাবে দমন করে তার নানা দুঃখ ভুলে থেকেছে চিরকাল। নারীকে দমন করে পুরুষ নিজের ঠুনকো আহমিকাকে ধারালো করে, ভুলে থাকে হাজার হাজার কামনার নারীকে না পাওয়ার যন্ত্রণা, আর অন্য কেউ সেই নারীদের পাচ্ছে চিন্তার দুঃখ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০২