ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে এগিয়ে যাচ্ছে ঘটনার দিকে।অঘটন ঘটন যাই ঘটুক সময়ের স্মৃতিতে আটকে থাকে সব। কে মারা গেল, নবজন্ম কার, কে আবার স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিত সিমানা পেড়িয়ে অচেনা পথে পা বাঁড়াল তার স্মৃতিতে বহুজন্মকাল থাকবে, থাকে এটাই নিয়ম এই পৃথিবীর। আমি তুমি ভুলে যাব পরিচিত জন যারা ছিল একদিন আমাদের চতুর্দিকে আদর-স্নেহ-মায়া-শ্রদ্ধার জাল ছড়িয়ে। ভালবাসায় যারা ঘিরে রেখেছিল।
মা-বাবার কোল ছাড়ার পর বন্ধুদের সাথে ধুলোবালি নিয়ে খেলা ছেড়ে নিজের অনিচ্ছা থাকা সত্বেও স্কুলে পা বাড়ানো।স্কুলেও মজা হতো।তবে বাড়িতে বসে খেলা আর স্কুলের বাড়ান্দায় ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে লুকোচুরি খেলা এক নয় আমরা জানি।তবে যাহোক স্কুলের গণ্ডি পেড়িয়ে মাধ্যমিকে পা বাড়ানো।এরপর কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠও প্রায় শেষ।আর একটি বছর পার হলেই আমি একজন গ্রাজুয়েট লোক হতে পারব।কিভাবে যে এতগুলো বছর কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।কত মানুষ চিনলাম, বন্ধু পেলাম।তবুও আফসোস একটা আছে।
মানুষ কি? উত্তর হতে পারে মানুষ মাত্রই মানুষ। এছাড়া আর কোন পরিচয় মানুষের থাকতে পারে না পারে না সে বিতর্ক বহুকালের। বাংলার নব গনতন্ত্র থেকে শুরু করে এর জন্মলগ্ণ থেকেই। আমি জানি মানুষ বন্ধু হিসেবে সবার কাছে জনপ্রিয় সর্বকালের। অন্য প্রাণী মানুষের বন্ধু হতে পারে কিন্তু চলার পথের পরিপূরক হতে পারবে না। মনষ্য বন্ধুর হলে যা অনায়াসেই করা যায়।
মানুষ অতীতকে মনে রাখে ভবিষ্যতের ভূল হতে পরিত্রাণ পাবার জন্য। আমি স্মৃতির পাতায় গেঁথে রাখতে চাই একারণে যাতে এক সময়ের পরিচিতজন সামনে এলে তাকে যেন ভূলে না যাই, যাতে আবার নতুন করে পরিচয় পর্ব না সারতে হয় পুরাতন বন্ধুদের সাথে। আমার বন্ধুর তালিকা কিছুটা লম্বা বান্ধবীর তুলনায়। আমি অনেকটাই নাক ওয়ালা লোক।
সময় স্বল্পতায় আজ এ পর্যন্ত। বাক চলবে...