কে তোমার প্রিয় হয়ে উঠবে, কেন প্রিয় হবে সেইসব প্রশ্নের উত্তর আসলে সবসময় পাওয়া যায় না। শাহেদ কাজ করতো প্রায় বাইশ জন মানুষের সাথে কিন্তু সবার জন্য সমান দরদ হয়তো তার ছিলো না, এটা ঠিক ওর সবাইকেই সাহায্য করার মানসিকতা ছিলো কিন্তু এর মাঝেও কেউ না কেউ ঐ অংশ টায় খানিকটা বেশি জায়গা জুড়ে ছিলো। এই কারণে অন্য কলিগরা কখনো কখনো যে নাখোশ হতো সে কথা অস্বীকার করা যাবে না। সবাই তো চায় তার কাছের মানুষ টা যেন তার কাছে থাকে কিন্তু শাহেদ সম্ভবত দূরের মানুষটাকেই কাছের করে নিতে চাইছিলো। অফিসে কেউ কেউ সেটাকে বাঁকা চোখে দেখতেই পারে কিন্তু সেটা হয়তো সবসময় শাহেদ বুঝতে চাইতো না। গল্পের সেই চরিত্র টি কে ছিলো যাকে জড়িয়ে মাধবের অফিসমুখী জীবন একটু আলাদা রূপ ধারণ করেছিলো তার কথা না হয় আমরা অন্য কখনো বলবো।
তুমি যাকে ভালোবাসো, যে তোমার কবিতা জুড়ে থাকে, যার সাথে প্রতি সকাল-সন্ধ্যায় তোমার দেখা না হলে তোমার সারাদিন সুন্দর কাটে না, রাতে টেলিফোনে কথা না হলে তোমাকে নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়, সেই মানুষটি যাকে চিঠি লিখতে তোমার ভালো লাগে তাকে তুমি বিশ্বাস করতে চাও। তুমি তাকে বন্ধু ভাবতে চাও আর ভালোবাসার মানুষগুলোই তো সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়। সেই মানুষটি যদি তোমার কাছ থেকে হারিয়ে যেতে চায় বা যদি তোমাকে তার কাছ থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে তোমার ভালো লাগার কথা নয়। তুমি তার চারপাশে থাকতে চাও। তাকে এক পলক চোখের আড়াল হতে দিতে চাও না তুমি।
একবার অফিস থেকে ছুটিতে ছিলো শাহেদ, সাধারণত সে ছুটি নিতে চাইতো না। ছুটিতে থাকলে কারো জন্য মন পোড়ে ওর, তাকে দেখতে না পেলে তার বাসায় সারাদিন সময় কাটতে চায় না। সেদিন হঠাত করে দুপুরের দিকে ভূমিকম্প হলো, শাহেদ যেনো কোন কিছু চিন্তা করতে পারছিলো না। অফিসে সামিরাকে ফোন দিয়ে সবকিছু ঠিকঠাক আছে কিনা জেনে নিয়ে চিন্তামুক্ত হলো সে। পাঠক আসলে সবকিছু ঠিকঠাক থাকার ভীড়েও সামিরা নামের মেয়েটি কেমন আছে এই ভূকম্পনের মুহূর্তে সেটা জানার পরেই আমার বন্ধু শাহেদ যেনো একটু স্বস্তি পেয়েছিলো সেদিন... (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:০৪