somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

স্যাডবক্সের(SAD BOX) গল্প!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


আমরা প্রায় বিভিন্ন পিকচারে একটি কার্ডবোর্ডের রোবোটকে দেখি। দেখা যায় এটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে মন খারাপ করে। বিভিন্ন পিকচারে বিভিন্নভাবে দেখা যায় এই কার্ডবোর্ডএর রোবোটকে। অনেকে এটাকে স্যাডবক্স হিসেবে জানে। বেশিরভাগ মানুষ জানেইনা এর মুল নাম কি কিংবা কোথা থেকে এর উৎপত্তি। অনেকের কাছে এটি রহস্যই হয়ে আছে। কি আসলে এটা?
ডানবো একটি ফিকশনাল কার্ডবোর্ড বক্স রোবোট। এটি এক জাপানিজ কমিকস এর একটি চরিত্র।
কমিকসটির নাম Yotsubato! যাকে ট্রান্সলেট করলে হয় Yotsuba and!
Danbo কে প্রথম দেখা গেছে Yotsubato! সিরিজের ২৮ চ্যাপ্টারে। এর লেখক ছিলেন Kiyohiko Azuma
এর বিভিন্ন নাম ছড়িয়ে আছে ইন্টারনেটে। ডানবো, ডানবোর্ড, কার্ডবোর্ড, ডানবোরু ইত্যাদি। বিখ্যাত হয়েছে ডানবো নামটিই।
এটি এমন পরিমাণ বিখ্যাত হয়েছিল যে এটা নিয়ে আলাদা ভাবে একটি এনিমেশন বের হয়েছে ২০০৫ সালে ডানবো নামেই। সেখানে ডানবো একটি স্পেস রোবোট পথ হারিয়ে পৃথিবীতে পড়েছে। তাকে বাচাতে সাহায্য করে Miura নামের একটি মেয়ে।
কিন্তু কমিকসের গল্প ছিল অন্য রকম। সেখানে দেখা যায় মুল চরিত্র ইওতসুবার (Yotsuba) বান্ধবী মিউরা(Miura) এক সায়েন্স প্রজেক্টের জন্য কার্ডবোর্ড দিয়ে রোবোট সাজে। কিন্তু ইওতসুবা ভাবে এটা সত্যি এক রোবোট। তাই জিজ্ঞেস করে তার নাম কি। জবাবে মিউরা তার পরিচয় গোপন রেখে বলে তার নাম ডানবো। ডানবো চরিত্রের এই শুরু। তারপর অসংখ্যবার এই ডানবো স্যাডবক্স হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া গেছে।



২০০৬ এর দিকে জাপানীজ টয় মেকার কোম্পানী Kaiyodo প্রথম ডানবো নামের এই স্যাডবক্স বিক্রি করে । ডানবোর কিউটনেসের কারনে এটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠে।
২০০৭ সালে বিভিন্ন ফটো শেয়ারিং সাইটগুলোতে ডানবো জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ডানবো নিয়ে ফটোগ্রাফি জনপ্রিয় হয়ে উঠে। ডানবোর নিয়ে বিভিন্ন প্রজেক্টও গড়ে উঠে ফ্লিকারে। “ডানবো ইন এভরিডেয় লাইফ” জাতীয় প্রজেক্টগুলো এতোই জনপ্রিয় হয় যে একটা পুরো বই বের হয়েছে 365 Days of Danboard নামে।
অনেক টয় বিখ্যাত হয়ে হারিয়ে যায়। কিন্তু ডানবো সেই ০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন আংগিকে তৈরি হয়ে আসছে। রুবিকস কিউবের পর সম্ভবত এটাই অন্যতম বেস্ট সেলার খেলনা।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বেফাঁস মন্তব্য করায় সমালোচনার মুখে সমন্বয়ক হাসিবুল ইসলাম !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১১:৩২



"মেট্রোরেলে আগুন না দিলে, পুলিশ না মারলে বিপ্লব সফল হতো না "- সাম্প্রতিক সময়ে ডিবিসি নিউজে দেয়া সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করে সমালোচনার শিকার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসিবুল... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমিত্ব বিসর্জন

লিখেছেন আজব লিংকন, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১:৪৮



আমি- আমি- আমি
আমিত্ব বিসর্জন দিতে চাই।
আমি বলতে তুমি; তুমি বলতে আমি।
তবুও, "আমরা" অথবা "আমাদের"
সমঅধিকার- ভালোবাসার জন্ম দেয়।

"সারভাইভাল অব দ্য ফিটেস্ট"
যেখানে লাখ লাখ শুক্রাণুকে পরাজিত করে
আমরা জীবনের দৌড়ে জন্ম... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ হঠাৎ মেহজাবীনের পিছে লাগছে কেন ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৭:৪১


স্বৈরচারী আওয়ামীলীগ এইবার অভিনেত্রী মেহজাবীনের পিছনে লাগছে। ৫ ই আগস্ট মেহজাবীন তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন ‘স্বাধীন’। সেই স্ট্যাটাসের স্ক্রিনশট যুক্ত করে অভিনেত্রীকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগ তার অফিসিয়াল ফেইসবুকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×