ভাংগা জানালার দুই শিকের মাঝ দিয়ে আমি দু:সহ ভবিষ্যতের আকাশ দেখি।
শরীর থেকে আবেগের সমস্ত পোশাক খুলে ফেলেছি,
এখন আমি শরীর সর্বস্ব পাথরের দলার মত।
আমি শরীর থেকে ভদ্রতার সমস্ত অলংকার খুলে ফেলেছি।
এখন আমার পকেট থেকে ওই বুড়ো আংগুলটা বের করতে একটু বাঁধে না,
এখন মুখের উপর কষে বসিয়ে দিতে একটুও বুক কাঁপে না
হিট এলার্টের এই দহনকালে পুড়তে থাকা চিতাকাঠের মতই আমি ভীষণ উত্তপ্ত।
আমি খুব কম দামে বিক্রি হওয়া উঠতি নেতাকে চিনতে পারিনি।
প্রতিভা বিক্রি করে খাওয়া সুশীলশ্রেনীকে বুঝতে পারিনি.
আমি ডেট এক্সপায়ার্ড হওয়া মালখোরের চিটারি ধরতে পারিনি
তবে শেষ বেলায় নিজেকে বেশ চিনে ফেলেছি।
শতাব্দীর সমস্ত ঘৃণার বাণ থেকে নিজেকে খুব কষ্টে ঢেকে রেখেছি।
চোখের লেন্স থেকে অবাঞ্চিত সব স্বপ্ন ঝেঁটিয়ে বিদায় করেছি,
ফ্যান্টাসি আর কল্পনার সানগ্লাসটা ছেঁড়া কাঁথার মত ছুঁড়ে ফেলে বাস্তবতার ছুটন্ত
ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়েছি।
বেলা শেষে আমার সাফ কথা।
আমি প্রাসাদে বসার আনন্দ চাই না, স্বাধীনতা চাই,
বয়ান শেষে আমার এক কথা।
আমি মেঘে মেঘে বেলা কাটিয়ে দিতে চাই না,
থুতু ছিটিয়ে নেড়ি কুত্তাগুলোকে বাংলা ছাড়া করতে চাই…
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৩