‘বাদ’ অর্থই ধর্ম;আস্তিক্যবাদ ধর্মের দাবিদার,নাস্তিক্যবাদ অধর্মের দাবিদার।
তবে উভয় ‘বাদ’এর সংখ্যা গরিষ্ঠ তথা ৯৯.০০৯% শতাংশই ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় দ্বৈতবাদী বা মুনাফিক/মুশরিক;যা স্বতণ্ত্রভাবে বাস্তব সাক্ষি-প্রমানিত।
১. আস্তিক-নাস্তিক উভয়ই কুরআন বা সৃষ্টির মৌল অনুসারেই দাবি করে থাকেন। যেমন: কুরআন স্রষ্টা সম্পর্কে নিজেই বলে,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
ক. লা ইলাহা অর্থ: ইলাহ/স্রষ্টা নেই;
খ. ইল্লাল্লাহ অর্থ: স্রষ্টা আছে;
সংক্ষেপে,স্রষ্টা নেই-স্রষ্টা আছে;অর্থাত এই আছে এই নেই বা নিগেটিভ-পজেটিভ।' এটাই ধর্মাধর্মের মূল সুত্র।
২. নাস্তিকগণ প্রথম অংশ নেই'তে বিশ্বাসী,২য় অংশে অবিশ্বাসী;পক্ষান্তরে আস্তিকগণ শেষ অংশ আছে'তে বিশ্বাসী,১ম অংশে অবিশ্বাসী;উভয়ই অর্ধ ধর্ম-অধর্মের অধীন।
৩. এই মূল সুত্র বা কলেমাটি পুরাপুরী কেহই বিশ্বাস করে না হেতু উভয়ই বিপরীতমূখী ধর্মান্ধ বা মৌলবাদী বিভ্রান্তবাদী;অর্থাত একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। সুতরাং কারো অহং বা গর্ব করার কিছুই নেই এবং যেহেতু উভয়ই স্ব স্ব দাবি প্রমান করতে পুরোপুরী ব্যর্থ।
৪. আবার দেখুন: দিন-রাত,জন্ম-মৃত্যু,আবির্ভাব-তিরোভাব প্রভৃতি সৃষ্টির সকল সুত্রেই উভয় দল ‘মাইনাস-প্লাস,যোগ-বিয়োগ বা নিগেটিভ-পজেটিভ’ সুত্রে সম বিশ্বাসী; অর্থাত উভয়ই সমান মুনাফিক।
৫. এক্ষণে পুরো কলেমা-সুত্রে বিশ্বাসী একটি দলের আবির্ভাব হওয়া খুবই জরুরী!
বিনীত।