২৮.০৮.২০১৬
নুরি (নৌরিন নুসরাত শাওন),
রাত গভীর করে লিখতে বসেছি যদিও রাতের গভীরতা টের পাচ্ছি না কোনভাবেই। ভালো লাগছে না কোন কিছুই তাই তোমাকে লিখতে ইচ্ছে হলো। চিঠি তো তোমাকেই লিখা হয় এখন। আজ বিকালে টি এস সি যাওয়ার কথা বলেছিলাম তবে শেষ পর্যন্ত আর যাওয়া হয় নি, তুমি এলে হয়তো যেতাম। মানুষের কেন অতীত মনে পড়ে বলতে পারো, আমাদের অনেক কিছু মনে রাখতে হয় বা আমরা ভুলতে পারি না। গত বছরের ঠিক এই সময়টা খুব ভয়াবহ ছিলো আমার পরিবারের জন্য, আমি ই সবকিছুকে মিশিয়ে ফেলেছিলাম , সেকারণে আমি আম্মা-আব্বার কাছে দুঃখ প্রকাশ করতেই পারি তবে এটাও ঠিক জীবনে মানুষ এভাবে ভুল করে আবার ভুল শুধরে ও নেয়। আমি কতটুকু শুধরাতে পেরেছি আসলে সেটা হয়তো সময় ই বলে দিবে।
রাত জেগে শুধু অঞ্জন দত্তের গান শুনি, আমার ধারণা আমার এই জীবনে এখন অঞ্জন দত্তের গান আর তোমার আমায় লেখা চিঠি ই মন ভালো করে দিতে পারে, আর কিছু নয়। চাকরী এবং এম বি এ দুটো বিষয় নিয়েই একটা বিশাল হতাশা আছে। হতাশা কিভাবে কাটবে বুঝতে পারছি না। অনেকদিন কবিতা পড়া হয় না, কোন গল্পের বই ও না। সব কিছু আবার নতুন করে শুরু করা উচিত, পড়ার অভ্যাসটা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মানে জীবনের অনেকটাই নষ্ট হয়ে যাওয়া। আবার হুমায়ুন দিয়ে পড়া শুরু করি কি বলো, কি অসাধারণ ই না লাগতো তার বইগুলো। 'হিমুর হাতে পাঁচটি নীল পদ্ম" আমার খুব প্রিয় একটা বই।
তুমি বাড়ি যাচ্ছো পহেলা সেপ্টেম্বরে বলেছো, আমার খুব তোমাদের জামালপুরে যেতে ইচ্ছে করে। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসের কথা আমি ভুলতে পারি না, তখন একবার খুব করে জামালপুরে যেতে চেয়েছিলাম মনে পড়ে।
সকালে অফিস নেই, ছুটি কাটাচ্ছি আর সেকারণে ঘুমাতে যাওয়ার ও বালাই নাই আর পাশাপাশি ভাদ্র মাসের গরম এই রাতে ও ব্যপক পীড়া দিচ্ছে। অনেকদিন উত্তরায় যাওয়া হয় না, যদি ছুটির মধ্যে সম্ভব হয় আসতে চাই। আর বিশেষ কি লিখবো বুঝতে পারছি না। আসলে জীবনের অনেক কথাই মনে পড়ে সময়ে-আসময়ে, সেকারণেও হয়তো জীবন টা সুন্দর !
এতটা লম্বা চিঠি কবে শেষ লিখেছিলাম মনে পড়ছে না তবে বুঝতে পারছি তোমাকে লিখছি বলেই লিখতে পারছি। তোমার চিঠির অপেক্ষায় থাকবো, দেরী করো না উত্তর দিতে। অঞ্জন দত্তের গান শুনিয়েই তোমাকে লিখা এই চিঠিতে ইতি টানছি...
'তুমি আসবে বলেই বখাটে ছেলেটা শিস দিতে দিতে দেয়নি
তুমি আসবে বলেই আমার কলম এখনো ভিখেরী হয়নি...'
তোমার মাধব দা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৬