যখনই কারো পরিচিতি বর্ণনা করা হয় কিংবা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তখন বর্ণনাকারীকে সর্বাগ্রে তাঁকে ভালোভাবে চিনে ও জেনে নিতে হয় । উম্মতের কান্ডারী হুজুরে কারিম মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের মর্যাদা এতই উন্ণত , মহান ও অসিম যে , কোন মানুষের যথাযথ উপলদ্ধির আওতায় তা আসতে পারে না । এ জন্য বিশ্বকুল সরদার , উভয় জাহানের মনিব মুহাম্মদ মুস্তফা আহমদ মোজতবা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের মর্যাদা যথাযথ ভাবে বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয় ।
এর উপমা হল যেন দুরবিক্ষন যন্ত্র ছাড়াই কোন তারকাকে প্রত্যেক্ষ করার চেস্টা করা ।তখন কিন্তূ তারকা সম্পকে সঠিক ধারনা অর্জন করা এবং এর আলোকে প্রকৃত অবস্থা জানা অসম্ভব হয়ে যায় । যদিও আমরা এমনিতে তারকা সম্পর্কে কোন একটা ধারনা অর্জন করতে সক্ষম হই , বস্তত: তারকার উজ্জলতা তার চেয়ে ও বহুগুন উর্ধে থাকে । অনুরূপ , হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের শান সম্পর্কে যথাযথ উপলদ্বি করা প্রকাশ্য চক্ষু তো দুরের কথা মহাজ্ঞানীদের
জ্ঞানচক্ষুর পক্ষেও সম্ভবপর হয় না । প্রকৃত পক্ষে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লাম সম্পর্কে যেই পবিত্র সত্ত্বা জানেন তিনি হলেন একমাত্র স্বয়ং রাব্বুল ইজ্জত আল্লাহ তায়ালা ।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম একদা হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) -কে ইরশাদ করেন :
" ইয়া আবি বকর ! লাম ইয়ারিফিই হাকিকাতান গাইরু রাব্বি "
হে আবু বকর ! আমার হাকিকত আমার প্রতিপালক ছাড়া কেউ চিন্তে পারে নি "।
একজন আশেকে রাসুল হযরত শেখ সাদী ( রাঃ) বলেছেন :
" লা ইমকানুস সানাউ কামা কানা হাক্কাহু !
বাদাজ খুদা বুজুর্গ তুই কিস্সাহ মুখতাছার "
অর্থাৎ ; " তাঁর যথাযথ প্রশংসা করা সম্ভবপরই নয় । ইয়া রাসুল্লাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লাম ! সংক্ষেপে এতুটুকু বলা যায় যে , আল্লাহর পর আপনারই মর্যাদার স্থান "।
এ জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের মর্যাদা যে ছাবে আল্লাহ পাক স্বিয় সমুজ্জল ও বিজ্ঞানময় কিতাব কুরআন মজীদে বিভিন্ন স্থানে বর্ননা করেছেন , সে শান কেউ সেভাবে বর্ণনা করতে পারবে না । যা কিছু আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন , তার বিসুদ্ধ তাফসীর বা ব্যখ্যা তিনি কিংবা তারাই জানেন যাঁদের তিনি প্রকৃত জ্ঞানালোক দান করেছেন ।
এ ক্ষুদ্র নিবন্ধে সে সব আয়াত থেকে কতিপয় আয়াত পেশ করা হচ্ছে , যে গুলো আল্লাহ টাবারাক ওয়া তায়ালা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের ষহানে নাযিল করেছেন ।
আশা করি এ স আয়াতের আলোকে আমাদের সাধ্যানুসারে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের মর্যাদা সামান্য হলেও একটা মোটামুতি ধারনা অর্জন করতে ইনশা আল্লাহ সক্ষম হবো ।নতুবা কোথায় আমার মত এ অধম আর কোথায় খোদ খোদার প্রশংসিত জনের প্রশংসা ও পরিচিতির ব্যাপকতা ! কুরআনে কারিম হচ্ছে একটা অকাট্য ও পুর্নাঙ্গ কিতাব এবং কিয়ামত পর্যন্ত এ মহান গ্রন্থের সুপ্রকাশ্য ফল ও কার্যকর জিন্দেগীর ফলশ্রূতি আজও তেমনি রয়েছে , যেমনি ছিল নবীর জমানায় ( পবিত্র জাহেরি হায়াতে )।
(২)
আল্লাহ জাল্লাহ শানুহু সরল সঠিক পথ প্রদর্শক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের আনুগত্য করার জন্য বারংবার সুস্পষ্ট ও সুবিস্তারিত ভাযায় এবং একান্ত তাগিদ শকারে নির্দেশ দিয়েছেন : যার ওপর বহু আয়াত কোরআন সাক্ষি রয়েছে । যেখানে আল্লাহ তায়ালা স্বিয় আনুগত্য তলব করেছেন সেখানেই তদসঙ্গে উম্মতের কান্ডারী হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের আনুগত্যের নির্দেশও দিয়েছেন ।
কতিপয় আয়াতে কবীমা লক্ষ করূন :
(ক)
অনুবাদ : এবং আল্লাহ ও রাসুলের অনুগত্ হও এ আশায় যে তোমাদের ওপর কৃপা (রহমত) বর্যন করা হবে ।
( সুরা আল-ইমরান : ১৩২)
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার আনুগত্যের সাথে সাথে দয়াবান আল্লাহর রহমত তলব এবং হাসিল করার জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের আনুগত্য করা অপরিহার্য আর আল্লাহ রহমত সঠিক অর্থে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের আনুগত্য ব্যাতিরেকে হাসিল হতেই পারে না ।
আনুগত্যের সঠিক মর্মার্থ এবং সঠিক উদ্দেশ্য তখনই হাসিল হয় ।যখন আপন জিন্দেগীর প্রতিটি দিকে তাঁর দেয়া বিধি-বিধান মোতাবেকই রুপান্তর করা যায় এবং এ আনুগত্যের মধ্যে শুধু জাহেরী ও শারীরিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের একাত্বতা প্রকাশ পাবে তা নয় ।বরং অন্তর তা থেকে আরো এক পা অগ্রে থাকবে ।
(খ)
অনুবাদ :এবং আল্লাহর নির্দেশ মান্য কর এবং রাসুলের নির্দেশ মান্য কর । অতপর: যদি তোমরা মুখ ফিরি্যে নাও , তবে জেনে রেখ , আমার রাসুলের ওপর শুধু সুস্পস্ট রূপে পৌছিয়ে দেয়াই ( জরুরী মাত্র ) ।
( সুরা: আত -তাগবুন : আয়াত :১২ )
অনুবাদ : এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য জরে সে বড়ই কৃত কার্য লাভ করেছে ।
(সুরাহ , আল-আহযাব , আয়াত ৭১ )।
উপরোক্ত দুটি আয়াতে করীময় আল্লাহ টায়ালা আপন আনুগত্যের সাঠে হুজুর আকবার সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাল্লামের আনুগত্যকে বড় কৃতকার্যতার প্রকাশ স্থল বলে ঘোষনা করেছেন এবং এতদসঙ্গেই উপরিল্লিখিত দুটি আয়াতের প্রথম আয়াতে এ কথা ও ইরশাদ করেছেন যে যদি তোমরা আমার মাহবুবের আনুগত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নাও , তবে তাতে তোমাদেরই ক্ষতি হবে ।
কারন আমার মাহবূবের কাজ তো আল্লাহরই পয়গাম পৌছিয়ে দেয়া ।
( গ )
অনুবাদ: এবং আল্লাহ ও টাঁর রাসুলের হুকুম মান্য করে , সে তাদেরই সঙ্গ লাভ করবে , যাদের ওপর আল্লাহ পাঁক মেহেরবানী করেছেন । অর্থাৎ নবীগন (আঃ) ছিদ্দিকগন, শীদগন ।এবং সৎ ব্যাক্তিবর্গ (সালেহীন); এরা কটই ভাল সঙ্গী !
(সুরা : আন-নেসা, আয়াত ৬৯)
অর্থাৎ আল্লাহর দয়াপ্রাপ্ট বান্দাদের জাময়াতে , যাঁদের মধ্যে রয়েছেন নবীগন , ছিদ্দিকীংন, এবং সাহেহীন বান্দাগন , তাঁদের মধ্যে শামীল হওয়ার জন্য এবং এ সব পুরস্কারপ্রপ্ত সাথীদের সান্নিধ্যের জন্য এ কথাই অপরিহার্য বলে সাব্যস্ত করা হলো যে । আল্লাহ্ তায়ালার আনুগত্যের সাথে তাঁর মাহবুবেরও আনুগত্য যেন করা হয় । এ আয়াত মোতাবেক মর্যাদা হাসিলের জন্য শুধু আল্লাহর আনুগত্য যথেষ্ট নয় ; বরং হুজুর সাল্লাল্লাহয় আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনুগত্যও অপরিহার্য ।
(ঘ)
অনুবাদ : হে হাবীব ! আপনি ঘোষনা করুন , আনুগত্য কর আল্লাহ এবং রাসুলের । অতপর যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে আল্লাহর পছন্দ হয়না কাফেরগন কে ।
(সুরা -আল-ইমরান । আয়াত ৩২)
এর উদ্দেশ্য এই হলো যে আনুগত্য শুধু আল্লাহর নয় ; বরং মাহবুবের আনুগত্য থেকে মুখ ফিরালে কিংবা অস্বিকার করলে মানুষ ঘৃণিত 'কুফুর' -এর স্তরে পৌছে যায় ।
(ঙ)
অনুবাদ: হে ঈমানদারগন ! হুকুম মান্য কর আল্লাহর এবং হুকুম মান্য কর ড়াসুলের এবং যাঁরা তোমাদের ওপর হুকুমত করেন । অতঃপর যদি তোমাদের মধ্যে কোন কথার ঝগড়া-বিতর্ক উঠে , তবে ওটাকে আল্লাহ ও রসুলের দরবারে উপস্থাপন করো ; যদি আল্লাহ ও কিয়মতের ওপর ঈমান রাখ । এটাই উত্তম এবং এর পরিনতি সর্বাপেক্ষা ভাল ।
(সুরা -নিসা , আয়াত ৫৯)
এ আয়াতে করিমায় আল্লাহর আনুগত্য সাথে সাথে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া ষাল্লামের আনুগত্য ফরজ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে। যদি এ কথা সন্ডেহ এসে যায় যে , হুকুমতকারীর নির্দেশ (ফয়সালা) সঠিক কি নয় , তবে তা যাচাই করার জন্য আল্লাহ ও রাসুলের প্রতি উপস্থাপন করার এবং তাঁর বিধি-বিধান দ্বারা হেদায়াত হাসিল করার হুকুম দিয়েছেন এবং সর্বোপরি এতোই মঙ্গল বলা হয়েছে । অর্থাৎ হুকুমতকারীর হুকুম মান্য করার জন্য সে গুলোকে আল্লাহ ও রাসুলের বিধি-বিধান ( নির্দেশাবলী) সাথে সামন্ঝস্যপুর্ণ হওয়া বান্চ্ঞীয় ।
(চ)
অনুবাদঃ আমি কোন রাসুল প্রেরণ করিনি , কিন্তূ এ জন্য যে , আল্লাহর অনুমতিক্রমে তাঁর (রাসুল) আনুগত্য করা যাবে ।
অর্থাৎ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নির্দেশাবলীর আনুগত্য করাই আল্লাহর অনুগত্য । কাজেই হুজুর সাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রতিটি বানীর আনুগত্য করা অপরিহার্য ।
(ছ)
অনুবাদঃ যে ব্যাক্তি রাসুলের হুকুমের মান্য করেছে , নিশ্চয়ই সে আল্লাহরই আনুগত্য করেছে ।
(সুরা আন-নিসা , আয়াত ৮০)
অর্থাৎ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করা াবিকল আল্লাহর আনুগত্যের শামীল ।
পবিত্র কোরআনের উপরোল্লিখিত আয়াত দ্বারা এ কথা সুস্পষ্ট হলো যে । দয়াবান খোদার আনুগত্যের সাথে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনুগত্য করারও প্রত্যেক মুমিনের জন্য জরূরী ।
আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের যে কোন ইরশাদের (বানীর) আনুগত্য করা স্বয়ং আল্লাহর আনুগত্যের নামান্টর ।
আর এ আনুগত্যের অনুশীলন করার মাধ্যমেই কোন মুমিন উভয় জাহানের সাফল্য এবং যথাযথ কামিয়াবী হাসিল করতে পারে এবং তার (আল্লাহর) সান্ণিধ্য অর্জন করতে পারে । হুজুর করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনুগত্য থেকে মুখ ফিরি্যে নেয়া ঘৃন্য 'কুফুর' -এর স্তর পর্যন্ট পৌছিয়ে দেয় ।
এখানে একথা হৃদয়াঙ্গম করা জরূরী যে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের আনুগত্য প্রতিটি যুগেই অপরিহার্য (ফরজ)।কেননা , আয়াতে করীমা কিয়ামত পর্যন্তের জন্য প্রযোজ্য ।কাজেই হুজুরসাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের নির্দেশাবলী এখনো তেমন ভাবে পালন করা অপরিহার্য , যেমনীভাবে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের জিবদ্দশার মধ্যে ছিল । এ কারনে হাদিস শরীফসমুহকে শরীয়তের দলীল হিসাবে গ্রহন করা অপরিহার্য ।
(৩)
হুজুর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম প্রেরিত হওয়ার কথা আল্লাহ তায়ালা সে আয়াতেই ঘোষনা করেছেন যা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) -এর দোয়া(প্রার্থনা) রূপে ইরশাদ হয়েছে ,
অনুবাদ : হে আমাদের প্রতিপালক ! এবং প্রেরণ করূন এদের মধ্যে একজন (মহান) রাসূল তাদেরই মধ্যে থেকে , যিনি তাদের ওপর আয়াত সমুহ তেলাওয়াত করবেন এবং পরিপক্ষ জ্ঞাননের শিক্ষা দেবেন এবং তাদেরকে ভালোভাবে পবিত্র করবেন । নিশ্চয় আপনিই পরাক্ড়মশালী , প্রজ্ঞাময়।
(সুরা আল-বাকারাহ,আয়াত ১২৯)
অনুবাদ : তিনিই (আল্লাহ) হন , যিনি লেখা-পড়াকরেনী এমন সব লোকের মধ্যে তাদেরই মধ্যে থেকে েকজন (মহান) রাসুল প্রেরণ করেছেন , যিনি তাদের ওপর তার (আল্লাহর) আয়াতসমুহ পড়ে শুনান এবং তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে সজিক্সাদেন কিতাব ও হিকমাহ ।
(সুরা: আল-জুমা , আয়াত ২)
আনুবাদ : যেমন আমি তোমাদের মধ্যে তোমাদের মধ্য থেকে প্ররণ করেছি এক রাসুল , যিনি তোমাদের ওপর আমার আয়াতসমুহ তেলাওয়াত করেন এবং তোমাদেরকে পবিত্র করেন , খিতাব ও পরিপুর্ণ জ্ঞান শিক্ষা দেন এবং তোমাদেরকে সেই বিষয়ে শিক্সা দেন , যার জ্ঞান তোমাদের ছিল না ।
(সুরা: আল-বাকারাহ আয়াত ১৫১)
অর্থাৎ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রেরণের উদ্ডেশ্য ছিল যে তিনি আল্লাহতায়ালার আয়াতসমুহ তেলাওয়াত (আবৃত্তি) করবেন , মানুষকে শিক্ষা দেবেন , সাথে সাথে তাদের হিকমাহ (বিজ্ঞান) শিক্ষা ডেবেন আর তাদের অন্টরসমুহক কলুষমুক্ত ও পবিত্র করবেন ।
এ থেকে সুষ্পষ্ট হলো যে ,কোরআন মজীদের শিক্সা প্রদান ব্যতিত মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের জিম্মাদারীতে এ কাজটাও ছিল যে তিনি মানউষকে হেকমত (বিজ্ঞান) শিক্ষা দিবেন এবং তাদের কে পবিত্র করবেন । এ কারনেই এটা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে যে , আমরা পরবর্তীগনও শুধু যে তাঁর আনুগত্য করবো তা ন্য বরং ড়াণনর পবিত্র বানী সমুহে যে হেকমত (বিজ্ঞান) নিহিত আচে তাও শিখে নেবো এবং আপন আপন আত্বসমুহেও হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের প্রদর্শিত পন্থা অনুসরণের নাধ্যমে পবিত্র করে নেবো । প্রকাশ আছে যে , একমাত্র এর মাধ্যমেই আমরা সক্ষম হবো । এর কোন সুফল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের হাদিস শরীফে সম্পর্কে গভীর জ্ঞান ও দক্সতা অর্জন করা ব্যতিরেকে হাসিল হতে পারে না ।
অনুবাদ : নিশ্চয়ই আল্লাহর মহান অনুগ্রহ হয়েছে মুসলমানদের ওপর যে তাদের মধ্যে তাদেরই মধ্য হতে (মহান) রাসূল প্ররণ করেছেন , যিনি তাদের ওপর তাণনরই (আল্লাহর) আয়াত সমুহ আবৃত্তি করেন , তাদেরকে পবিত্র করেন এবং তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিখান ।
(সুরা: আল-ইমরান ১৬৪)
এ আয়াতে সে সব ভ্রান্তদের জবাব র্যেছে , যারা বিশ্ব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে পিয়নের মত শুধু বর্তা বাহক বলে বেড়ায় ।
( নাউযুবিল্লাহ)
আয়াতের " মিনাল্লাহ তে মিন (মান্না শব্দটা কোন মহান "নিয়ামত বা অনুগ্রহের খোঁটা দেয়া অর্থে ব্যভৃত হয় । অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালা হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে প্ররণের উদ্ডেশ্য কি , তা বর্নানা করেছেন এবং সাথে সাথ কত জোরালো ভাষায় এ অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করেছেন !
অর্থাৎ আল্লাহর এতো বড় বদান্যতা যে তিনি হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে মুমিনদের হেদায়তের জন্য প্রেরন কড়েছেন এবং আমাদের মত গুনাহগারদের ওপর বিরাট ইহসান করেছেন । বস্ত্তত : যে কথার আল্লাহ তায়ালা ইহসানের খোঁটা দিয়েছেন তা কতই বড় কথা ! তা হচ্ছে আমাদের হেদায়তের জন্য হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের শুভ আবির্ভাব ।
(৪)
অনুবাদ : হে মাহবূব ! আপনি বলে দিন , হে মানবকুল ! যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস , তবে তোমরা আমারই অনুগত হয়ে যাও । ( আমারই ানুসরণ কর)
আল্লাহ তোমাদেরকেও ভালবাসবেন এবং তোমাদের গুনাহ ক্ষমা করবেন এবং আল্লাহ তায়ালা ক্সমাবান, দয়ালু ।
(সুরা : আল - ইমরান , আয়াত ৩১ )
অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার বন্ধুত্ব হাসিল করার জন্য আমাদের ওপর একান্ত অপরিহার্য তাঁর মাহবূবের পুর্ন অনুসরণ ও পায়রবী করা । যে কাজ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম করেছেন , যেভাবে করেছেন , সেটা সে ভাবেই আদায় করা । ( পক্ষান্তরে ) আমরা যদি এমন কোন ণিয়মে করি যে নিয়মে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম করেন নি তবে আল্লাহ ভালবাসা অর্জন করা আমাদের জন্য সম্ভব নয় ।
( বাকি অংশ ইনশা-আল্লাহ পরবর্তিতে )
javascript:void(1);
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১০