এ সমাজ তনুদের নয়
***
সোহাগী তনু এসেছিলো নৃত্যে, আঁকাশ কাঁপিয়ে ঝলমলিয়ে বেঁজে উঠেছিলো নূপুর।
আমি বীণ হাতে দাঁড়িয়ে দেখলাম কাঁশফুলের মতন অপলক শুভ্রতা চোখে।
আজ পোষ্টমর্টেমে তনু শুয়ে আছে লাশ কাটা ঘরে, নিথর দেহে
সমস্ত শরীরজুড়ে ক্ষত-পাশবিকতার।
কারা যেন খুবলে নিয়েছে চোখ, তুমুল ধ্বস্তাধ্বস্তির পর
আজ পলেস্তরা খসে পড়া বিবর্ণ রাজপ্রাসাদ তনু।
চোখভর্তি নোনাজলে ডুবে আছে হিরন্ময় দৃষ্টি। নানাবিধ পরিক্ষার পর
কবরেও শুয়ে থাকতে পারেনা নিশ্চিন্তে;চুরির ভয়ে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থাকে ঠায়।
লম্পট পুরুষালী সমাজে তনুরা হাঁটতে পারেনা, নাঁচতে পারেনা
শকুনির থাবা থাকে সামনে-পেছনে।
রূপসী বাংলায় এসো না তিলোত্তমা, বরং জন্ম নিও পরের জন্মে;প্রজাপতি হয়ে।
এ সমাজ, এ দেশ তোমাদের নয়
এ সভ্যতা-এ বিশ্বসংসার তোমাদের নয়। তোমরা মানুষ নও। প্রেম-ভালোবাসা তোমাদের নয়,
তোমরা শুধু নষ্ট পুরুষ কীটের;ভোগের।
জোরপূর্বক ধর্ষণে-ধর্ষণে দেবলীনা-দেবযানীরা আবারো জন্ম নেয়
বারংবার ধর্ষণের পর পোষ্টমর্টেমে, অত:পর পুলিশী পাহারায় কবরে শোয়ার জন্য।
ঈশ্বরও তোমাদের নয়, আজ মধুকরী-তনুরা ভাবে
ঈশ্বরও একজন পুরুষ কি-না!
শাষকশ্রেণী পুরুষ হয়, শোষক শ্রেনী পুরুষ হয়
পুরুষ হয় ধর্ষকরাও। পুরুষ হয়ে ওঠে।
যুগে-যুগে ধর্ষকরাই ঈশ্বর হয় বিশ্বচরাচারে।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০১