মোঃ মাঈনউদ্দিন
দৃশ্য ০১
একদিকে শাওন অমাবস্যা বহুদিন ধরে
অন্যদিকে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত।
উৎকণ্ঠা, ভয়, হতাশা, অবিশ্বাস-
সর্বত্র, চারিধারে।।
ভবিষ্যৎ?
নিকষ কালো আঁধার।
এখন কী সন্ধ্যা?
নাকি?
মাঝরাত পেরোয় পেরোয়!!
থম মেরে আছে প্রকৃতি;
যেন কী এক অশুভ আশংকায়।
মাঝে মাঝে বিদ্যুৎ চমকায় আর
কড় কড়াৎ বজ্র নিনাদ!
সাথে ভয়ংকর সব আর্ত চিৎকার !
আচমকা বয়ে যায় গা শির শির করা
মৃত্যু শীতল হাওয়া;
সেই সাথে কিছু প্রাণের অসময়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন,
অর্থাৎ, আলমে বরজকে ফিরে যাওয়া।
গাছের পাতা দোলে- ভয়ংকর সর সর করে
শব্দ হয় ,ঝটিকা বাতাসে আতংকিত হয় ডাল পালা।
দৃশ্য ০২
নিথর নিশ্চল পড়ে আছে কিছু লোক,
মাটির উপরে, আধমরা।
মাটির নিচে;আচমকা মরা।
অন্ধকার প্রকোষ্টে; জ্যান্ত মরা-
কিছু বিচারের প্রতিক্ষায় ঝরঝরা;
আর কিছু
মৃত্যু প্রতিক্ষায় মর মরা।
এরা মানুষ নয়, সাধারণ জনগণও নয়;
এরা নাকি বিরোধীদল।
তবে সেটা কোন রাষ্ট্রের নয়,
অন্য কোন দলের?
তাও নয়;তবে-
গুটিকয় স্বার্থান্বেসী, পুজিবাদী,অর্থলিপ্সু,
ভোগী, লোভী,দাগী হতচ্ছাড়াদের স্বার্থের বিরোধী।
এদের স্বার্থে, আজ প্রিয়দেশ গর্তে।
এ থেকে পরিত্রাণ নেই, কারণ-
Peoples Republic এর সংবিধান
সুরক্ষিত নয় !! তবে? আর বিচার বিভাগ কী রাহূ গ্রাস কবলে??
না? তবে কী স্বাধীনতা লাভের ৪৫ বছর পরেও স্বাধীনতার মর্ম বুঝিনি বলে!!?
ফলে, বিপন্ন বসতিতে অহর্নিশ আগুন জ্বলে।।
দৃশ্য ০৩
এ আঁধার চিরন্তন,
কারণ, মরণ ঘুমে বিপন্ন বসতির জনগণ।
আর সেই সুযোগে
আঁধারের অন্তরালে জড়ো হয়েছে যত
ডাকিনি, যোগিনি, পিশাচ,প্রেত আর যত দেও, দানো।
তৈরি করেছে চারিদিকে ভীতিকর আবহ ।
হু-হু করে বইছে মৃত্যুগন্ধী বাতাস;
কাঁপিয়ে দিচ্ছে অস্তিত্ব,
আতংকে নড়ে চড়ে বসছে প্রাগৈতিহাসিক পাষাণ প্রাণও।।
০৪
আর অবশেষে,
এ দেশের সরকার
যাদের সুমতি দরকার,
নেই তা।বদলে ভীমরতিতে পেয়েছে।
আবোল তাবোল বকে যাচ্ছে,
কার বিরুদ্ধে কী বলছে
ঠিক নেই।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মে, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৪