মিথিলা’র ওপর আমার কোনো ক্রাশ নেই। তাহসানের গান কিংবা অভিনয় নিয়েও আমার কোনো অবসেশন নেই। তবে ক্রাশ ছিলো, এই জুটিটির প্রতি। অদ্ভুত এক ভালোলাগা কাজ করতো এই জুটিটার দিকে তাকালে। আসুন, আজ একটু পিছনে ফিরে তাকাই-
কলেজ লাইফে দু’জনার পরিচয়, ভার্সিটি লাইফে গোপনে বিয়ে। আর হ্যাঁ, তাদের প্রেমটা ৫ বছরের ছিলো। তারপর তাহসান যখন প্রতিষ্ঠিত সংগীতশিল্পী তখন বিয়েটা পরিবারের কাছে প্রকাশ পায়। বর্তমানে তাদের ৪ বছরের একটা সন্তানও আছে। দু’জনেই মিডিয়া এবং বাস্তবে বর্তমানের সব থেকে সেরা একটি জুটি।
২০০৯ থেকে তাহসান অভিনয় জগতে পরিচিত এক মুখ, ২০১২ থেকে ফেমাস। নিজের ইচ্ছাতেই ২০১৪ সালে সহধর্মিণী মিথিলাকে মিডিয়ায় জড়ান। সেই থেকে আজ মিথিলাও অনেক পরিচিত। আর এখন ২০১৭ সাল, তাহসানকে ছাড়াই মিথিলা বহু নাটকে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার মানে কি দাঁড়ালো, বউকে মিডিয়া শেখাতে গিয়ে, চোখ বড়ো করতে দিতে গিয়ে নিজের পাছায় লাথি খেলেন তাহসান। এখন তাহসান ছাড়াই মিথিলা বেশ চলতে পারেন।
আর আজকে (২০ জুলাই, ২০১৭) ব্রেকিং নিউজ হলো, শীঘ্রই ডিভোর্স হচ্ছে তাহসান-মিথিলা’র। তাহসান তার ফেসবুকে ফ্যান পেজে পোস্ট দিয়েছেন এভাবে-
"It is with heavy hearts that we would like to jointly announce that we are getting divorced.After several months of trying to reconcile our differences, we have decided that we would rather go separate ways than being in a relationship out of social pressure.We realize that this probably comes as a shock to a lot of you and we wholeheartedly apologize about that.
We have always conducted our relationship with dignity and grace, and we hope that as we consciously uncouple and co-parent, we will be able to continue in the same manner.We hope you will all treat us both with kindness during this difficult phase of our lives.
-Tahsan Khan and Rafiath Rashid Mithila"
মিথিলা অবশ্য কোনো বিবৃতি দেননি কিংবা তাহসানের করা ট্যাগ একসেপ্টও করেননি। বিবেকটা আপনার? মতামতটিও আপনি-ই দেবেন।
জুটিটাকে অনেক অনেক বেশী পছন্দ করতাম, এজন্যে খারাপ লাগছে খুব। যাদের ভালোবাসার গল্প নিয়ে ছোটোখাটো একটা নাটক হয়ে যায়। কখনও কি ভেবেছিলাম, তাদের আলাদা হয়ে যাওয়া নিয়েও একটা ছোটোখাটো নাটক হয়ে যাবে?
নিউজটি জানার পর ভাবছি, আমার দাদা-দাদী,নানা-নানি, বাবা-মা এদের জীবনেও তো উত্থান-পতন ছিলো/আছে/থাকবে। কিন্তু তারা তো ছেড়ে যাবার অপশন চিন্তাও করেন না। বর্তমানে আমরা কথায় কথায় এই অপশনটার এতো জোর দিই কেনো?
এখন আমার দৃষ্টি তাদের নিষ্পাপ সন্তানটির দিকে। আগামী প্রজন্মকে আমরা কি শিক্ষা দিচ্ছি, আমরা উচ্চশিক্ষিত হয়ে কি শিক্ষার বীজ বপণ করে চলেছি? প্রশ্ন আসতেই পারে অনেকের মনে "শিক্ষিত নয়, আগে মানুষ হও"।
নাকি স্ত্রীর জয়, স্ত্রীর সাফল্য মেনে নেয়ার মতো স্বামী বাংলাদেশে খুব কমই আছে। এই বিচ্ছেদ কি তারই প্রমাণ! পরিশেষে আমার সব কিছুতেই সয়, ভালোবাসাতেই কেবল ভয়। ভালবাসলেই কি তবে বৃষ্টি হয়...
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:১২