রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ও তনু ধর্ষণ-হত্যা; কয়েকটি কথা....
***
ইদানিং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামের স্বীকৃতির দাবী নিয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে একশ্রেণীর মোল্লাগোছের মানুষ। এ নিয়ে দু একটি কথা না বললেই নয়...
এক. আমি সবার আগে একজন মানুষ। মানবিকতা আমার কাছে সবার আগে। এরপর রাষ্ট্রের নাগরিক, পরিচয়ে বাঙ্গালী। এরপর যে যার মতো একান্ত ব্যাক্তিগত বিশ্বাস থেকে যে ধর্মের অনুসারী/অনুগামী হোক, কোন আপত্তি নাই।
কথা হলো, কেন ইসলামকেই রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দিতে হবে? রাষ্ট্রধর্মের স্বীকৃতি দিলেই কি ইসলাম পরিশুদ্ধ হয়ে যাবে? না দিলে কি কোন অবস্থাতেই আর এর কোন গ্রহণযোগ্যতা থাকবে না?
১৯৭১ সালে কিংবা ১৯৪৭ দেশ ভাগ এই অযৌক্তিক কারনেই হয়েছে তার মাসূল আজো আমরা দিয়ে যাচ্ছি। এর পরেও কেন বোধগোম্য হয়না!
১৯৭১-এ পাকি বাহিনী যে নারকীয়তা চালিয়েছে তা কোন ইসলামে আছে? এ ধরনের ঘটনা কি ইসলাম সমর্থন করে?
আপনারাই বিবেচনা করুন।
ইসলাম বাস্তবায়ন কিংবা কায়েমের নামে ৭১ পরবর্তী যা কিছু ঘটছে দেশে তা কি ভালো কোন পরিবর্তনের সূচনা আনতে পেরেছে?
আমি শুধু একটা কথাই যোগ করতে চাই...
রাষ্ট্র রাষ্ট্রের মতো চলবে, ধর্ম, ধর্মের মতো। এখানে চাপিয়ে দেয়ার কিছু নেই। আর সংখ্যাগরিষ্টতা মানেই যা ইচ্ছে করা নয়। সংখ্যায় এদেশে মুসলীম বেশি সেজন্যই কেন শুধুমাত্র ইসলামকেই স্বীকৃতি দিতে হবে? অন্য ধর্ম কি ধর্ম নয়? যদি পরিক্ষায় ৩৩% নম্বর পেলে পাশ হয়, আর ৮০% নম্বর পেলে স্টার মার্ক হয়, সেখানে বাংলাদেশে মুসলমানের সংখ্যা যদি ৯০% ও হয় আমি বুঝিনা আর কী বাস্তবায়ন করার বা স্বীকৃতির দরকার হয়? যে যার মতো মেনে চলুক নিজ-নিজ ধর্ম। রাস্ট্র তো বাঁধা দিচ্ছে না!
***
নাট্যকর্মী তনুকে যারা ধর্ষণের পর হত্যা করলো তারা কারা? কোন ইসলামের অনুসারী তারা? তাদের এ কাজ কি ইসলাম মানে কি-না? জবাব চাই...
তনু হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগরায় দাঁড় করাতেই হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ২:৫০