আসলে ক্ষমতায় চিরকাল থাকা যায় না এই কথাটি বোধ হয় আমাদের দেশের প্রধান দুটি দল ভুলে যান। আর তাইতো ক্ষমতার দ্বন্দ্বে সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, যে যায় লঙ্কা সে হয় রাবন এই বাক্যটি ফলে যায়। আর ফলে যায় বলেই পিতা পুত্র হারায়, পুত্র পিতা হারায়, স্ত্রী ম্বামী হারায়, স্ত্রী স্বামীকে হারায়, মা মেয়েকে হারায়, মেয়ে মাকে হারায়, ভাই হারায় বোনকে, বোন হারায় ভাইকে, পরিবার হারায় একমাত্র সন্তানকে।
গত কিছু দিন যাবৎ আমারা কেবল লাশ উপহার পেয়েছি। অধিকার আদায়ে মানুষ, ছাত্র জনতা রাজ পথে যাবেই। তাই বলে পুলিশ, রাজনৈতিক জর্মী দিয়ে লিলিয়ে দিবেন। কেন গণভবনে লাশের গণকবর ? আজ কোথায় ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বপ্ন ? জনগনকে খুন করে ক্ষমতায় থাকা যায়না।
যে বা যারা আবার নতুন করে ক্ষমতায় আসবেন গতকালের উদাহরণ থেকে শিক্ষা নিয়েই গদিতে বসবেন নইলে পরিনতি এর চেয়ে খারাপ হবে।
যারা মারা গেল তাদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ কি কোন ভাবে সম্ভব ? সম্ভব নয় । এখন অরাজকতা কাম্য নয়, লুটপাট, হত্যা, ধ্বংস কাম্য নয়। দ্রুত অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করে নির্বাচনের পথ সুগম করে দিতে হবে।
এক নতুন দেশ নতুন বাংলাদেশের সূচণা হোক।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:৫৫