শিক্ষকতার সুবাধে আমি প্রতি বৎসরই ক্যারিয়ার গাইডলাইন হিসেবে ছাত্র-ছাত্রীদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে থাকি, তবে আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে আমার কথা কেউ তেমন একটা পাত্তা দেয় না। আমার দুর্ভাগ্য যে, এমন দশটি কথা আমার ছাত্রাবস্থায় কেউ বলে নাই।
আমরা পড়বো কেন?
আমরা আমাদের সামনের ১০০ বৎসর নিয়ে পরিকল্পনা করছি তাই পড়তে এসেছি। ১ বৎসর কিংবা ৩০ বৎসরের জন্যও যদি পরিকল্পনা করতাম তাহলে হয়তো ধান চাষ করতাম, গাছ লাগাতাম। মানুষ যা বিশ্বাস করে, মানুষ তাই হয়ে যায়। সৈয়দ শামসুল হক বলেছিলেন, আমাদের দেশে জনগন বেশী, মানুষ কম। আমরা সেই কম মানুষদের দলটা ভারী করতে এসেছি।
মনে রাখবে – তুমি একটা- একটা করে যখন অংক করবে বা একটু-একটু করে পড়বে তখন বাংলাদেশও একটু-একটু করে সমৃদ্ধ হবে, এগিয়ে যাবে! Miles to go before we sleep...
আমিতো বাবা-মায়ের জন্য পড়ছি !
সুশান্ত পালের নাম নিশ্চয়ই শুনে থাকবে? ৩০ তম বিসিএস ক্যাডার (সহকারী কমিশনার, কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট)। তিনিও তিনির বাবা-মায়ের জন্যই পড়া-শুনাটা শুরু করেছিলেন, শেষে নিজের জন্য পড়া-শুনা শেষ করে ক্যাডার হয়েছেন। উনার জোঁক ছিল ইংরেজি সাহিত্যের প্রতি তবে বাবা-মা চাইতেন তাদের ছেলে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুক। বাবা-মায়ের ইচ্ছায় আর নিজের অনিচ্ছায় যুদ্ধ করে ভর্তি হলেন চুয়েটে (কম্পিউটার বিজ্ঞানে), অনাগ্রহের ফলে রেজাল্টও খারাপ হতে থাকে প্রতিটা সেমিস্টারে। একটা সময় পর আশ-পাশের সব বন্ধু-বান্ধব যখন চাকুরী-তে যোগ দিল, আর তখন সে বেকার পড়ে রইলো। চার-পাশের সব মানুষজন তাকে অবহেলা আর তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যের চোখে দেখতে লাগলো।
২.৭৫ (৩) - সিজিপিএ নিয়ে দুই বৎসর সময় বেশী নিয়ে কোনরকমে শেষ করলেন বিএসসি, যেদিন ফলাফল হাতে পেয়েছিলেন সেদিনই ৩০তম বিসিএস-এর ফর্ম সাবমিটের শেষ দিন ছিল। একটা প্রাইভেট কোচিং সেন্টার-এর মালিক হওয়ায় বাংলা,অংক, ইংরেজি ও বিজ্ঞানে দক্ষতা আগে থেকেই ছিল। ৩০২৬৫৩ - এই রোল দিয়ে দ্বিতীয়বার জন্ম হল, সফল ও সার্থক এক যুবকের। তিনি একটা কথা প্রায় বলেন - ভালো ছাত্র হতে হলে, কি-কি পড়া লাগবে না তা জানতে হবে।
আমিতো বিদেশ/আমেরিকা যেতে পারিনি!
এখনি ইউটিউবে সার্চ করো, তুমি আমেরিকার কি দেখতে চাও তা দিয়ে। দেখবে যে - পাশাপাশি কতোগুলা মানুষ দাড়িয়ে আছে, আর কিছুই না। সত্যি যদি আমেরিকাকে ভালোবাসো তবে তাদের মতো কর্মঠ হও, তাদের মতো ইংরেজিতে কথা বলা শিখো, টেকনোলজি-তে নিজেকে তাদের মতো দক্ষ করে গড়ে তোল।
সুলাইমান সুখন-কে যখন আফ্রিকান সন্দেহে এম্বাসিতে সাইন করতে গিয়ে কর্মকর্তারা থতমত করে তখন তিনি বলেন - ' হ্যালো! হাউ ফার ইজ লংকা/আফ্রিকা ফ্রম দেয়ার?' আবার এই সুখন ভাই যখন সিলেট যায় তখন বলেন – কিতা খবর ভালানি? সুখনের মতো তুমি যেখানেই থাকো, সেখানে ম্যানেজ করেই থাকো।
আমিতো গোল্ডেন পাই নাই!
ফল প্রকাশের পর বাবা-মা যখন বলে যে, তোর জন্ম হইছে খামোখা! সাধারন একটা গোল্ড পাইলি না! জানি এই কথাগুলো শুনতে তোমার একেবারেই ভালো লাগে না।
আগে জাফর ইকবাল স্যার কে যখন বাবা-মায়েরা বলতেন 'আমার ছেলে/মেয়ে গোল্ডেন ৫ পেয়েছে !' তখন তিনি বলতেন - বাহ! বেশ ভালো। আর এখন যদি তিনি এই কথা শুনেন তখন বলেন - ' আহরে! বেচারা, এই গোল্ডেনের জন্য তাকে হয়তো সাইন্স ফিকশান রেখে গৎবাঁধা টেক্সট বই পড়তে হয়েছে।'
জাফর স্যার-কে একটা মেয়ে ছোট বেলা থেকেই এটা-সেটা নিয়ে ই-মেইল করতো। সেই মেয়েটা তার এইচএসসি'র ফল প্রকাশের পর স্যার-কে মেইল করে লিখল, আমিতো গোল্ডেন ৫ পাই নাই, স্যার। আমার হয়তো ভালো কিছু হবে না। সেই মেয়েটাই বছর দুয়েক পরে স্যার-কে ই-মেইল করে জানালো তার সাথের বান্ধবী যারা গোল্ডেন ৫ পেয়েছিলো তাদের বেশীরভাগই ঢাবি-তে চান্স পায়নি, তবে সে পেয়েছে।
আমিতো মনযোগী হতে পারছি না !
তোমাকে হয়তো কেউ বলবে, কি ক্লাস-টাচ করছ, দিন-দিন আতেল হয়ে যাচ্ছস। যে বলবে সে দেখবে নিয়ম করে প্রতিদিন হয়তো কোন চায়ের দোকানে আড্ডা দেয়। শুনো - অল্প বয়সে বেশী আত্তসম্মান থাকলে কোন কাজেই মনযোগী হওয়া যায় না।
প্রতিটা দিনের শুরুতে একটা চেক লিস্ট তৈরি করো আর দিন শেষে Self-talk করো। Self-talking is a big-big thing, যারা এইটা করে লোকে তাদেরকে পাগল বলে। বড় হতে হলে একটু পাগলও হতে হয়।
মোস্তফা সরওয়ার ফারুকি বলেন - ‘If you think you are done a lot then you may decide you have nothing to do.’ ফারুকি প্রত্যেকটা ফিল্ম বানানোর পরে সেই কাজটা ভুলে যান, ভাবতে থাকেন পরের ফিল্ম নিয়ে। উনি বলেন – আমাদের দেশের লোকজন ধরেই নিয়েছেন ভারত কিংবা পাকিস্তান হয়তো আমাদের চেয়ে হাই কালচারের! অথচ, দেখেন রাজনীতি, খেলা আর ফিল্ম ছাড়া আমরা আর কোন জায়গায় তাদেরকে অনুসরণ করছি না। আমরা চাইলেই ভারতীয় শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার কৌশলগুলোও রপ্ত করতে পারি।
আমার তো টাকা নেই?
টাকা থাকার জন্য আমরা যা করি আগে সেটা বলি – প্রত্যেকটা সেমিস্টারে সেমিস্টার ফি কমপক্ষে ২ বার দিই - তাই না? একটা বই হয়তো ৫ বারও কিনে থাকি! অথচ ভারতীয় ছাত্র-ছাত্রী'রা যেখানে টাকার জন্য কল সেন্টারে কাজ করে, ডাটা এন্ট্রি'র কাজ করে, কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট সেল করে কিংবা অ্যাফিলিয়েটেড মার্কেটিং করে। তো আমাদের টাকা থাকবে কি করে? ক্যরিয়ার কাউন্সিলিং সভা-সেমিনারে যোগদানের বাস ভাড়া থাকবে কি করে আমাদের কাছে? আমরা তো কিছুই করছি না।
তোমরা জানো ডঃ জাফর ইকবালের পকেটে কখনোই টাকাই থাকে না! ছাত্ররা কোন কারনে চাদা চাইলে ডঃ ইয়াসমিন হকের কাছ থেকে ধার করে তিনি টাকা দেন।
আমিতো মেয়ে !
মিথিলা কে ? মেয়ে তো নাকি? সে ছোট বেলায় সাইকেল রাইডিং শিখেছে, মাত্র একমাস দরজা-জানালা বন্ধ করে পড়াশোনা করে ঢাবি-তে চান্স পেয়েছে। চাকুরী পাওয়ার পরে একা-একা বাসে ভ্রমন করে নেত্রকোনা গেছে। সাউথ সুদান, উগান্ডা গিয়ে সুবিধা বঞ্চিত বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করেছে। গ্রাজুয়েশানের ৮ বৎসর পর 'চ্যানচেলর গোল্ড মেডেল' সহ মাস্টার্স করেছে 'আর্লি চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট' বিষয়ে, তখন তার সংসারে টানা-পোড়ন চলছিল তাহসানের সাথে।
মিথিলা একদিন একটা সেমিনারে বলেছিলেন, জীবনে যতই সমস্যা থাকুক না কেন হাসুন প্রাণ খুলে। না পারলে উগান্ডার তাঞ্জানিয়ার বাচ্ছাদের কথা স্মরণ করুন, তারা এতোটাই সুবিধাবঞ্চিত যে ওখানে সাধারণ ডায়রিয়ায় বাচ্চা মারা যায়। অথচ ঐ বাচ্চাদের মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকে। আপনি মেয়ে, তো কি হয়েছে, কিছুই করতে হবে না, প্রতিদিন নিয়ম করে হাসুন। সমস্যার অর্ধেক সমাধান হয়ে যাবে।
আমিতো চাকুরী পাচ্ছি না! [/sb
আমি যদি এই মুহূর্তে বলি যে, আসন্ন পিকনিকের জন্য আমার দুইজন ভলান্টিয়ার দরকার, কতোজন হাত উঠাবে আমি জানি না! তবে এতটুকু বলতে পারি যদি বলতাম যে, আমি ২জনকে ২ টা সেন্টার-ফ্রেশ দিবো, তার জন্য যে পরিমাণ হাত উঠত তার সংখ্যাটা অনেক বেশিই হতো। অথচ তোমরা জানোই না যে, যারা ভলান্টিয়ার হবে আমি তাদেরকে নিয়ে বিরিয়ানি খাবো, এমনও হতে পারতো।
Know the reason to hire you! Why they pay you? পুলিশ-স্টাফ কলেজের সামনে, মিরপুর-১৩'র সামনে একজন ফাস্ট-ফুড দোকানদার বসেন। তাকে তুমি জিজ্ঞেস করো, ভাইয়া আপনি কিভাবে এই প্রফেশানে এসেছেন আর এখন কি করছেন?
সুলাইমান সুখন-কে যখন ছেলে-পেলেরা জিজ্ঞেস করে - ভাই মাত্র ৭০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসে আপনি কিভাবে এতো কিছু করলেন? তখন তিনি বলেন - আমি স্পেশাল কিছুই করি নাই, কেবল হাতের কাছের কিছু ডিজিটাল টুলসের সুবিধা নিয়েছি (যেমনঃ ফেসবুক, গুগোল, স্কাইফি, বিডিজবস)। অথচ আমরা ভুলেই যাই ফেসবুক হচ্ছে আমাদের সোশ্যাল আইডি কার্ড বা সেকেন্ড সিভি যেখানে আমাদের নামটাও ঠিক-ঠাক থাকে না। আমরা কি পারি না ফেসবুক-এ আমাদের ব্লাড গ্র“পটা মেনশান করতে। ফেসবুক-এ এমনও পোস্ট হয় যেখানে সাধারন মানুষকে ৩০০ টাকায় একটা স্কুলের শেয়ার কিনতে রিকোয়েস্ট করা হয়, আর সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য ঐ ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে ৭ দিনেই জলজ্যান্ত একটা স্কুল পৃথিবীর বুকে দাড়ায়। আর আমরা নিজেরাও জানি না যে, আমরা ফেসবুক-এ কি পোস্ট করছি! এানুষ আমাকে নিয়ে কি ভাবছে।
একটা নতুন টেকনোলজি আসলে তার যথোপযোগী ব্যবহার করতে হয়, ফেসবুক লাইভে পানির ট্যাঁপ ছেড়ে দিয়ে প্রমান করতে হয় না - 'আমার ফোনটা কিন্তু ভাইয়া ওয়াটার প্র“ফ!' মার্ক জাকারবার্গ-এর পোষ্টে গিয়ে বাঙালিরা কমেন্ট করে - নোয়াখালী বিভাগ চাই, চিকন পিনের চার্জার নাই, কোম্পাপানির প্রচারের জন্য বাল্ব-এর মূল্য মাত্র ১০০ টাকা আরও কতো কি! ওরা কারা ?
চাকুরী দাতা'রা ১টা প্রশ্ন কখনো তোমাকে করবে না - তুমি কোন ইউনিভার্সিটি/ইন্সটিটিউট-এ পড়েছ? উনারা জানতে চাইবে তুমি কোন একটা টার্ম সমাধানের উদ্দেশ্যে কতোগুলা রাত নির্ঘুম থেকেছ?
চাকুরী পাওয়ার জন্য আর কয়েকটা সাজেশান তোমাকে দেই মনে রেখো -
১। তোমার একটা দ্বিতীয় পরিচয় খুঁজে বের করো, যেমন তুমি স্টুডেন্ট ছাড়া আর কি হিসেবে নিজেকে ভাবো? তোমার পার্সোনাল ইন্টারেস্টের ব্যাপারে মনযোগী হও।
২। যেভাবেই পারো Financial independence তৈরি করার চেষ্টা করো (টিউশন করিয়ে হলেও)। এবং কমপক্ষে ১০% সঞ্চয় করার চেষ্টা করো।
৩। যেকোনো পরিস্থিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার মেনটালিটি তৈরি করো।
৪। সহপাঠী ভালো ছাত্র-ছাত্রী'দের সাথে ফ্রেন্ডশিপ এবং চাকুরীজীবী বড় ভাইবোন-দের সাথে যোগাযোগ রাখো। যেন পরীক্ষায় ভালো ফলাফল লাভে এবং চাকুরী প্রাপ্তিতে এরাই তোমার মামা-খালু হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারে।
৫। যেকোনো একটা অর্গানাইজেশানের সাথে জড়িত থাকার চেষ্টা করো, যেন এখান থেকে তুমি লিডারশিপ স্কিল এবং পিপল হ্যান্ডলিং শিখতে পারো।
৬। যেকোনো প্রকারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করার চেষ্টা করো। কম্পিটিটিভ ওয়ার্ল্ড-এ চাকুরী প্রপ্তিতে এহেন অংশগ্রহন বড়ই উপকারে আসবে।
৭। আজকেই তোমার সকল একাডেমীক/প্রশিক্ষনমূলক সনদ, পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংগ্রহ করে স্কেন করিয়ে তোমার পিসি কিংবা পেন-ড্রাইভে সংরক্ষণ করো, যেন যেকোনো সময় কাজে লাগাতে পারো।
৮। তোমার সকল ইনফরমেশান এক করে সুন্দর একটা ২ পেইজের সিভি তৈরি করো। চাহিবা মাত্র বাহককে সিভি প্রদানে বাধিত থাকিবে।
৯। সরকারী কিংবা বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ফ্রি/পেইড কোর্স (কম্পিউটার, ইংলিশ, মেডিক্যাল, ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ক সর্ট কোর্স) করো।
১০। তোমার নাম দিয়ে সুন্দর করে একটা জি-মেইল আইডি খুলে নাও। শিখে নাও কিভাবে একটা ই-মেইল লিখতে কিংবা পাঠাতে হয়।
১১। ফেইসবুকের মতো লিংকডইনেও তোমার একটা প্রোফাইল ওপেন করো।
১২। ভবিষ্যতের জন্য কাজ করো।
কিভাবে পড়াশোনা শুরু করবো ?
আগে এটা বিশ্বাস করো যে তোমাকে ৯৫% শিক্ষা ক্লাসের বাহিরে গ্রহন করতে হবে। মানুষের নিউরন সেল ২.৫ পেটাবাইট ডাটা ষ্টোর করতে পারে, এই সুন্দর ব্রেইনটাকে তুমি কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই যেকোন কিছুই মনে রাখতে পারো একটা সিকুয়েন্স অবলম্বন করে যেমনঃ ইমাজিনেশান > এসোসিয়েশান > স্টোরি মেথড। আর যখন পড়াশুনা করবে তখন ভুল করেও ৫ টা মিনিটের জন্য মোবাইল চেক, ফেসবুক ব্রাউজ বা টিভি দেখতে যাবে না, তাহলে এটাই হবে তোমার শেষ যাওয়া। পড়াশুনার জন্য কিছু নীতিমালা মেনে চলতে হয় যেমনঃ
১। পড়াশুনার পরিবেশটা সাউন্ড ফ্রি হতে হবে।
২। পড়ার রুমে পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা থাকতে হবে এবং বসার জন্য একটা ফ্লেক্সিবল চেয়ার থাকবে।
৩। পড়াশুনার জন্য প্রয়োজনীয় সকল জিনিসপত্র/খাবার হাতের কাছে রাখতে হবে যেমনঃ বই,খাতা,কলম,পেন্সিল, পানি, বাদাম, হালকা খাবার, আপেল,চকলেট।
৪। মোবাইল/টিভি সাইলেন্ট/বন্ধ রাখতে হবে।
৫। কঠিন বিষয় আগে পড়বে।
৬। প্রত্যহ ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমাবে।
৭। নিয়মিত খাবারের পাশাপাশি ফল ও শাকসবজি খাবে।
আর কি বলবো ?
নিজেকে বল।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২১