আস-সালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আমি আমাদের প্রান প্রিয় নবী যার কদমে আমার মা-বাবা উৎসর্গীত হোক সেই মহান স্বত্নার সম্পর্কে মহামহাম আল্লাহ জাল্লা জালালাহু তায়ালা আজমাইন তার পবিত্র যবানে পাক কোরআনে কি বলেছেন সে বিষয়ে একটু আপনাদের দৃষ্টি আকর্শন করছি । যদিও পুরো কোরআনে পাঁক আল্লাহ তার নিজ শান ও তাঁর প্রিয় হাবিবের শান উজ্জত এর বর্ননা ও তাদের একান্ত কথা বার্তাতে পরিপুর্ণ । আমি এর কিছু মাত্র আপনাদের সামনে পেশ করছি ।
১। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম তিনি নূর ।এই বিষয়ে মহামহান আল্লাহ্ তায়ালা পরিস্কার করেই বলেছেন ।একটু খেয়াল করে পড়ুন ।
অনুবাদ :
হে আহলে-কিতাবগণ! তোমাদের কাছে আমার রাসূল আগমন করেছেন! কিতাবের যেসব বিষয় তোমরা গোপন করতে, তিনি তার মধ্য থেকে অনেক বিষয় প্রকাশ করেন এবং অনেক বিষয় মার্জনা করেন। তোমাদের কাছে একটি উজ্জল জ্যোতি এসেছে এবং একটি সমুজ্জল গ্রন্থ।
২।আল্লাহ্ পাক তাঁর প্রিয় হাবিবের প্রতি দরূদ পরেন এবং আমাদের তাঁর প্রিয় বান্দাদের ও এই ব্যাপারে আদেশ করেছেন ।
অনুবাদ :
আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতাগণ নবীর প্রতি রহমত প্রেরণ করেন। হে মুমিনগণ! তোমরা নবীর জন্যে রহমতের তরে দোয়া কর এবং তাঁর প্রতি সালাম প্রেরণ কর।
৩। তিনি কুল আলামিন এর জন্যে রহমত স্বরূপই ।
অনুবাদ : আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্যে রহমত স্বরূপই প্রেরণ করেছি।
৪। জানের চেয়ে প্রিয় নবীকে বিশ্বাস করা কত জরূরি ।
অনুবাদ :
আর যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তাদের পালনকর্তার পক্ষ থেকে মুহাম্মদের প্রতি অবতীর্ণ সত্যে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তাদের মন্দ কর্মসমূহ মার্জনা করেন এবং তাদের অবস্থা ভাল করে দেন।
৫।আল্লাহ্র সব চাইতে প্রইয় হাবীবের আলোচনার আল্লাহ রাব্বে কাইণাত এতো উচু মর্জদা দিয়েছেন যা আমি আপনি কোন দিন চিন্টা করতে পারবো না। মনে রাখবেন তার সম্মান আল্লাহ বুলন্দ করেছেন । আমি আর আপনি কে ?
অনুবাদ : আমি আপনার আলোচনাকে সমুচ্চ করেছি।
৬। মেরাজের রাত্রিতে আল্লাহ্র প্রিয় মাহবূব এর সাথে কতো কাছা কাছি ছিলেন । চিন্তাশীল ব্যক্তিদের জন্যে এখানে আনেক কিছু বুঝবার আছে ।
অনুবাদ :
অতঃপর নিকটবর্তী হল ও ঝুলে গেল।
তখন দুই ধনুকের ব্যবধান ছিল অথবা আরও কম।
৭। মাকামে মাহমুদের সুসংবাদ আমাদের প্রান প্রিয় নবীর জন্য। আহা কত সম্মানই মহা নবীকে আল্লা দিয়েছেন ।সুব হানাল্লাহ !
অনুবাদ :
রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন।
মহামহান রাব্বুল আলামীন তাঁর প্রিয় মাহবুবকে কত ভালবাসতেন মনোযোগ দিয়ে পড়বেন ।
১।
অনুবাদ : বলুন, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস, তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ ও তোমাদিগকে ভালবাসেন এবং তোমাদিগকে তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।
২।
তোয়া-হা
ইয়া-সীন
হে বস্ত্রাবৃত!
হে চাদরাবৃত!
৩।
তোমরা জেনে রাখ তোমাদের মধ্যে আল্লাহর রসূল রয়েছেন। তিনি যদি অনেক বিষয়ে তোমাদের আবদার মেনে নেন, তবে তোমরাই কষ্ট পাবে। কিন্তু আল্লাহ তোমাদের অন্তরে ঈমানের মহব্বত সৃষ্টি করে দিয়েছেন এবং তা হৃদয়গ্রাহী করে দিয়েছেন। পক্ষান্তরে কুফর, পাপাচার ও নাফরমানীর প্রতি ঘৃণা সৃষ্টি করে দিয়েছেন। তারাই সৎপথ অবলম্বনকারী।
৪।
তোমাদের কাছে এসেছে তোমাদের মধ্য থেকেই একজন রসূল। তোমাদের দুঃখ-কষ্ট তার পক্ষে দুঃসহ। তিনি তোমাদের মঙ্গলকামী, মুমিনদের প্রতি স্নেহশীল, দয়াময়।
৫।
হে নবী! আমি আপনাকে সাক্ষী, সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারীরূপে প্রেরণ করেছি।
এবং আল্লাহর আদেশক্রমে তাঁর দিকে আহবায়করূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।
আপনি মুমিনদেরকে সুসংবাদ দিন যে, তাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিরাট অনুগ্রহ রয়েছে।
৬।
যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না হত, তবে তাদের একদল আপনাকে পথভ্রষ্ট করার সংকল্প করেই ফেলেছিল। তারা পথভ্রান্ত করতে পারে না কিন্তু নিজেদেরকেই এবং আপনার কোন অনিষ্ট করতে পারে না। আল্লাহ আপনার প্রতি ঐশী গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং আপনাকে এমন বিষয় শিক্ষা দিয়েছেন, যা আপনি জানতেন না। আপনার প্রতি আল্লাহর করুণা অসীম।
৭।
আল্লাহ ঈমানদারদের উপর অনুগ্রহ করেছেন যে, তাদের মাঝে তাদের নিজেদের মধ্য থেকে নবী পাঠিয়েছেন। তিনি তাদের জন্য তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করেন। তাদেরকে পরিশোধন করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও কাজের কথা শিক্ষা দেন। বস্তুতঃ তারা ছিল পূর্ব থেকেই পথভ্রষ্ট।
৮।
অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।
৯।
অথচ আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব নাযিল করবেন না যতক্ষণ আপনি তাদের মাঝে অবস্থান করবেন। তাছাড়া তারা যতক্ষণ ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবে আল্লাহ কখনও তাদের উপর আযাব দেবেন না।
তিনি গ্রহন করেছেন পবিত্র কোরআন তিনি সাহেবে কোরআন ।
১। আল্লাহ সুরাহ ফাতিহা ও সমস্ত কোরআন হুজুর সাল্লাল্লাহু তায়ালা আলাইহে ওয়া সাল্লাম কে দিয়েছেন ।
আমি আপনাকে সাতটি বার বার পঠিতব্য আয়াত এবং মহান কোরআন দিয়েছি।
২।
এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না।
কোরআন ওহী, যা প্রত্যাদেশ হয়।
৩।
এই কোরআন তো বিশ্ব-জাহানের পালনকর্তার নিকট থেকে অবতীর্ণ।
বিশ্বস্ত ফেরেশতা একে নিয়ে অবতরণ করেছে।
আপনার অন্তরে, যাতে আপনি ভীতি প্রদর্শণকারীদের অন্তর্ভুক্ত হন,
সুস্পষ্ট আরবী ভাষায়।
নিশ্চয় এর উল্লেখ আছে পূর্ববর্তী কিতাবসমূহে।
তাদের জন্যে এটা কি নিদর্শন নয় যে, বনী-ইসরাঈলের আলেমগণ এটা অবগত আছে ?
৪।
পাঠ করুন আপনার পালনকর্তার নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন।
৫।
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।
অন্যান্য নবীদের তুলনায় আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম ।
১।
মুহাম্মদ তোমাদের কোন ব্যক্তির পিতা নন; বরং তিনি আল্লাহর রাসূল এবং শেষ নবী। আল্লাহ সব বিষয়ে জ্ঞাত।
২।
যখন আমি পয়গম্বরগণের কাছ থেকে, আপনার কাছ থেকে এবং নূহ, ইব্রাহীম, মূসা ও মরিয়ম তনয় ঈসার কাছ থেকে অঙ্গীকার নিলাম এবং অঙ্গীকার নিলাম তাদের কাছ থেকে দৃঢ় অঙ্গীকার।
আমি আপনার প্রতি ওহী পাঠিয়েছি, যেমন করে ওহী পাঠিয়েছিলাম নূহের প্রতি এবং সে সমস্ত নবী-রসূলের প্রতি যাঁরা তাঁর পরে প্রেরিত হয়েছেন। আর ওহী পাঠিয়েছি, ইসমাঈল, ইব্রাহীম, ইসহাক, ইয়াকুব, ও তাঁর সন্তাবর্গের প্রতি এবং ঈসা, আইয়ুব, ইউনূস, হারুন ও সুলায়মানের প্রতি। আর আমি দাউদকে দান করেছি যবুর গ্রন্থ।
৩।
আলিফ-লাম-মীম,
রোমকরা পরাজিত হয়েছে,
নিকটবর্তী এলাকায় এবং তারা তাদের পরাজয়ের পর অতিসত্বর বিজয়ী হবে,
কয়েক বছরের মধ্যে। অগ্র-পশ্চাতের কাজ আল্লাহর হাতেই। সেদিন মুমিনগণ আনন্দিত হবে।
আল্লাহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছা সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী, পরম দয়ালু।
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।
আল্লাহর প্রতিশ্রুতি হয়ে গেছে। আল্লাহ তার প্রতিশ্রুতি খেলাফ করবেন না। কিন্তু অধিকাংশ লোক জানে না।
আল্লাহ তাঁর রসূলকে সত্য স্বপ্ন দেখিয়েছেন। আল্লাহ চাহেন তো তোমরা অবশ্যই মসজিদে হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে মস্তকমুন্ডিত অবস্থায় এবং কেশ কর্তিত অবস্থায়। তোমরা কাউকে ভয় করবে না। অতঃপর তিনি জানেন যা তোমরা জান না। এছাড়াও তিনি দিয়েছেন তোমাদেরকে একটি আসন্ন বিজয়।
এবং আরও একটি অনুগ্রহ দিবেন, যা তোমরা পছন্দ কর। আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।
৪। ইলমে গায়েব তিনি জানেন এর দলিল ।
নাপাককে পাক থেকে পৃথক করে দেয়া পর্যন্ত আল্লাহ এমন নন যে, ঈমানদারগণকে সে অবস্থাতেই রাখবেন যাতে তোমরা রয়েছ, আর আল্লাহ এমন নন যে, তোমাদিগকে গায়বের সংবাদ দেবেন। কিন্তু আল্লাহ স্বীয় রসূল গণের মধ্যে যাকে ইচ্ছা বাছাই করে নিয়েছেন। সুতরাং আল্লাহর ওপর এবং তাঁর রসূলগণের ওপর তোমরা প্রত্যয় স্থাপন কর। বস্তুতঃ তোমরা যদি বিশ্বাস ও পরহেযগারীর ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে থাক, তবে তোমাদের জন্যে রয়েছে বিরাট প্রতিদান।
৫।হযরত ইব্রাহিম আলাইহিস সালাম হুজুরের আগমনের জন্য দোয়া করেছেন ।
হে পরওয়ারদেগার! তাদের মধ্যে থেকেই তাদের নিকট একজন পয়গম্বর প্রেরণ করুণ যিনি তাদের কাছে তোমার আয়াতসমূহ তেলাওয়াত করবেন, তাদেরকে কিতাব ও হেকমত শিক্ষা দিবেন। এবং তাদের পবিত্র করবেন। নিশ্চয় তুমিই পরাক্রমশালী হেকমতওয়ালা।
৬।
স্মরণ কর, যখন মরিয়ম-তনয় ঈসা (আঃ) বললঃ হে বনী ইসরাইল! আমি তোমাদের কাছে আল্লাহর প্রেরিত রসূল, আমার পূর্ববর্তী তওরাতের আমি সত্যায়নকারী এবং আমি এমন একজন রসূলের সুসংবাদদাতা, যিনি আমার পরে আগমন করবেন। তাঁর নাম আহমদ। অতঃপর যখন সে স্পষ্ট প্রমাণাদি নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বললঃ এ তো এক প্রকাশ্য যাদু।
৭। রোজে আজলে সকল নবীদের কে নি্যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের প্রথম মিলাদ মাহফিল । যে খানে হুজুরে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আগমন ও তাঁকে মেনে নেয়া অঙ্গিকার গ্রহন করেন এবং আল্লাহ নিজেই সাক্ষি হন ।
আর আল্লাহ যখন নবীগনের কাছ থেকে অস্বীকার গ্রহন করলেন যে, আমি যা কিছু তোমাদের দান করেছি কিতাব ও জ্ঞান এবং অতঃপর তোমাদের নিকট কোন রসূল আসেন তোমাদের কিতাবকে সত্য বলে দেয়ার জন্য, তখন সে রসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তার সাহায্য করবে। তিনি বললেন, ‘তোমার কি অঙ্গীকার করছো এবং এই শর্তে আমার ওয়াদা গ্রহণ করে নিয়েছ? তারা বললো, ‘আমরা অঙ্গীকার করেছি’। তিনি বললেন, তাহলে এবার সাক্ষী থাক। আর আমিও তোমাদের সাথে সাক্ষী রইলাম।
৮।
না, তিনি সত্যসহ আগমন করেছেন এবং রসূলগণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
--------------------
আল্লাহর একত্ববাদ
১।
আর যখন আল্লাহ তা’আলার বান্দা তাঁকে ডাকার জন্যে দন্ডায়মান হল, তখন অনেক জিন তার কাছে ভিড় জমাল।
বলুনঃ আমি তো আমার পালনকর্তাকেই ডাকি এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করি না।
এ সত্ত্বেও যদি তারা বিমুখ হয়ে থাকে, তবে বলে দাও, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।
বলুন, আমি তোমাদের কাছে এর কোন বিনিময় চাই না, কিন্তু যে ইচ্ছা করে, সে তার পালনকর্তার পথ অবলম্বন করুক।
এরই সুসংবাদ দেন আল্লাহ তার সেসব বান্দাকে, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে। বলুন, আমি আমার দাওয়াতের জন্যে তোমাদের কাছে কেবল আত্নীয়তাজনিত সৌহার্দ চাই। যে কেউ উত্তম কাজ করে, আমি তার জন্যে তাতে পুণ্য বাড়িয়ে দেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাকারী, গুণগ্রাহী।
২।আল্লাহ তাঁর প্রিয় হাবিবের জন্য পুরস্কার ঘোষনা করেছেন ।
আপনার জন্যে অবশ্যই রয়েছে অশেষ পুরস্কার।
মহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে উত্তম নমুনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন ।
১।
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।
২। মহা নবীর চরিত্র সম্পর্কে আল্লাহ বলেন ।
আপনি অবশ্যই মহান চরিত্রের অধিকারী।
৩।
যখন মুমিনরা শক্রবাহিনীকে দেখল, তখন বলল, আল্লাহ ও তাঁর রসূল এরই ওয়াদা আমাদেরকে দিয়েছিলেন এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্নসমর্পণই বৃদ্ধি পেল।
৪।
অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হূষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।
মুমিনদের বক্তব্য কেবল এ কথাই যখন তাদের মধ্যে ফয়সালা করার জন্যে আল্লাহ ও তাঁর রসূলের দিকে তাদেরকে আহবান করা হয়, তখন তারা বলেঃ আমরা শুনলাম ও আদেশ মান্য করলাম। তারাই সফলকাম।
৫। সম্মানিত রাসুল
নিশ্চয়ই এই কোরআন একজন সম্মানিত রসূলের আনীত।
৬।আল্লাহ্ তার প্রিয় হাবীব কে ক্ষমা করা শিক্ষা দিচ্ছেন.
আর ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে সরে থাক।
৭। হুজুর কে দলিল হিসেবে বর্ননা করেছেন ।
হে মানবকুল! তোমাদের পরওয়ারদেগারের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট সনদ পৌঁছে গেছে। আর আমি তোমাদের প্রতি প্রকৃষ্ট আলো অবতীর্ণ করেছি।
৮। হুজুরের যুদ্ধে বীরত্ব প্রসংঙ্গে আল্লাহ বলেন ।
আর আপনি যখন পরিজনদের কাছ থেকে সকাল বেলা বেরিয়ে গিয়ে মুমিনগণকে যুদ্ধের অবস্থানে বিন্যস্ত করলেন, আর আল্লাহ সব বিষয়েই শোনেন এবং জানেন।
আল্লাহ কে যে পাইতে চায় হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম কে ভালবেসে
আর্শ-কুরসী , লাওহে -কলম না চাইতেই সে পেয়ে যায ।
আসুন প্রিয় নবীকে ভালবাসি হৃদয় দিয়ে , তিনি আমাদের এই উম্মতের জন্য এত মহান হয়েও কত কষ্ট করেছেন তাকে ভাল না বাসলে কাকে ভালবাসবেন ?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:১৭