আবু খুহার নামক এক বেদীন মদিনায় নিকট বর্তি সুহাফ নামক
স্থানে বাস করতেন । লোকটি তার বিবির নিকট একটা বড় মাছ
এনে তারাতারি রান্নার তাগদা দিলেন । বিবি মাছ কুটতে বসলে
লোকটি গোসলের উদ্দেশ্য নদীতে রওয়ানা হলেন ,বিবি ডাক দিয়ে
বললেন শুনছ গো আচানক খবর মোহাম্মদ নাকি সাত আসমান
পাড়ি দিয়ে আল্লাহর সাথে দেখা কইরা আইল ।
বেঈমান লোকটি কটাক্ষ করে বললেন মোহাম্মদের কথা আর
বলনা এসব মিথ্যা ধুকাবাজি ।
মনে মনে স্ত্রী লোকটি নবীজীর প্রতি বিশ্বাসী ছিল /স্বামীর এহেন
কথায় বড় মর্মাহত হলেন কিন্তু বদ স্বভাবের জন্য কোণ উচ্ছবাক্য
করলেন না । গোসলের জন্য নদীতে ডুব দিতে যাবে লোকটি /
আল্লাহর ক্ষুত্রতে ডুব দিয়ে ভাসলে তৎক্ষণাৎ সে সুন্দরি রমণীতে
পরিণত হয়ে গেল ।
মিসরের সওদাগর আজিম বখত এদিক দিয়ে যাচ্ছিলেন , রমনিকে
দেখে জাহাজে তুলে নিয়ে গেলেন এবং সাদি করে বাড়ি নিয়ে গেলেন ।
ক্রমে সাত সন্তান হল তাদের ঔরসে । বহুদিন পর নদীতে গোসল করার জন্য সদাগরের স্ত্রী গভীরে ডুব দেয় , ডুব থেকে ভাসলে আল্লাহর ক্ষুত্রতে আবার সে পুরুষে রূপান্তরিত হয়ে যায় ।
ঘাটে এসে দেখে তার সাবান তুয়ালে সব টিক জায়গায় আছে ।
বাড়ি এসে আরও অবাক হয় দেখে তার বউ এখনও মাছ কুটাতে
ব্যস্ত ।
লোকটি ধমক লাগাল গিন্নি মাছ কাটতে কি বার বছর সময় লাগে ,
কেন , তুমি তো মাত্র ডুব দেয়ার জন্য গেলা এর মধ্য বার বছর
হল কই ।
লোকটি তার বউয়ের নিকট সবিস্তার বর্ণনা করল । ইমানদার পরহেজগার মহিলা জবাব দিল / অহে ভণ্ড নবীজীর মেরাজের ঘটনা তোমার নিকট মিথ্যা হয়েছিল / সহজে বিশ্বাস করনাই
কিন্তু এখন কেমন হল ।
লোকটি সাথে সাথে নবীজীর নিকট গিয়ে কলমা পড়ে মুসলমান
হয়ে গেল । এবং উক্ত মাজেজা প্রকাশ হলে ঐ গোত্রের ৩/৪ শত
বেদীন ইসলাম গ্রহন করেছিল ।
এজন্য সদা সর্বদা আল্লাহ এবং তার রাছুলের উপর আমাদের
ঈমানকে মজবুত রাখা দুনিয়া ও আখিরাতের মুক্তি ।
আল হাদিস থেকে সংকলিত ।
চলবে