৩৬ শে জুলাই দেশ আবার নতুন করে স্বৈরাচার মুক্ত হলো। জুলাই মাস থেকেই দেশের পরিস্থিতি থমথমে ও ভয়াবহ। কখন কি হয় এই আতঙ্ক নিয়ে থাকতে হতো। আমাদের বিভিন্ন কথা আমার মেয়ের কানে গিয়েছে। সে কিছু নতুন শব্দ শুনছে, বুঝছে। তাই প্রশ্নও করেছে।
বাবা আন্দোলন কি ?
আমি তাকে বুঝিয়ে বলেছি কোন একটা দাবী নিয়ে যখন অনেক মানুষ একত্রিত হয়ে মাঠে/রাস্তায় নামে সেটাই আন্দোলন।
সে বলল বুঝিনা ।
তখন ভিডিও দেখিয়ে বললাম দেখলে আন্দোলন কিভাবে করে মানুষ।
আবার নতুন প্রশ্ন বাচ্চারাও কি আন্দোলন করে বা মিছিলে থাকে।
খুবই কম থাকে।
কেন কম থাকে ?
ভয় থাকে তাই কম থাকে।
কিসের ভয় ?
একসিডেন্ট, পুলিশের ভয় ?
পুলিশ কি করে ?
গুলি করে।
সে অবাক হয়। পুলিশ জানেনা গুলি করলে মানুষ মারা যাবে।
জেনেইতো গুলি করে মা।
সে যে বিশ্বাস করতে পারেনা, কেউ জেনে শুনে মানুষ মারতে পারে।
দেশে একটা যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের কথা শুনে যুদ্ধ কি সেটা জানতে চায়।
যুদ্ধের কথা বুঝিয়ে বলে বলেছি তুমি এখন আর বাহিরে যাবার জন্য বায়না ধরবেনা। বাহিরে যাওয়া এখন বিপদজনক ও সব পার্ক, চিড়িয়াখানা বন্ধ।
কত দিন যুদ্ধ থাকবে ?
সেটাতো বলা যাচ্ছেনা।
যাক দেশ যেন পুনরায় স্বাধীনতার স্বাধ পেল। নতুন সরকার এলো।
তখন মেয়ে জানতে চায় নতুন সরকার কি আবার যুদ্ধ করবে।
আমরা বলি না নতুন সরকার আর যুদ্ধ করবেনা।
সে বলে শেখ হাসিনা কেন পালিয়ে গেল, ওর সব কিছু মানুষ নিয়ে গেছে আমি ভিডিওতে দেখেছি গাছের টপ আর সোফাও বাদ দেয়নি।
আমি নতুন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে দেখাই মোবাইলে । সে দেখে বলে বিদেশীদের মত মনে হয়, উনি পালিয়ে যাবেনাতো।
হেসে বলি আরে না না, যাবেনা। নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
আমরা দেশেকে কোথায় নিয়ে গিয়েছি বাচ্চারা পর্যন্ত বুঝে গেছে দেশ ভাল নেই, যুদ্ধ হচ্ছে, মারা যাচ্ছে মানুষ, সরকার প্রধান পালিয়ে যাচ্ছে। সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত মুখ আমাদের নেই।
ভাল থাকুক দেশ, ভালো থাকুক জাতি।
১. ১৩ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১১:০২ ০
বিদেশীদের মত মনে হয়, উনি পালিয়ে যাবেনাতো।
প্রশ্নটা কিন্তু অনেক গভীর!
তা ভাই, মা মনিরা কেমন আছে? চুলের অবস্থা কি?