Sura 18:83 - 86 [They will ask thee of Dhu'l-Qarneyn [Zul-Qarnain]. Say: I shall recite unto you a remembrance of him. Lo! We made him strong in the land and gave him unto every thing a road. And he followed a road Till, when he reached the setting-place of the sun, he found it setting in a muddy spring, and found a people thereabout. We said: “O Dhu'l Qarneyn! Either punish or show them kindness.”]
তারা ১৮:৮৬ নং আয়াতের অনুবাদটি দায়সাড়াভাবে পেশ করেই ক্ষান্ত হয়না। বরং (মুসলীম শরীফ -১ম-খন্ড)-ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ-২৩০ পৃষ্ঠায় কিয়ামতের পূর্বক্ষণে পশ্চিমাকাশে সূর্য উদয়ের বিষয়ে যে হাদিছটি বর্ননা করা হয়েছে তার সাথে ১৮:৮৬ নং আয়াতটি জুড়ে দিয়ে তারা আবার এ ধরনের কটাক্ষপূর্ণ উক্তিও করে থাকে:- “র্সূয যদি কাদায় অস্ত যেতে পারে, তবে পশ্চিমদিক থেকে ওঠা আর এমন কী?”
প্রকৃতঅর্থে অনুবাদ হওয়া উচিত নিম্নরূপ-
Surah Number 18: Al-Kahf (The Cave)
(18:83) And they ask you about Zulqarnain, say, you;
I recite to you an account of him'.
(18:84) Undoubtedly, We gave him a control in the earth
and bestowed him a means of everything.
(18:85) Then he followed a way.
(18:86) Until, when he reached the place of sun setting,
he found it setting in a low land (deep valley ) full of murky
water (sea): Near it he found a People: We said: "O Zul- qarnain! (thou hast authority,) either to punish them, or to treat them with kindness."
..................
حَمِئَةٍ (Hamiat)- Black mud (অর্থ)- কালচে কর্দম, Murky water (অর্থ)- তমিস্রনিবিঢ় জলধি বা ঘন কাল জলরাশি।
عَيْنٍ (A’ini)- cavity (অর্থ)- গর্ত, গহ্বর বা নিম্নভূমি।
..................
(গর্ত, গহ্বর বা নিম্নভূমিতে এত বিপুল পরিমাণ পানি ছিল যে তা ঘন কাল রূপ ধারণ করেছিল। আর পানির এ রূপ সাধারণত সেইসব বড় বড় নদী বা গভীর সমূদ্রে দেখতে পাওয়া যায়, যার তীরে দাঁড়ালে এপার থেকে ওপার দৃষ্টিসীমার মধ্যে আসেনা। ফলে সূর্য অস্তগমনের সময় মনে হয় যেন তা ঘন কাল পানির ভিতরে ঢুকে বা ডুবে যাচ্ছে। সুতরাং আরবী শব্দ ‘হামিয়াত’ এর দুটি অর্থ ১/ Black mud - কালচে কর্দম ও ২/ Murky water – তমিস্রনিবিঢ় জলধি বা ঘন কাল জলরাশি। এ দুটোর মধ্য থেকে ২নং অর্থটিকে বেছে নেয়াই যুক্তিসংগত।)
বাংলা অনুবাদ- সূরা নং-১৮, আল-কাহাফ (৮৩-৮৬)
(১৮:৮৩) অর্থ:- এরা তোমার কাছে যুলকারনাইন সম্পর্কে জানতে চায়, তুমি বল,‘ আমি এখন তোমাদের কাছে তার সম্পর্কে পড়ে শোনাচ্ছি।’
(১৮:৮৪) অর্থ:- নিঃসন্দেহে, আমি তাকে (যুলকারনাইনকে) পৃথিবীতে শাসন ক্ষমতা ও (তা বাস্তবায়নের) সকল উপায় উপকরণও দান করেছিলাম।
(১৮:৮৫) অর্থ:- একদা সে একটি পথে চলতে লাগল।
(১৮:৮৬) অর্থ:- এভাবে সে সূর্য অস্তগমনের স্থানে না পৌছানো পর্যন্ত চলতে লাগল, সে সূর্যটাকে (নিম্নভূমি অর্থাৎ দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা, যার মাঝখান দিয়ে অনেক সময় নদী প্রবাহিত হয় অথবা সাগরের) তমিস্রনিবিঢ় জলধি বা ঘন কাল জলরাশির মধ্যে অস্ত যেতে দেখলো। তার পাশে সে একটি জাতিকে দেখলো, আমারা (আল্লাহ্-সম্মান সূচক) বললাম, ‘হে যুলকারনাইন! চাইলে তুমি এদের শাস্তি দিতে পার অথবা এদের সাথে সদয় আচরণ করতে পার।’
Sunset at Inani Sea Beach, Cox's Bazaar, Bangladesh
Al-Qur'an (18:86) : Until, when he reached the place of
sun setting, he found it setting in a low land (deep
valley orsea) full of murky water.
(The place of sun setting) সূর্য অস্তগমনের স্থান বলতে যেখান থেকে সূর্য অস্তগমনের মনোরম দৃশ্য সুন্দরভাবে প্রত্যক্ষ করা যায় সেই স্থানকেই বোঝানো হয়েছে। যেমন- আমাদের দেশে ইনানি-বিচ সেরূপ একটি স্থান যেখানে সূর্য অস্তগমনের এরূপ মনোরম দৃশ্য অবলোকন করা যায়। {he found it setting in a low land (deep valley or sea) full of murky water} মনে হচ্ছে সূর্যটা যেন সাগরের ঘন কাল পানিতে অস্তগমন করছে। যারা এ দৃশ্য একবার প্রত্যক্ষ করেছে তারা নিশ্চয় আল্লাহতায়ালার এই বাণীটিকে সুন্দর দৃষ্টিকোন থেকেই বর্ণনা করবে। তবে প্রত্যক্ষ করার সুযোগ না থাকায় অজ্ঞতা বশত অসামঞ্জস্যপূর্ণ বক্তব্য প্রদান বা অনুবাদ করে থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু প্রত্যক্ষ করার পরও যদি কেউ ( Mud-slinger দের মত) সূর্য অস্তগমনের এই সুন্দর দৃশ্যটিকে কাদা ছোড়াছুড়ি করে কদাকার বানাবার চেষ্টা করেন- তবে বুঝতে হবে........?
১৮:৮৬ নং আয়াতে- দুটি পাহাড়ের মধ্যবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা বা অতল সাগরের ঘন-কালো জলরাশির মধ্যে সূর্য অস্তগমনের মনোরম চিত্রটিই যে তুলে ধরা হয়েছে, এখন নিশ্চয় তা আর বুঝতে অসুবিধা হবার কথা নয়। এই বিষয়টি যেমন আমি বিশ্বাস করি, তেমনি মহান আল্লাহতায়ালার আদেশে সূর্যটা যে একদিন পশ্চিম দিক থেকে উদিত হবে তা আরও অনেক বেশি বিশ্বাস করি। এ কথাটা সব সময় স্মরণ রাখা উচিত- ’মহান আল্লাহতায়ালার বাণীর প্রকৃত মর্মকে মিথ্যা দিয়ে বা খাম-খেয়ালি উক্তির মাধ্যমে যতই ঢেকে রাখবার চেষ্টা করা হোক না কেন, আপন জ্যোতিতে তা স্পষ্ট রূপে প্রকাশিত হয়ে আলো ছড়াবেই।’
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৫