গনতন্ত্রের নামে বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যন্য দেশের মত ভাবা বড়ই কঠিন তাই বাংলাদেশকে ভাবতে হবে ভিন্ন আঁঙ্গিকে কেননা এরা স্বাধীনচেতা জাতী, যেই পথে সূঁই যায়না সেই পথে এরা কূড়াল চালায়, বৃটিশ - পাকিস্তান মার খেয়েছে। ভারত একটু নড়াচড়া করলেও শিঁয়ালের মত নিরাপদ অবস্থানে থাকিয়া চিল্লায়, হকুম দিলেই হয় মাঠে নামতে দেরী করেনা, এমনটি তিন বারই দেখাল বাঙ্গালী জাতীর মধ্যে, ১ বার ৭১ পূর্বে, ২ বার ৪৫ বছর বয়সী স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে।
যাই হউক, ২০১৬ এর শেষ পর্যায়ে, ২০১৭/১৮ পুরাটাই রয়েছে। ২০১৯ সালে যেভাবেই হউক নির্বাচন তো দিতেই হবে। বিএনপি এই নির্বাচনে স্বতস্ফূর্ত ভাবে অংশ নিবে আশা করা যায়, সাধারণতঃ ২ বছর আগে থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী খেলা, বিগত ৫ই জানুয়ারীর নির্বাচনী নটক জনগন হয়ত আর মেনে নিবেনা তাই আওয়ামী লীগের চিন্তা ভাবনাও ভিন্ন, পিঠ বাঁচাতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীকে নির্বাচনী প্রস্তুতি সহ এলাকা ভিত্তিক হাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন, তবে দুঃখ জনক হলে সত্য যে, আওয়ামী নেতারা বর্তমানে যেখানে/যেই অবস্থায় আছেন সেখানেও নিজেকে নিরাপদ ভাবেন না, এলাকার কথা স্বরন হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রী অতিক্রম করে। বিএনপির নতুন তারুন্য কমিটি ঘোষনা হয়েছে, কথায় আছে যাহা উপর্জন করেছি তাহা খাওয়ার জন্য বাঁচতে হবে, আর বাঁচতে হলে তাল মিলাইয়া নিরাপদে থাকতে হবে, সকলেই তো সেকেন্ড হোম করার সূবিধা পায় নাই, স্থানীয় ভাবে আওয়ামী কর্মীদের অবস্থা এখন সেই রকম। আমিরিকা, ইউরোপ এবং ভারত নিজেদের স্বার্থ সূবিধা অসুবিধা বিচার বিশ্লেষনে বাংলাদেশকে নিয়ে এখন অঙ্ক কষতে বসেছে, আওয়ামী লীগ তো ১০ বছর খাইল, এদের খূঁটি এখন আগের তুলনায় শক্ত কারণ ১০ বছরে অনেক দিয়েছে, ভারত একটু বেশী পাইলেও অন্যরা একেবারে বাদ পড়ে নাই তাই যাদের খুঁটি নড়বরে তাদের নিয়ে ভাবলে হয়ত মন্দ হবেনা, জঙ্গি সন্ত্রাসী এইসব শ্লোগান/নাটকের বেইল নাই, আসল কথা হইল নিজের স্বার্থ কিভাবে সিদ্ধ হবে। মিষ্টার কেরি দিয়ে শুরু হল ২০১৯ সালের নির্বাচনের হিসাব নিকাশ, ১০ বছরে এতো দিয়েছে, একই ব্যক্তির দুঁয়ারে আবার দাঁড়াই কি করে? তাই হয়ত নতুন কেউ ভাল হবে।