যদি না জানতাম
খোদার কোন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই
নেই কোন ইনস্টা-টুইটার।
তবে তোমার মতো হয়তো তারে ট্যাগ করে স্ট্যাটাস দিতাম।
ইনবক্সে নক্ করিতাম।
না পাওয়া যত প্রশ্নের উত্তর চাইতাম।
যদি না জানতাম
স্বর্গের সব লাইন আজকাল ভীষণ ব্যস্ত ভিআইপি টেলিফোনে।
জিজ্ঞেস করিতাম...
মোড়ের মাথায় ঘোর বর্ষায়
পলিথিনে মোড়া প্রাসাদ খানায়
যে যিশুর আগমনী ধ্বনি বেজেছে আজ
ওর পাগলী-মা মরিয়ম হবার প্রার্থনা করেছিল কিনা?
কেউই নাকি ওর বাপ না!
জিজ্ঞেস করিতাম...
বিনা বাপে পয়দা করা যদি মাত্র তারই কীর্তি--
তবে সেই সে দিনের বাদল ঝড়ের মাদল রাতে
পাগলীটা যখন আগুন গায়ে ঘোর জ্বরেতে
আবোল-তাবোল বোল বলেছে...
বিজলী জ্বলা আঁধার আড়ে মুখ-চেহারা লুকিয়ে সাড়ে
জল-চুয়ানো ওই প্রাসাদে পুরুষ কায়া কী করছিল?
জিজ্ঞেস করিতাম...
এতিম বোনে বুকে চেপে
নজরুলের ওই গোরের পাড়ে
দু'চোখ ভরে ক্ষুধার জ্বেলে
নোনা পানির বান ডাকিয়ে
এর-ওর মুখে মুখ চাহিয়ে তােরে খোঁজে
সিংহাসনের মুকুট ছেড়ে
অন্ন হাতে তেড়ে-ফুঁড়ে
ও খোদা! তুঁ এসেছ কবে অন্নত্রাতা সেজে?
নাকি তোমারও ভোটাধিকার লুটেছে ঘুষের ঘ্রাণে।