ধর্ষণ প্রনীকূলের একটি স্বাভাবিক যৌনাচার। কিন্তু সমস্যা হলো কিছু মানুষ আবার নিজেদের ”শ্রেষ্ট জীব” নামের এক হাস্যকর উপধীতে ভূষিত করে আত্মতৃপ্তি বোধ করে। বরং মানুষকে পশুদের মধ্য নিকৃষ্ট পশু বলা যায় কারন এত বর্বরতা ও বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশলের সাথে পশুত্বকে আর কোন পশু জাহির করতে পারে না।
যৌনমিলন মাত্রই পাশবিক। তার ভিতরে কোনটা সঙ্গম আর কোনটা ধর্ষণ। সঙ্গম হল পারস্পারিক আর ধর্ষণ হলো ক্ষমতার প্রদর্শন। ধর্ষণ একজনের কাছে সূখ কিংবা প্রতাপ অন্যথায় অন্যজনের কাছে হতে পারে যাবজ্জীবন যন্ত্রনা। বিশেষ করে বাংলাদেশের মত পতিত সমাজে যেখানে মেয়েদের শরীর সর্বস্ব করে গড়ে তোলা হয়। এখানে ধর্ষিত হওয়াটা অপরাধ। বাংলাদেশের সমাজ ব্যাবস্থা ধর্ষিতাকে বেশ্যা উপধী দিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তার শরীরের ক্ষত একদিন শুকায় কিন্তু মনের ক্ষত আর শুকায় না। ধর্ষিতা নিজেকে অপরাধী ভাবে এবং জীবন হয়ে উঠে জাহান্নাম। এদেশে মেয়েদের শেখানো হয় তোমার সতীত্ব (!) ই সব। কোন ছেলে ধর্ষিতাকে বিয়ে করতে চায় না তাই ধর্ষিত হলেও মেয়েরা মূখ খূলতে চায় না। আর যে মূখ খুলে সমাজ তাকেই দোষি প্রমান করতে মরিয়া হয়ে উঠবে। সে কেন বোরকা পরে না বোরকা পরলেও টাইটবোরকা কেন পরে? ইত্যাদি ইত্যাদি। আর বাকি মন্তব্যগুলো বলতে নিজের রুচিবোধে বাধছে।
ধর্ষণ বিষয়টা আমাদের কাছে যতটা গুরুত্বপূর্ন উন্নত দেশগুলোতে ততটা নয়। তাদের কাছে ধর্ষন একটি শাররিক অত্যাচার। তারা তাদের মেয়েদের কে শরীর সর্বস্ব করে গড়ে তুলে না। ধর্ষিতাকে তারা দোষী সাবস্ত করতে উঠে পড়ে লাগে না, ধর্ষিতার দোষ খুজে না। তাই ধর্ষিত মেয়েটি মানসিকভাবে ভেংগে পড়লেও ধর্ষকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যাবস্থা গ্রহন করে এবং স্বাভাবিক সামাজিক সন্মান নিয়ে জীবন যাপন করে।
যদি সব মেয়েই নিজেকে আপদমস্তক ঢেকে রাখে, রাতে বাহিরে না আসে তবুও ধর্ষণ থেমে থাকবে না। এর কোন সমাধান নেই। দরকার ক্ষমতার ভারসম্য। নারীরাও যখন ধর্ষণ করার মত সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা লাভ করে তখন ধর্ষণও অন্য যে কোন বিষয়ের সার্জনিন হয়ে উঠবে। তখন বিশেষ গোষ্টির জন্য নতুন করে ভাবতে হবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৮