somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাগরিক সাংবাদিকতা

১৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের দেশে অনলাইন পত্রিকার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে নাগরিক সাংবাদিকতা। ফলে প্রযুক্তগত জ্ঞানের অধিকারী শিক্ষিত সচেতন নাগরিকরা ‌’নাগরিক সাংবাদিকতা’ বা সিটিজেন জার্নালিজম’র দিকে ঝুঁকছে। বাংলাদেশে অনলাইন পত্রিকা হিসাবে নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার ১৮টি আবেদন করেছেন অনলাইন পত্রিকার জন্য। তবে অনলাইন পত্রিকার সঠিক সংখ্যা বলা কঠিন।

বর্তমানে দেশে বেসরকারি অনুমোদিত টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫টি আর মোট নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে দৈনিক পত্রিকা রয়েছে ১ হাজার ১৯১টি, অর্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকা ৩টি, সাপ্তাহিক পত্রিকা ১ হাজার ১৭৫টি। পাক্ষিক পত্রিকা প্রকাশিত হয় ২১২টি, মাসিক ৪০৪টি, দ্বিমাসিক ৭টি, ত্রৈমাসিক ২৮টি, চতুর্মাসিক ১টি, ষাণ্মাসিক ২টি এবং বার্ষিক পত্রিকা ২টি। (সূত্র: জাতীয় সংসদ অধিবেশন, ২০১৮, জানুয়ারি)।

এসব মিডিয়ার মাধ্যমে দেশের সব সমস্যা তুলে ধরা যেমন সম্ভব হয় না তেমনি মিডিয়ার আন্তরিকতার অভাবও রয়েছে। অন্যদিক সাংবাদিকতা করার শখ থাকলেও সে সুযোগ থেকে অনেকেই বঞ্চিত নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে। এসব মানুষদের জন্য নাগরিক সাংবাদিকতা করা সুযোগ রয়েছে দেশে। সুযোগটি সর্বপ্রথম সৃষ্টি করেন blog.bdnews24.com ২০১১ সালের দিকে। ‘সচেতন নাগরিক, সচেতন নাগরিক সাংবাদিক’ শ্লোগানকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে নাগরিক সাংবাদিকতা করার সুযোগ পেয়ে নিজেক নাগরিক সাংবাদিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনেকে।

কারণ, সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের অনেক সাংবাদিক মালিকপক্ষের কারণে সব সংবাদ প্রকাশ বা প্রচার করতে পারে না। কিন্তু নাগরিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে সে সুযোগ রয়েছে। সে জন্য অনেক প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিকও নাগরিক সাংবাদিকতাকে নেশা হিসেব গ্রহণ করছে যা নাগরিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক মাইল ফলক। ‘প্রত্যেক নাগরিকই সাংবাদিক’ এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করেই নাগরিক সাংবাদিকতা গড়ে উঠেছে। blog.bdnews24.com এ ক্ষেত্রে সফল। প্রতিদিনই ভিজিটর ও নাগরিক সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

স্বতস্ফূর্ত ও স্বপ্রণোদিত হয়ে গণমানুষের বা আম-জনগণের খবর ও তথ্য সংগ্রহ, পরিবেশন, বিশ্লেষণ এবং প্রচারে অংশগ্রহণ করার নামই সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা। বর্তমানে বাংলাদেশে সিটিজেন জার্নালিজম ভিত্তিক উন্নয়ন সফলতার একটি সম্ভাবনা জেগে উঠেছে। এ্টি বিস্তার লাভ করার সাথে সাথে অধিকতর গুরুত্বের সাথে এর গতিপথ ইতিবাচক রাখতে হলে প্রস্তুতির পাশাপাশি পরিকল্পনা গ্রহণ করা প্রয়োজন। যাতে এর ব্যাপক প্রসার ঘটানো সম্ভব হয়। কারণ, দেশে বাড়ছে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা। বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক সংখ্যা ১৪ কোটি এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটিতে পৌঁছেছে। (সূত্র: ১৪ নভেম্বর ২০১৭ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। তাই শিক্ষিত মানুষরা সিটিজেন জার্নালিস্টের প্রতি আকৃষ্ট হলে প্রত্যন্ত এলাকার সমস্যার কথা সহজেই তুলে ধরার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সহজ হবে।

blog.bdnews24.com এর সঞ্চালক আইরিন সুলতানা ‘সিটিজেন জার্নালিজম নিয়ে অল্পস্বল্প গল্প‘ নামক এক লেখায় নাগরিক সাংবাদিকতার কিছু নাম রয়েছে তা দেখিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সিটিজেন জার্নালিজম -ই বেশি প্রচলিত, তবে বিভিন্ন সময়ে এর ভিন্ন নামকরণও ঘটেছে। যেমন –
স্ট্রিট জার্নালিজম, পাবলিক জার্নালিজম, ডেমোক্রেটিক জার্নালিজম, পারটিসিপেটরি জার্নালিজম।

যদিও অনেক প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক নাগরিক সাংবাদিকতা ধারণাকে মানতে নারাজ। এ ক্ষেত্রে ডেভিড সাইমন একজন। তিনি বলেছেন, ‘সখের বশে লেখালেখি করা আনপেইড ব্লগারদের পক্ষে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, পেশাদার, ঝানু সাংবাদিকদের জায়গা দখল করা সম্ভব নয়।’ কথাটির সঙ্গে অনেক খ্যাতিমান সাংবাদিক একমত পৌষণ করলেও কথাটির ধারণা পাল্টে দিয়েছে এ দেশের সিটিজেন জার্নালিস্টরা। ফলে নাগরিক সাংবাদিকতার বিপ্লব ঘটেছে। অনেক নাগরিক সাংবাদিকের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জনপ্রিয় সংবাদপত্র ও টেলিভিশন অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন তৈরি করছে যা নাগরিক সাংবাদিকতাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে বলে মনে করি।

পরিশেষে বলতে চাই, প্রত্যেক নাগরিকই সাংবাদিক। তাই বর্তমান যুগ হচ্ছে সিটিজেন জার্নালিজম এর যুগ। এ যুগে সবাই নিজস্ব রচিত সংবাদ মুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারছে সহজে। সমস্যা, সম্ভাবনা ও উন্নয়নসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের খবর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব দিচ্ছে। জয়তু সিটিজেন জার্নালিজম বা নাগরিক সাংবাদিকতা।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×