সংবাদ আসত, এখনও আসে
শীতের কাঁপুনি, বৈশাখের ঝড়ো দমকা হাওয়ার হুমকি ফেলে
গ্রীষ্মেআগেইর তপ্ত রৌদ্র উপেক্ষা করে
আষাঢ়ের বাদলা বৃষ্টি পেরিয়ে
রজনীর শেষে, ভোরের চায়ের কাপের সাথে।
মূল পাতায় বড় বড় হেডলাইন হয়ে রঙ্গিন কিংবা সাদাকলো
টাইপিষ্টের নিশি জাগরণের ফল হয়ে, সাংবাদিকের অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে।
গতকালের সংবাদ, আজকের তারিখে।
এখন আধুনিক আমরা
রানা প্লাজায় চাপা পড়া শ্রমিকের বাঁচার শেষ আর্তনাদ,
তাজরিন ফ্যাশনস এর সারি সারি পোঁড়া লাশ,
সকালের চায়ের কাপের বাসি সংবাদ হয়ে আসে না।
স্কোলে লেখা ও জীবন্ত সংবাদ হয়ে ছুটে আসে প্রতিদিন।
আর অপেক্ষা করতে হয় না সেই নির্দিষ্ট কলাম খোঁজার।
চোখে খোঁচা দিয়ে দেখিয়ে দেয় এটা ভূল,
নগদ প্রমাণ হাতে নিয়ে হিন্দু ছেলের জলজ্যান্ত রক্তাক্ত ফুটেজ দেখানোর মতো।
যে সংবাদ প্রমাণ করে দেয় কে মেরেছে তাকে,
কার দ্বারা স্পর্শিত হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া, হোক সে ফেলানী বা আর কোন বাঙালী।
দিনের সংবাদ দিনে, ঘন্টার সংবাদ ঘন্টায়।
খবর এখন আর শুধু কাগজে নয়
টেলিভিশনের পর্দায় সিনেমা দেখার মতো।
বিশ্বের টুকিটাকি যতসব নিমিষেই চোখের সামনে হাজির।
ইরাকের যুদ্ধ, ফিলিস্তিনের হাহাকার কিংবা সিরিয়ার সারিন গ্যাস
আর্জেন্টিনার সহজ জয়, নয়তো ব্রাজিলীয় কঠিন ড্র
জলজ্যান্ত সংবাদ হয়ে মুহুর্তেই বিশ্বভুবনের ঘরের কোণে কোণে।
চোখে দেখে মুখে বুলি আওরিয়ে জানিয়ে দেয় আজ হবে বিশ্ব কাঁপানো আসর।
বাঙালী সাজিবে বর্ষা শাড়িতে।
সংবাদ আসে নিত্য সময়ে
নতুন নতুন সংবাদ নিয়ে সদা সর্বদা, সচেষ্টতা নিয়ে।
জানিয়ে দেয় ভোরের খবর সকাল হবার আগেই।