যে দেশের নতুন প্রজন্ম বেড়ে ওঠে ‘মা ছেলের রসালো চটি’ পড়ে, যে দেশের ইন্টারনেটে ‘মা’ লিখে সার্স দিলে পাওয়া যায় মা’কে নিয়ে যৌনতার লোভনীয় গল্প, সে দেশে নারী নির্যাতন, ধর্ষন কি খুবই স্বাভাবিক নয়?
পৃথিবীর আর কোন দেশে মা’কে নিয়ে এমন অসভ্যতা করা হয়? কোন দেশে মা’কে নিয়ে লেখা গল্প পড়ে যৌবন প্রাপ্ত হয় সন্তানেরা?
এদেশে You tube বন্ধ হয়, ফেসবুক বন্ধ হয়; সেটা হয় শুধুই কোন এক গোষ্টির সার্থে। কিন্তু জাতির স্বার্থে এই নিকৃষ্ট সাইট গুলো বন্ধ হয় না কেন? কি অদ্ভুত আমরা তাই না? নিজেদের ধ্বংস নিজেরাই করছি চোখের সামনে!
আমাদের অভিভাবকরাও নিশ্চয়ই মাঝ রাতে মা ছেলের এমন রসালো গল্প পড়ে! তারাও নিশ্চয়ই ফিলিংস নেয় এখান থেকে! নতুবা কেন এ সাইট গুলো বন্ধ হচ্ছে না? কেন বছরের পর বছর ধরে জমজমাট ভাবেই চলছে এমন কুৎসিত গল্প?
জানি, আমার এ লেখা দেশের কোন অভিভাবকের চোখে পড়বে না! এও জানি কেউ কেউ বলবে, ছেলেটা বৃথাই চিল্লাচ্ছে, চলুক না গল্পগুলো! সাইট গুলোও দিব্যি চলতেও থাকবে, আর এগুলো পড়েই আমাদের প্রজন্ম বড় হবে!
এসব দেখলে কান্না পায়! ঘৃণা হয় নিজেদের প্রতি! রাগে লজ্জ্বায় হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসে। দশ মাস গর্ভে থেকে, তার জঠরেই যৌন সুড়সুড়ি খুঁজছি! আমরা কি মানুষ?
হে জাতির অভিভাবক, একবার ভেবে দেখবেন ‘মা’ কে আপনারা কোথায় নামিয়েছেন? ‘মা দিবসে’ আপনাদের কাছে শুধু একটাই চাওয়া, মায়ের জন্য এইটুকু করুন না! সাইট গুলো বন্ধ করে দিন!
মা’কে একটু সম্মান নিয়ে বাঁচতে দিন!