"নিষিদ্ধ সংগঠন জামাআতুল মুজহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য পরিচয়ে চিঠি দিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় ওই চিঠিতে। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে ডাকযোগে কারারক্ষক রফিকুল কাদেরের কাছে ওই চিঠি পৌঁছায়।
রফিকুল কাদের জানান, চিঠিতে প্রেরকের জায়গায় আবদুল মান্নান নাম লেখা রয়েছে। ওই ব্যক্তি নিজেকে জেএমবির সদস্য বলে দাবি করেন। চিঠিতে এক মাসের মধ্যে চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দী জেএমবি সদস্যদের মুক্তি দেওয়া না হলে কারাগারসহ আদালত ভবন উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া। কারা কর্তৃপক্ষ সতর্কাবস্থায় রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কারাগারে জেএমবির সাত-আটজন সদস্য বন্দী রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম আলাউদ্দিন। একটি বিস্ফোরক মামলায় তাঁকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডে।
চিঠিতে দুজনের পরিচয় দিয়ে বলা হয়, ‘আমরা জেএমবির আত্মঘাতী স্কোয়াডের সদস্য আবদুল মান্নান ও আবদুল হান্নান। এক মাসের মধ্যে জেএমবির সব বন্দীকে ছেড়ে দিতে হবে। সবার আগে আমাদের ভাগ্নে আলাউদ্দিনকে মুক্তি দিতে হবে। তাকে ছেড়ে দেওয়া না হলে থানা, আদালত ভবন ও কারাগার বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া হবে।’
চিঠিতে দাবি করা হয়, ‘আমাদের আধুনিক কমান্ডার মাওলানা ফছিউল আলমের ছেলে কাজী সাজ্জাদ সরদার। আমাদের বাবা শওকত আলী সাঈদীর মাহফিলে মারা গেছেন। আমরাও শহীদ হয়ে যাব। ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বেঁচে গেছেন। এবার বাঁচতে পারবেন না। তাঁকে বোমা মেরে বাংলার মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হবে।’
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সাজ্জাদ সরদার দাবি করেন, ‘আমি এলাকায় জাহাজভাঙা ব্যবসা করি। জায়গায়-জমি নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিরোধ আছে। তাদের কেউ আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ কাজ করেছে।"
উপরের ঘটনার উল্লিখিত মানুষ গুলি আমাদের এলাকার, এটা সম্পুর্ন উদ্দেশ্যমুলক, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। "আবদুল মান্নান ও আবদুল হান্নান" অতি দরিদ্র পরিবার এর সন্তান। ছোটবেলায় তাদের বাবা মারা যান। তাদের বয়স ও এখনো কম। বছর খানেক আগে থেকে তারা পারায় একটা ছোট্ট মুদি-দোকান দেন যা এখন তাদের একমাত্র সম্বল। তারা এখন বেশ সাবলম্বী। ছোট ভাইবোন লেখাপড়া করছে। আর তাদের এ সাফল্য আর একটি দোকানের ইর্ষার কারন। আমি নিশ্চিত তারাই এমন জঘন্য কাজ টি করেছে। কারন এরআগে ও তারা ঐ এলাকার কাজী-সাহেব এর বিরুদ্ধে একাধিক বার মিথ্যা মামলা করেছে। যা কিনা পুলিশি মামলায় মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। সবাইকে এ সম্পর্কে সতর্ক থাকার আহ্বান করা গেল।
কারন এ মিথ্যাটি ঐ পরিবার টি কে ধ্বংস করে দিতে পারে। ঐ মাদক ব্যবসায়ী দোকানদার টি আমাদের পুরো এলাকা টিকে ধংস করে দিচ্ছে অথছ যেন দেখার কেউ নেই।
এখন এই পরিবারের যদি কোনো ক্ষতি হয় তবে তার দ্বায়িত্ব কে নেবে? আর যারা এ মিথ্যা মামলাটি করেছে তাদেরই বা কী হবে??
আমরা এলাকাবাসী সবাই জানি কারা এসব করছে। আমরা প্রতিবাদ করব। প্রয়োজনে রাস্তায় নামব। কিন্তু এমন মিথ্যা মামলার শাস্তি কী হতে পারে..??
সবাই প্রতিবাদ করুন। কারন এমন ঘটনা আপনার, আমার সবার জীবনে ও ঘটতে পারে। যে কেউ ফেঁসে যেতে পারেন। প্রকৃত অপরাধী এবং মিথ্যা মামলাকারী যেন দৃস্টান্ত মূলক শাস্তি পায়।
প্রশাসন এবং স্থানীয় লোকজন এর বিরোধিতা করেছে। এ মামলার
ইতোমধ্যে নিস্পত্তি হয়েছে।
এই সেই চিঠি:
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১২:১৪