আমার বন্ধু শাহেদ রাতে যে স্বপ্নগুলো দেখে সেগুলো সে সকালে মনে করতে পারে না তবে সেদিনের সকাল টা ছিলো আলাদা। ২৯শে আগস্ট, ২০১৫ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর ওর বুক টা হু হু করে উঠেছিলো কেননা সে স্বপ্নে দেখেছে ও চাকরীর কর্মস্থল থেকে বদলী হয়েছে। চাকরী জীবনে এই বদলির খেলা অতি স্বাভাবিক, আমার বন্ধু দেখেছে কেউ ছ মাসে বদলি হচ্ছে আর কেউ কেউ ছ বছরেও হচ্ছে না। সে যাই হোক প্রতিষ্ঠানের চাওয়া পাওয়া চাকরী করতে চাইলে তোমাকে মেনে নিতেই হবে। সেদিন সকাল নয়টায় অফিসে গিয়েছিলো ও, ঠিক ই আগের দিন সন্ধ্যায় ওরা অফিস লিভের পর একটা ট্রান্সফার অর্ডার এসেছে। সেখানে ও নিজের নাম টা খুঁজে ফিরছিলো কিন্তু সেখানে ওর নামের বদলে ওর কলিগ রাজুর নাম ছিলো। বারবার ওর মনে হচ্ছিলো স্বপ্ন টা যেনো সত্যি হতে হতে হলো না। আসলে সত্যি বলতে শাহেদ ঐ সময়ে ওর বদলীটা চাইছিলো না কোনভাবেই। এক চিরচেনা মায়ায় জড়িয়ে পড়েছিলো ও, সেই মায়া টা আসলে কার জন্যে ছিলো আমার পাঠকেরা সেই গল্পের রহস্যের জট ধীরে ধীরেই খুলতে পারবেন।
যাই হোক রাজুর সাথে শাহেদের একটা ভালো বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিলো কাজ করতে গিয়ে আর সেকারণে রাজুকে বিদায় জানাতে ওর কষ্টই হয়েছিলো তবে এটাও স্বীকার করতে হবে যে রাজুর স্থলে নিজের নাম না থাকায় ও স্বস্তিতে ছিলো। যে সংসারের মায়াজালে ও আটকা পড়েছিলো সেখান থেকে কোনভাবেই বের হতে চায়নি ও। অফিসের প্রতিটি কলিগ কে এতটা আপন করে হয়তো এর আগে কখনো নেয়নি শাহেদ। অফিস টা শুধু ওর কাছে ১০টা-৬টার ঘড়ির কাঁটায় আটকা ছিলো না, এক প্রকার পরিবারের মানুষ গুলোর মতই সময় কাটাতো ও ওর কলিগদের সাথে। কিছু কলিগদের নাম না বলে আসলে আর থাকতে পারা যাচ্ছে না। মিলন, খোকন, সাথী, খন্দকার সহ সবাই ওর খুব আপন ছিলো। সবাইকেই কাজে-কর্মে ও সাধ্যমত সাহায্য করার চেষ্টা করতো। মিলন ছিলো ওর সবচেয়ে কাছের বন্ধু... (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৫