১)প্রতিবার দেশে গেলে দেশের পরিবর্তনগুলি যেমন চোখে পড়ে এইবার অনেকদিন পরে সামুতে এসেও ঠিক তেমনটাই লাগছে ।চারিদিকে ব্যাপক রদবদল।
এইরকম ব্লগার বান্ধব বা লেখক বান্ধব একটা ব্লগ দেয়ার জন্য সামু টীমকে ধন্যবাদ।
প্রথম যেই জিনিসটা ভালো লাগছে যে আগের মত কমেন্ট ফ্লাডিং এর ঝামেলা নাই। একটার বেশি দুইটা কমেন্ট কইরা ডরে ডরে থাকতাম না যানি ডাইন পাশে খালি ম্যাকানিক ম্যাকানিক দেখায়।
আগে স্লো নেট কানেকশনে বা মোবাইলে বেশী কমেন্টের ভারে মূল লেখা বা পেই লোড হইতে ব্যাপক সময় নিত এখন সেইটা নাই।
আমি অবশ্য প্রথমে তাব্দা খাইছি ১০৬ টা কমেন্টে খালি ৬ টা কমেন্ট দেইখা পরে দেখি যা বাপ ১ থেইকা ১০০ আরেক যায়গায়।
অটো ড্রাফট বেশ একটিভ আগে দেখা যাইত একটা লেখা আধা লেইখা একটা ফোন কল শেষ কইরা আইসা দেখি আমার শখের লেখা ব্লগ ও শেষ এইবার আর সেইরকম হইতেছে না যার দরুন এই তিন নাম্বার ডায়েরী টা লিখতে পারতেছি।
আপনাদের নির্বাচিত পোস্ট নিয়া দেখলাম ব্যাপক আলোচনা/সমালোচনা এইখানে আমার দুই পয়সার মতামত হইলো আমরা যারা মাস খানেক পর পর ব্লগে আসি বা এমনকি দিনশেষে ব্লগ দেখতে বসি তাদের জন্য কয়েক পেইজ এর নির্বাচিত পোস্ট এর ব্যাবস্থা করতে পারলে আরো ভালো হয় কারন সারাদিনে এত এত পোস্ট আসে তার ভীড়ে পছন্দ করার মত লেখা বা ৮/১০ পেইজ ব্রাউজ করে একটা লেখা বের করার ধৈর্য থাকে না।সেজন্য এই অপশনটাও আমার ভালো লেগেছে।
সব মিলায়া সামুর এই চেহারাটা বা এইবারের গেটআপটা এককথায় চমৎকার ধন্যবাদ টীম সামহয়ারইন।
অ হ্যা
রাজাকার মুক্তিযোদ্ধা সমস্যা ,আস্তিক নাস্তিক সমস্যা্ , লুল সমস্যা , গাইলা গাইলি সমস্যা্ , সিন্ডিকেটবাজী সমস্যা , নিকবাজী সমস্যা থাকবেই এর মাঝেই আমাদের মত কিছু ম্যাঙ্গো ব্লগার আছি এবং ধাক্কায়া না বাইর কইরা দিলে থাকবোই।
আর আমারে ত দেখছেনই ধাক্কায়া বাইর করনের আগে আমি নিজেই গায়েব হইয়া যাই চাইলেও সামুর ধারে কাছে আসতে পারি না। ইমোটিকন ও ত দেখি বেশ একটিভ হইয়া গেছে
ইমোটিকনের উপ্রের ডায়লগগুলি যে বা যারা যুক্ত করছেন তারা আমার পক্ষ থেইকা এক কাপ চা ভাগাভাগি কইরা খায়া লাইয়েন{ (এইখানে চাম হাসির ইমো হবে)দিলাম না ইচ্ছা কইরা}।
২)ছুটিতে বাড়ী আসলে আমারা জামাই বউ দুইজনে মিল্যা ব্যাপক উইন্ডো শপিং করি।গিন্নি দোকানের জিনিসের দরদাম আর ঘোরাঘুরিতে খুশি আর আমার খুশি হইলো লাঞ্চ টাইমে মালয়েশিয়া মাকানান বা ইন্দোনিশিয়ান বালি হাটে অথবা কোন হালাল রেস্টুরেন্টে নাসিগোরেং বা কেবাব বা ফিস এন্ড চিপস ধ্বংস করায়।এইখানে বইলা রাখি দিন পনেরো হালাল খাবারের অভাবে ভেজিটেরিয়ান সাইজা থাকার পরে গরুর গোশত তখন আলাউদ্দিনের চমচমের মত মনে হয়। এবারও তেমনি উইন্ডো শপিং শেষ কইরা ফুডকোর্টের দিকে আগাইতেছি এমন সময় লেডিজ আইটেম বেচইনা এক পোলা আইসা কয় ডু ইউ এনজয় ক্রিসমাস
আমি কইলাম নোপ।
ব্যাডায় শুইনাও না শোনার ভান কইরা হাতে ধইরা তার দোকানের দিকে টাইনা লইয়া যাইতে যাইতে কয় দেন আই হ্যাভ এ গিফট ফর ইয়ু গিন্নি তখনও পাশের একটা লেডিস ব্যাগের দোকানে।
ছেমড়া আমারে তার দোকানের পাশে নিয়া কি একটা ক্যামিকাল নিয়া যত্ন সহকারে আমার আংগুল পরিস্কার করা শুরু করলো।
চিন্তা করলাম শালায় আমারে নেল পালিশ ধরানোর ধান্দা করতাছে ভালো কথা কিন্তু আমার হাতেই নেল পালিশ দিবো নাকি।
পুরা দেশী স্টাইলে বাটপারী শুরু করতাছে নাকি।
যাইহোক ওর ক্যামিকেল ঘষায় বাধা দিয়া এইবার শক্ত কইরা কইলাম
হ্যং অন । হোয়াট ইউ ওয়ান্ট টু সেল মায়ট।
এইবার পোলায় বেশ ক্যাজুয়ালি জিগায় হোয়াট ইস ইউর নেইম
আমি কইলাম আহমেদ
সে কয় অঅঅ আখমেদ , সি আই ক্যান প্রোনাউন্স ইউর নেইম প্রপারলী।
এইবার সে কয় অয়ার ইউ ফ্রম
আমি কইলাম ইউ গেস
কয় ইন্দোনেশিয়া , চায়না, আমি মাথা নাড়াই উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান?
ঘষাঘষি ততক্ষনে বন্ধ।
এইবার আমি কইলাম মায়ট টেল ইউর হ্যান্ডলার দ্যাট ইউর ট্রেনিং ইজ নট কমপ্লিট ।
এইবার ছেড়ায় কয় হোয়াই হোয়াট ইউ মিন।
আমি কইলাম ইউ আর ফ্রম ইসরায়েল এন্ড ওয়ার্কিং ফর মোসাদ এন্ড টুডে ইউ পিক মি আপ এজ এন ইরানিয়ান অর আরব হুইচ আই এম নট দ্যাটস হোয়াই আই সেইড ইউ নিড মোর ট্রেনিং।
ত্যান্দরের বাচ্চা এইবার খোলা মুখ বন্ধ কইরা কয় অ ইউ আর ভেরি ক্লেভার।
এইটুকুর পরে যাইতেগা লইছিলাম লগে লগে চিন্তা করলাম সুযোগ যহন পাইছি হালারে আরেকচোট শান্টিং দিয়া যায়।
আবার ফেরত গিয়া অর দোকানে আরেকটা মেয়ে দাড়ায় ছিলো অরে যাইয়া
কইলাম ইউ ওয়ার্ক হিয়া?
ইয়ে
আংগুল দেখায়া কইলাম আই ডোন্ট নো হোয়াট কেমিকেল হি এপ্লাইড হিয়ার বাট ইফ এনিথিং হ্যাপেন্স টেল ইউর বস আল সু ইউ এন্ড দ্যাটস বিকজ অফ দ্যাট ফাকেন ডিকহেড।
এইটা বইলা তখনকার মত চইলা গেলাম আসার পথে দেইখাও না দেখার মত কইরা দেখলাম মেয়েটা ছেলেটারে সমানে ঝারতেছে।